সত্যিই, আমি অবাক হয়ে যায় ???
পাঠ্যসূচির কারণে ছোটবেলা থেকেই একটা শিশু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে ভালো ধারণা জন্মে যায়। সে ভাবে, বোর্ডের বইয়ে অন্যলেখকদের খেলা যেখানে মাত্র একটা, সেখানের রবীন্দ্রনাথের লেখা ৪-৫টা।!
কেন আমাদের বাংলাদেশের ছোট ছেলে-মেয়েরা মহাবিশ্বের কবি আল্লামা ইকবাল লেখা পডতে পারবেনা ?
কেন বিদ্রোহী ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম লেখা ৪-৫টা থাকবে না ?
কেন ফররুখ আহমদ ও সৈয়দ আলী আহসান : ইসলামী রেনেসার দুই কবির কোন লেখা পডতে পারবেনা ?
কিন্তু আমি অবাক হই
যেই রবীন্দ্র মুসলমানদের অসভ্য বা যবন বলে গালি দিতো
যেই রবীন্দ্র মুসলমানদের অপবিত্র বা ম্লেচ্ছ বলে গালি দিতো
যে রবীন্দ্র বেনিয়া ব্রিটিশদের দালালি করে নোবেল পেয়েছিলো
যেই রবীন্দ্রনাথ সারা জীবন বঙ্গদেশ বা বাংলাদেশে বিরোধীতা করেছিলো
যে রবীন্দ্র চরিত্রের দিক দিয়ে লম্পট ছিলো (ভাবীর সাথে পরকীয়া করত)
যে রবীন্দ্র কখন চায় নি বঙ্গদেশ বা বাংলাদেশের মুসলমানরা শিক্ষিত হোক
যে রবীন্দ্র চায় নি মুসলমানদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নামক উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা হোক
যে রবীন্দ্র কবিতার মাধ্যমে হিন্দু উগ্রবাদীদের মুসলমানদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিতো
যে রবীন্দ্রের কারণে দাঙ্গায় অর্ধলক্ষ মুসলমান নিহত হয়েছিলো
যে রবীন্দ্রকে তার সময়কার জনগণ দুই চোক্ষে দেখতে পারত না
যে রবীন্দ্র ছিলো এক নম্বর সাহিত্য চোর
যে রবীন্দ্র ব্রিটিশ বেনিয়াদের পা চেটে জমিদার হয়েছিলো
যে রবীন্দ্র জমিদার হয়ে বঙ্গদেশ বা বাংলাদেশের মানুষদের উপর অকথ্য জুলুম-নির্যাতন করত
যে রবীন্দ্রকে কি ভাবে আমরা শ্রদ্ধার আসনে বসাতে যাই? কোন যুক্তি তার পদ্য-গল্প শিখতে যাই??
কিভাবে আমরা তাকে ভালো বলি??? কিভাবে গান-নাচে মেতে থাকি??
আফসুস সে সকল বাংলাদেশীদের জন্য:
যারা রবীন্দ্রের পদ্য-গদ্যগুলো পাঠসূচির অন্তর্ভূক্ত করেছে্
যারা বাংলাদেশে রবীন্দ্রের নাচ-গান গায় ও প্রচার করে
যারা রবীন্দ্রের গানকে জাতীয় সংগীত বলে ও তাতে দেশপ্রেম অনুভব করে এবং
যারা রবীন্দ্রকে কিছু একটা মনে করে........
এ সকল মূর্খদের এখনই কচু গাছের সাথে গলায় দড়ি দেয়ার আহবান জানাচ্ছি।