চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র হারুন উর রশিদ টিউশনী থেকে ফেরার পথে খুন হন গত সোমবার ।সন্ত্রাসীরা কায়সারকে ট্রেনের ভিতর হত্যা করে লাশ বড়দীঘিরপাড়স্থ রেল লাইনের পাশে ফেলে দেয়।এ নিয়ে রংধনুর সাত রঙ একটি পোস্ট দেন। সেই পোস্টে নিহতের রাজনৈতিক পরিচয় শিবির হওয়ার কারনে হায়রে দুনিয়া মন্তব্য করেছেন,
‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শিবিরের কর্ম!!! আফসোস আর দুর্ভাগ্য আমাদের। রাজাকার কন্যা রাজাকার/পাকিস্তান পন্থিই থাকে (ফারজানা মহাbO|Obs) কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা পুত্র পরিনত হয় শিবির কর্মীতে।
তার বাবা যদি আসলেই মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকে, আজকে রাত্রে এমন কুলাংগার সন্তানের বোঝা থেকে মুক্ত হয়ে উনি অনেক দিন পরে শান্তিমত ঘুমাবেন।
আর আমার বাসায় মিষ্টি নাই, আমি এখন একটু চিনিই খাব এক নরপশু দুনিয়া থেকে গেছে এই আনন্দে।‘
আরো কয়েকজন তাকে সমর্থন ও করেছেন।
১৯৭১ সালের অপরাধের জন্য জামাতের রাজনীতি অপসন্দের হতে পারে, গনতান্ত্রিক প্রকিয়ায় তাকে প্রত্যাখান করাও যেতে পারে, যুদ্ধপরাধের অভিযোগে বিচারেরও যোগ্য সে। কিন্তু কোনো যুক্তিতেই শুধু শিবির এই রাজনৈতিক পরিচয়ের কারনে বিনা বিচারে কাপুরুষের মত মানুষ হত্যা্র বৈধতা প্রতিস্টিত হয় না। এমন কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে ও না।
মানবতার যে মাপকাঠিতে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার আর দোসরদের হত্যকান্ড অপরাধ, সেই একি বিচারে ২০১০ সালের এই হারুন উর রশিদ হত্যকান্ড ও অপরাধ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে হত্যাকান্ডকে বৈধতা দেয়ার এই পশুবৃত্তি করার অধিকার জাতি কাউকে দেয় নাই।