
আজ মুসলমানদের সবচেয়ে খুশির দিন। আজকের দিনেই আমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দেওয়া হয়। হাদিসে আছে, এই দিনকে কেন্দ্র করে আকাশের বাসিন্দারাও ঈদ পালন করেন।
আবি নছর বাজানতি ইমাম রেজা আঃ থেকে বর্ননা করেন যে, তিনি বলেন, হে আবি নছরের পুত্র! তুমি যেখানেই থাকোনা কেন গাদীরের দিনে আমিরুল মোমেনীন আঃএর নিকট হাজির হও, নিসন্দেহে আল্লাহ প্রত্যেক মুমিন ও মুমেনার এবং মুসলিম ও মুসলেমার ষাট বছরের গোনাহ মাফ করে দেন, এবং রমজান মাস ও কদরের রাতে এবং ঈদুল ফিতরের রাতে যত মানুষকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দেন তার থেকে কয়েক গুন বেশি এই দিনে মুক্তি দেন, এই দিনে তোমার দ্বীনি ভাইকে এক দিরহাম দান করা হাজার দিরহাম দান করার সমতুল্য, এই দিনে তোমার দ্বীনি ভাইদের প্রতি খরচ করো এবং প্রত্যেক মুমিন মুমেনাকে সন্তুষ্ট করো, আল্লাহর কসম! মানুষ যদি প্রকৃতপক্ষে এই দিনের মর্যাদা জানত তাহলে ফেরেশতাগণ অবশ্যই তাদের সাথে প্রত্যেক দিন দশবার মোসাফাহা করতো।
(বিহারুল আনোওয়ার, খন্ড-৯৭, পৃষ্ঠা-৩৫৮)
ইমাম সাদিক আঃ বলেন, "গাদীর দিবস আল্লাহর পক্ষ থেকে সব চেয়ে বড় ঈদ, আলে মুহাম্মদের ঈদ, ঈদ গুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় ঈদ, আল্লাহ যখনই কোন নবীকে প্রেরণ করেছেন তিনিই এই দিনকে ঈদ হিসেবে পালন করেছেন এবং এর মর্যাদাকে গুরুত্ব দিয়েছেন; আকাশে এই দিনের নাম "আহাদ ওয়াল মাওহূদ", আর জমিনে এর নাম "মীসাকুল মাখূয ওয়াল জমউল মাশহূদ"।
(আল ইকবাল, ২য় খন্ড, ২৮২ পৃষ্ঠা)
ইমাম জাফর সাদিক আঃ থেকে তিনি তাঁর পিতা ইমাম বাকীর আঃ থেকে বর্ণনা করেছেন, “ইবলিশ, আল্লাহর শত্রু, চারবার চিৎকার করেছিল: যেদিন সে অভিশপ্ত হয়েছিল; যেদিন তাকে পৃথিবীতে অবতীর্ণ করা হয়েছিল; যেদিন নবী সঃকে দুনিয়াতে নিযুক্ত করা হয়েছিল; এবং গাদির দিবসে”।–(কুরবুল ইসনাদ, পৃষ্ঠা-১০)
আল্লাহ্ আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




