somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাসিনা পর্বের শেষ জরুরী, এটি আর বয়ে নেয়ার পর্যায়ে নেই

২৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ভাই সাবধানে থাইকেন, ইদানীং আব্বাও বলে সাবধানে। কিন্তু যে মানুষটি বেশি কড়াকড়ি সময় গেলে আমার সাথে কথাই বলে না, তিনি আমার মা! মায়ায় বাঁধে না, যা হবে ঐটাই হবে। আলহামদুলিল্লাহ।।
একদম সত্যি বলছি সাবধানের কিছুই নাই, কিছু নাই। অতি কড়াকড়ি ও অতি নিরাপত্তার ভেতর মারাত্মক দূর্বলতা। অতি বাড়াবাড়ি অতিশয় ভেঙ্গে পড়া, এটাই চিরন্তন নিয়ম।

পৃথিবীতে প্রত্যেকের সক্ষমতার একটা চরম সীমা আছে, তারপর আর কিছু নাই। হাসিনা-র সক্ষমতা আমার মাপা হয়ে গেছে এ আন্দোলনে। আমি কখনোই বিশ্বাস করিনি এত দ্রুত হাসিনা তার সর্বোচ্চ সক্ষমতার চূড়ান্ত রূপ দেখিয়ে দেবেন। কাউকে জানার পর তার ব্যাপারে আর কোন আগ্রহ থাকে না। হাসিনাও তেমন আমার আউট অফ স্টাডিতে চলে গেছেন।
অনুমান খারাপ জিনিস তাই অনুমানের কিছু বললাম না, কিন্তু তার যবনিকা আঁচ করা যাচ্ছে।



যাই হোক, হাসিনা ভেঙ্গে পড়া জায়গা উদ্ধারের চেষ্টা করতেছেন, এটি চেষ্টা করা তার ব্যাক্তিক অধিকার কিন্তু নৈতিক অধিকার নয়। নৈতিক অধিকার হলো পদত্যাগ করা।
ঢাকা শহরে এমন একটি জায়গা নেই যেখানে তার দল নৈতিকভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কি ছাত্রলীগ কি যুবলীগ!
কি আওয়ামী লীগ! কারণ প্রত্যেকেই দিনশেষে মানুষ এবং প্রত্যকেই বিচার-বিশ্লেষণ করেন। হাসিনার প্রতিটি টুলস ব্যবহার শেষ, এখন আর সমন্বয় হবে না, গা বাঁচানো খেলা চলবে।
মানুষের ভয় ভেঙ্গে গেলে মানুষের প্রকৃত সৌন্দর্য ফোটে উঠে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে জ্বলজ্বল করতেছে। এ আন্দোলনে সফলতার পর বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের মর্যাদা বেড়ে যাবে ইনশাল্লাহ।

অনেকেই দেখি হুট করে বিএনপি-কে দুই/এক শব্দে মূল্যায়ন করে ফেলেন, ১৬/১৭ বছরে বিএনপি কি মোকাবিলা করেছে তা এ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীবৃন্দ আঁচ করতেছেন।
এমন কি বর্তমান ছাত্রদলকেও বলেন অনেকেই,
আমি বলবো ছাত্রদল সরাসরি অংশ না নিয়ে তার মতো করে শুধু সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমর্থন দান অনেক বড় বিষয়। আর নিজেরা আলাদা মিছিল করা এটিও অসাধারণ পদক্ষেপ। তারপর ব্যাক্তিগতভাবে প্রত্যেকেই সাধারণ শিক্ষার্থী, তাই সে আন্দোলনে কে যাবে আর না যাবে এটি তার ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত।

দেশনায়ক তারেক রহমানের সুস্পষ্ট বক্তব্যটিও অসাধারণ। সরকারকে বলেছেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দেবার ঘৃণ্য চেষ্টা করবেন না। তিনি আন্দোলন নিজেরও করতে চাননি, এটি অনেক বড় মানসিকতার পরিচয়। তিনি সত্যিই দেশনায়ক।

কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন দেশকে বহুদূর নিয়ে যাবে। যত ভয়-ভীতিই আসুক এর সাথে সবারই সামিল হওয়া জরুরী এবং হচ্ছেও। সরকার যে আস্ফালন করতেছে এটা ভয় যে পেয়েছে তা আড়াল করতে, কিন্তু আরো বেশি প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে।


এ আন্দোলনে একটি ছেলেকেই অপছন্দ হতো সে সারজিত। এ আমার ব্যাক্তিগত সমস্যা। কিন্তু এ ছেলেটি কত সুন্দর করে কৌশলে বুঝিয়ে দিয়েছে অস্ত্রের মুখে বিবৃতি নিয়েছে। ডিবি হারুনদের চেয়ে এরা বহুগুণ বেশি বুদ্ধিমান। আঙ্গুলের সাইন দেখুন।

তারুণ্যের শক্তি বড় শক্তি, আর বেশি বল প্রয়োগ করলে বহুলোক দেশে থাকতে পারবে না। রাষ্ট্রের সকল এলিট বাহিনীর পরাজয় ঘটেছে, এখন যারা কথা বলছে তারা নিজের ভয় আড়াল করতে চাচ্ছে আবারও বললাম এবং তারা কাপুরুষের মতো নির্লজ্জ।

কাজী নজরুল ইসলামের কথা দিয়ে শেষ করি

---তোরা সব জয়ধ্বনি কর তোর সব জয়ধ্বনি কর
---ঐ নতুনের কেতন উড়ে আসছে ভয়ংকর।


আমি কোনদিনই ভয় পাইনি, এখন তো প্রশ্নই আসে না। যেতে হবে বহুদূর, বহুদূর যেতে হবে বাংলাদেশটা নিয়ে। এখন জরুরি হাসিনা পর্বের শেষ হওয়া, এটি দেশকে এখন পিছনে নিয়ে যাবে। সময় এখন বাংলাদেশের, বাংলাদেশ হারবে না। ইনশাল্লাহ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ২:১৪
১৫টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্রেকিং: তেহরানের আকাশ এখন ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৬ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:২৫



মধ্যপ্রচ্যের সিংহ বলে খ্যাত ইরান এর তেহরানের আকাশ এখন ইসরায়েলের হতে, চালছে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণ, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইরানের ছোড়া মিসাইলে এখন পর্যন্ত ইসারায়েলে সর্বমোট ২৪... ...বাকিটুকু পড়ুন

Statement by Humayun Kabir, Secretary General of United for Victims of Enforced Disappearances (UVED), at the Meeting with the Human Rights Working Group on Enforced or Involuntary Disappearances, Office of the High Commissioner of the United Nations,

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৬ ই জুন, ২০২৫ রাত ১০:১৬

Statement by Humayun Kabir, Secretary General of United for Victims of Enforced Disappearances (UVED), at the Meeting with the Human Rights Working Group on Enforced or Involuntary Disappearances,
Office of the... ...বাকিটুকু পড়ুন

নেতানিয়াহু কেন ইরানে হামলার সিদ্ধান্ত নিলেন?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৬ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:০৯


যখন এই লেখা পাবলিসড হবে সে সময় ইরানের তেহরানে মারাত্মক হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। অবস্থাদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে ইসরায়েল অল-আউট এটাকে নেমেছে ইরান কে শেষ করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হযরত আলীকে (রা.) মাওলা বলতে বন্ধু বুঝানো হয়েছে, শিয়া ইরানী বা অন্য শিয়াদের দাবী অনুযায়ী তাঁকে নেতা বা খলিফা বুঝানো হয়নি

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৭ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৭:০৯




সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

somewherein blog টিম এর দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৫৪


ব্লগ ব্যবহারের শর্তাবলী ২খ. যেকোন ধরণের মন্তব্য, যার মর্মার্থ আমাদের কাছে গঠনমূলক না হয়ে সংঘাতপ্রয়াসী / উস্কানীমূলক অথবা সমালোচনামূলক না হয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ মনে হলে তা নীতিমালা অনুযায়ী সরিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×