সম্রাট আকবরের সময় বাংলা সনের প্রবর্তন করা হয়। তা করা হয় তৎসময়ের (১৫৫৬ খ্রী: শেষের দিকে পানি পথের দ্বিতীয় যুদ্ধের পর) হিজরী ৯৬৫ সনের সাথে বাংলা সনকে মিলিয়ে দিয়ে।
আমরা অনেকেই জানিনা, প্রবর্তিত বাংলা সন ১,২,৩ এভাবে শুরু হয়নি। বাংলা সনের জন্মই হয়েছে ৯৬৫ (হিজরী ৯৬৫ শুরু থেকে) বয়স নিয়ে। খুব সম্ভবত: ১৫৫৮ সন (৯৬৬ হিজরী) থেকে পুর্নাঙ্গ বাংলা সন গননা শুরু। সে সময় আরবী প্রথম মাস মুহাররম এর সাথে বৈশাখ মাস মিলে যাওয়ায় (সে সময়ে চালু ফসলী সন চৈত্র মাস দিয়ে শুরু হত) বৈশাখ মাস থেকেই বাংলা সন চালু হয়। সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে আকবরের সময় চালু হওয়া এ বাংলা সন একই সাথে চান্দ্র ও সৌর মাসের সাথে সামন্জস্য পূর্ন হয়েও আলাদা স্বকীয়ত্ব বজায় রেখে চলেছে। তবে চান্দ্র মাস সৌর মাস থেকে প্রতি বছর ১১ দিন কম হওয়ায় তা বাংলা ও ইংরেজী মাস/সন থেকে এগিয়ে থাকছে।
বৈশাখ নিয়ে যে বা যারা যা-ই পালন করুন না কেন এতে বাধা দেয়ার কোন অধিকার কারও নেই। যার ধর্মের যে রীতি তা সে স্বাধীনভাবে পালন করবে। তবে ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী "শিরক্" হচ্ছে মুসলমানদের জন্য মহাপাপ, সব গুনাহ মাফ করে দিলেও আল্লাহ তা'লা এ গুনাহ মাফ করবেন না। এখন কি কি কাজ "শিরক্" এর অন্তর্ভূক্ত, তা জানা প্রত্যেক মুসলিম এর জন্য একান্ত আবশ্যক। তা বৈশাখী অনুষ্ঠান-ই হোক বা অন্য কোন যে কোন অনুষ্ঠান।
সম্রাট আকবর বাংলা সন চালু করে এটা মানা/না মানার জন্য কিংবা এ নিয়ে অনুষ্ঠানাদি পালনের কোন ধর্মীয় গাইড লাইন দেয়নি। আর তা দেয়ার যোগ্যতাও তার ছিলনা। অতএব যে যেভাবে খুসি, সেভাবেই তার দিনটি কাটুক।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




