শৈশবের অনেক স্মৃতি মনে আছে,মধুর স্মৃতি। মা আমাকে একটু পরপরই চুমো দিতো। জীবনটা পুরো স্বপ্নের মতো লাগতো। বাবা বাবা বলে ডাকতো। খেতে দিতো। শৈশব মনে হলে বা কোন শিশু দেখলে আমি আপ্লুত হই, বাবা-কে মা-কে মনে পড়ে, সাথে সাথেই কল দেই। কথা কই। একটা শিশুর ভেতর যে সজীবতা তা আর কোথাও নেই। আপন মনে খেলবে,ঘুরবে, বলবে এবং নিজে নিজেই খেলবে। যখন ছোট থেকে বড় হয় তখন তো জানেই না সে কোন পরিবেশের জন্যে, কোন খারাপ সময়ের জন্যে বড় হচ্ছে। একটা সময় তাবৎ পৃথিবী তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে, আবার এমনও হতে পারে পুরো পৃথিবী তার পিছনে।
আমাদের এক প্রিয় শিক্ষক ছিলেন, আব্দুর রাজ্জাক স্যার, সকল শিশুকেই খুব সম্মান দিতেন, আপনি করে বলতেন। একদিন আমরা সবাই বললাম, আপনি স্যার শিশুকে এত সম্মান দেন কেন? তিনি যা বললেন তা অবাক করার মতো, বলেন, দেখো তোমরা শিশুরা কে কি হবে আমি তার কিছুই জানি না। তাই আগামীর কোন এক মানব উপকারী এবং মানবিক মানুষকে আগেই মর্যাদা দিয়ে দিলাম, একজন বললো যদি সে ভবিষ্যতে খারাপ হয়? তিনি বললেন, মানুষকে সম্মান দিলে ফেলে দেয়ার কিছু নেই। বরং অসম্মান দিতে একটি খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো। স্যারের কাছে শুনেই বিষয়টি শেখা, তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধাও বটে। এ নিয়ে উনার কোন আলাদা অহংকার নেই, বলেন, সুযোগ হয়েছে দেশকে দেবার দিয়েছি, আর কি!
যাই হোক, শিশু একটি অপার প্রাণের খেলার নাম। যে ঘরেই জন্মাক শিশু শিশুই। প্রাণের উচ্ছ্বাসে ভরপুর। আমরা যেন শিশুর জন্যে সুন্দর আগামীর পৃথিবী গড়তে পারি।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:৩২