somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পৃথীবিতে সবচেয়ে খারাপ জব হচ্ছে প্রকৌশল পেশা

২০ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পৃথীবিতে সবচেয়ে খারাপ জব হচ্ছে প্রকৌশল পেশা। বিশ্বাস হচ্ছে না।আচ্ছা কেউ কি বলতে পারবেন আপনারা যে আলিশান বাসা সহ যে রাস্তাঘাট গুলোতে ঘুরে বেরাচ্ছেন কিংবা নাগরিক সুবিধা যে পাচ্ছেন যেমন বর্জব্যাবস্থাপনা অথবা পয়ঃনিষ্কাসন কিংবা নিরপদ পানি সরবরাহের সাথে যারা জড়িত তাদের একটি ধন্যবাদ দিয়েছেন।উল্টো তাদের চোর কিংবা ঘুষখোর বলে গালি দিয়েছেন।একজন প্রকৌশলী কে সৎ থাকার জন্য যে পরিমান ঝড় সামলাতে হয় মনে হয় না তা কোন পেশায় আছে।আরেকটি সত্য যা নাজানলেই নয় এখন এই পেশা শতকরা হারে যে পরিমান সৎ পেশাজীবি আছে তা অন্য কোন পেশাজীবির মধ্যে নাই।চ্যালেঞ্জ!একবার ভেবে দেখেন আপনার শহরের জীবনে ক্যামারার পিছন থেকে কতশত প্রকৌশলী নিরলস ভাবে চেষ্টা করছে আপনাকে স্বাভাবিকজীবন দেওয়ার জন্য।তারপরেও তারা আপনার একটা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য না। মিষ্টি কিংবা শুভেচ্ছা নাহয় বাদই দিলাম। বলবেন তারাতো তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। ডাক্তার কিংবা উকিলরাও তো করে রোগমুক্তি কিংবা মামলা থেকে খালাস পেলে তাদের শোকরিয়া আদায় করতে ভুলে না।

উপরুন্তু প্রকৌশলীদের বেলায় পান থেকে চুন খসলেই হলো। সবচেয়ে ভয়ংকর কথা হলো আাক্রান্ত ব্যক্তি যার বা যে সংগঠনের কাছ থেকে আশ্রয় পাওয়ার কথা থাকে তারাই আাক্রান্ত ব্যক্তি উপর সওয়ার হয়ে যায়।মনে হয় প্রকৌশলী হয়েই পাপ করেছে। পাপ তো হবেই মেরুদন্ড হীন ব্যক্তিরাই যে এই পেশায় আসে। অথচ একজন বালুটানা শ্রমিক কিংবা যোগালীর গায়ে হাত তুলেন ফলাফল ২৪ ঘন্টায়।ডাক্তার কিংবা উকিলদের কথাই বাদই দিলাম।

একজন প্রকৌশল বিজ্ঞান ছাত্রের কতটুকু পড়াশোনা করতে হয় তা শুধু আরেকজন প্রকৌশল বিজ্ঞান ছাত্রই অনুধাবন করতে পারে।আর মেধা! তার একটা পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর আই বি এ-এর ইভিনিং ও এক্সিকিউটিব শাখায় যেখানে ৬০% বেশী ছাত্র প্রকৌশলী ।এত পরিশ্রম,এত পড়াশোনা,এত মেধা তারপড়েও একজন প্রকৌশলী কেই মার খেতে হয়।হায়রে প্রকৌশলী,হায়রে দেশ হায়রে জাতি।

যাদের ছেলে মেয়ে বা আত্নীয় যে ইনঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করছে(শুধু মাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহন যোগ্য)তার একডেমিক ক্যারিয়ার চেক করেন।কী অসাধারন তাদের পারফরমেন্স।জীবনের প্রতিটি ক্ষেতে তারা বাছাই হয়ে এসেছে লক্ষাধীক প্রতিযোগীর সাথে প্রতিযোগীতা করে।অপর দিকে একজন এমপি。。。。 বিচারের ভার আপনাদের কাছে।সেই প্রতিভাবান ছেলেটির মার খেতে হয় একজন ব কলম অশিক্ষিত লোকের কাছে।যে কিনা মেধার বিচারে তার ধারে কাছেও নাই।

আপনি সরকারী চাকুরীজীবী প্রকৌশলী হবেন।তাহলে আপনি নিশ্চিন্ত ধরে রাখেন ৪০ পেরোবার পূ্রবেই উচ্চরক্তচাপ জনিত ব্যাধিতে ভোগবেন। কারন এত চাপ অন্য কোন পেশাতে নেই। সরকারী চাকুরীজীবী প্রকৌশলী (সিভিল)যারা প্রজেক্ট বাস্তবায়নের সাথে জড়িত কেউ বলতে পারবেনা মে-জুন এই দুই মাস সিল্পিং পিল ছাড়া কেউ একরাত শান্তিতে ঘুমাতে পেরেছে।অনেকেই সুযোগের অভাবে সৎ থাকে আর সরকারী প্রকৌশলীরা সৎ থাকার জন্য যুদ্ধ করে (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া)।সৎ বা নিজের বিবেকের কাছে পরিস্কার থাকার ফলাফল ব কলম অশিক্ষিত এমপি ওতার দল বলের কাছে নিগৃহিত হওয়া।

আমার মনে হয় এরচেয়ে ভালো ছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়শুনা করলে। ইসলামের ইতিহাস কিংবা বাংলা। অন্তত কবিতা ফেরি করে পেট চালাতে পারতাম। গাছতলার নির্মল বাতাস আমার সঙ্গী হতো। কারো কাছ থেকে শুনতে হতো না চোর কিংবা ঘুষখোর।সাথে লুঙ্গিউলা চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে ফ্রি ঝাড়ি আর দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও তটস্থ থাকতে হতোনা কখন মার খেতে হয়
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:৫৭
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×