সবাইকে ব্লগ দিবসের ভালোবাসা। চাষী হবার ইচ্ছায় ব্লগিং জীবনে ভাটা নেমেছে। ইচ্ছে ছিলো, আসাম স্টাইলে স্বল্প পরিসরে চা বাগান করবো। কিন্তু, আমার মেন্টরের সাথে কথা বলার পরে, আমি এখন পুরোদস্তুর একজন কফি চাষী হবার পথে। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া হতে ঢাকা হয়ে এখন আমি রংপুরে, চাষীদের সাথে কথা বলার জন্যে।
রংপুর-নীলফামারীতে এখন কফি বিপ্লব চলছে। এই বিপ্লব মৌলভীবাজারের উঁচু ভূমিতে ছড়িয়ে দিতে আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। নিজেই শুরু করছি ১৫ বিঘা উঁচু ভূমি নিয়ে কফি বাগান।
বাংলাদেশের চা বাগানগুলো ভবিষ্যতে কফি বাগানে প্রিন্ট হবে বলে আমার ধারণা। চায়ের চেয়ে কফিতে ১০ গুণ বেশি মুনাফা। তাই, টি প্ল্যান্টাররা কফি চাষের দিকে যাবেই, তা হলফ করে বলে দেওয়া যায়।
আমার নেওয়া তথ্য মতে, বাংলাদেশে দুই ধরণের কফি চাষ হয়- এরাবিকা এবং রোবাস্তা। এরাবিকা ভালো হয় হাই এল্টিচিউড ভূমিতে, আর, রোবাস্তার জন্যে প্রয়োজন লো-এল্টিচিউড। ১ একর ভূমিতে ভালো ফলন হলে ৮০০০ কেজি পর্যন্ত রোবাস্তা কফি পাওয়া যেতে পারে। এখন, প্রত্যেক কেজি দেশী কফির দাম যদি ২০০০ টাকা হয়, তাহলে হিসেব করে দেখুন কত লাভ! এছাড়া কফি স্বাস্থ্যের জন্যে অনেক উপকারী।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১:০১