আর সপ্তাখানেক পরেই মুসলমানদের সবচেয়ে পবিত্র মাস সমজান শুরু হবে। আমাদের সাচ্চা মুসলমান ব্যবসায়ী ভাইয়েরা রমজানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলছেন বলে জানা গেছে। বাজারে সব কিছুই আপনি পাবেন, তবে দুই গুণ থেকে তিন গুণ দামে।
ঢাকা শহরে ফকিরের সংখ্যাও এক লাফে কয়েক গুণ বাড়বে এইটাও নিশ্চিত। পবিত্র মাসে মানুষ ৭০ গুণ সওয়াবের আশায় বেশি বেশি ভিক্ষা দেবে। ঘুষও বেশি বেশি খেয়ে সেটা পুষায়া দেয়া হবে।
যেহেতু এই মাসে সারা দিন না খায়া থাকতে হয় সুতরাং সন্ধ্যা থেকে ভোর অবধি খাওয়ার উপরেই থাকতে হবে। ভালো খানা পিনার জন্যে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে চার অংকের অর্থের বিনিময়ে বুফের ব্যবস্থা হবে।
রমজান মানেই ঈদের কেনাকাটা। এখন আমরা বছরে বারো মাসই নতুন পোশাক কিনলেও ঈদের কেনাকাটা বলে কথা। সুতরাং মার্কেটগুলোতে পা ফেলার জায়গাও থাকবে না।
ঢাকায় মানুষের সংখ্যা বাড়বে। সুতরাং যানজটের পরিমাণও বাড়বে। উত্তরা থেকে মতিঝিল যাইতে মাত্র তিন ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
রেস্টুরেন্টের সামনে ছালা বান্ধা হবে। খোলা রাস্তায় সিগারেট খাওয়াও বন্ধ।
কিছু মানুষ শুধু পানি খেয়ে রোজা রাখবে। শুধু চিড়া পানি দিয়ে ভিজিয়ে ইফতার করবে। তারপর বলবে শোকর আলহামদুলিল্লাহ। সকল প্রশংসা আল্লাহর।
আল্লাহ আমাদের এই মাসটা পার করতে পারার তৌফিক দিন। আমিন।