অবাক হচ্ছেন পানির অপচয় রোধের সাথে বিদ্যুৎ বাচানোর সম্পরক কি! পানির অপচয় রোধের সাথে বিদ্যুৎ বাচানোর সম্পক অবশ্যই আছে। ঢাকা বা বিভাগীয় শহরগুলোতে আমরা যাচ্ছেতাই ভাবে পানির অপচয় করি। কখনও কি আমরা ভেবে দেখি এই পানির উৎস কোথায়,কিভাবে আমরা এই পানি পাই।গবেষনায় দেখা গেছে আপনি দাত ব্রাশ এবং শেভ করার সময় যে পানি টুকু অপচয় করেন সেই পানি উৎপন্ন করতে যে পরিমান বিদ্যুৎ লেগেছে তা দিয়ে একটি ৪০ ওয়াটের বাল্ব সারাদিন জালানো যাবে। তাহলে আপনি চিন্তা করুন পানির সাথে সাথে আমরা কি পরিমান বিদ্যুৎ অপচয় করি।কি বিশ্বাস হচ্ছে না!আসুন একটু হিসাব মিলিয়ে নিই।
ঢাকা ওয়াসার সূত্রমতে ১কিউবিক মিঃ(১০০০ লিঃ) পানি পরিশোধন করতে খরচ পড়ে মাত্র ৬.২৫ টাকা (2013/মাচের হিসাবে)আর এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে কম খরচের টিট্টমেন্ট । সূত্র দেখুন (Click This Link) এটা শুধু টিটমেন্ট খরচ, প্রকল্প বাস্তবায়ন খরচ যে ১১৪০ কোটি সেটা কিনতু গণনায় আনা হলো না।
আসুন দেখি আমরা কিভাবে পানি পাই।পানি সাধারনত আমরা দুই ভাবে পেয়ে থাকি। ১.ভূ-উপরিভাগের পানি পরিশোধন ২.ভূগরভস্হ পানি উত্তোলন দুটো ক্ষেত্রেই কিন্তু বিদ্যুৎ আব্যশক। ভূ-উপরিভাগের পানি পরিশোধনের জন্য নদী থেকে প্ল্যান্টে এবং প্ল্যান্ট থেকে আপনার বাসা পযন্ত বিদ্যুৎ দরকার। কি পরিমান দরকার তা আপনি আপনার উত্তোলনের জন্য ব্যবহত মোটর দিয়ে চিন্তা করুন।এক মোটরের কারনেই কি পরিমান বাড়তি বিল গুনতে হয়। আর সেই ব্যবহত মোটরগুলো তো আপনার মোটরের চেয়ে অনেক বেশী শক্তিশালী।
আর ভূগরভস্হ পানি উত্তোলনের জন্য ব্যবহার করা হয় অনেক শক্তিশালী পাম্প।
এবার আসি আপনার বাসার ক্ষেত্রে, আপনি কি করেন ২/৩ ঘোড়ার একটি পাম্প দিয়ে নিচে রাখা পানি ছাদে রাখা ট্যাংকি তে সংরক্ষণ করেন। অথাৎ পানি আপনার ছাদ পযন্ত পৌছাইতে কি পরিমান বিদ্যুৎ আব্যশক তা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন।এখন আপনি চিন্তা করুন পানির অপচয়ের সাথে সাথে আমরা িক পরিমান বিদ্যুৎ অপচয় করি।
তাই পানির ব্যবহার সতরকতার সাথেকরে পানির অপচয় রোধ করি সাথে সাথে বিদ্যুৎ অপচয় বন্ধ করি এবং সুন্দর পৃথীবি গড়ি।
বিঃদ্রঃ বানান ভুলের জন্য দুঃখিত।