বায়োপিকে নির্মাতা নিজেই যখন ভুল শুদ্ধ পূর্ব নির্ধারণ করে দেয় তখন সেটি আর বায়োপিক থাকে না। নির্মাতার পার্সোনাল স্টেটমেন্ট হয়ে যায়। সাঞ্জু সিনেমাতে হিরানি এমন একটা কাজ করেছেন। তিনি সঞ্জয় দত্তের ডার্ক সাইট দেখিয়েছেন ঠিকই কিন্তু সেগুলিকে আবার জাস্টিফাই করেছেন একবার যত দোষ সব বন্ধু ঘোষ বলে আরেকবার যত দোষ সব পত্রিকা ঘোষ বলে। এইভাবে বায়াস হয়ে সঞ্জয়ের পক্ষে সাফাই না গেয়ে সঞ্জয় দত্তের জীবনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা দেখালেই সাঞ্জু সিনেমাটা আরো অধিক বায়োপিক হইতো। অবশ্য নির্মাতা হিসেবে হিরানিকে ইন্টারেস্টিং লাগে। তিনি মশলাটা সিনেমাতে ঠিকঠাকভাবে মাখাতে পারেন। দেখবেন এই আপনারে কান্দায়তেছে আরেকবার হাসায়তেছে। অর্থাৎ হাসাইতে হবে অথবা কান্দাইতে হবে অথবা যেকোন ভাবে দর্শককে একটা ধাক্কা দিতে হবে এই চিন্তা নিয়ে তিনি সিনেমা বানাইতেছেন। সাময়িক বিনোদনের লাইগা এইসব ঠিক আছে কিন্তু বায়োপিকের লাইগা না। বায়োপিক কোন সাময়িক সময়ের জন্যে তৈয়ার করার সিনেমা না। না কারণ আমরা দেখতেছি একজনের জীবন নিয়া বায়োপিক একটাই হইতেছে। এখন সেই একটা সিনেমাই যদি ঠিকঠাক সত্যিটা তুলে ধরতে না পারে তাহইলে কেমনে হইল। তাই বায়োপিক সময় কালের ঊর্ধ্বে হোক। বায়োপিক করা হোক সারাজীবনের লাইগা।
( তুলনা করে নয় বায়োপিকের উদাহরণ হিসেবে বলি, রিচার্ড এটেনবোরা ১৯৮২ সালে "গান্ধী" সিনেমা বানাইছিলেন। গান্ধীরে নিয়া বানানি এই বায়োপিক ২০১৮ সালে দেখলেও ভাল লাগে।)
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




