দুনিয়ার মজদুর এক হও
মহান মে দিবসের ডাক
মার্কিন নেতৃত্বাধীন সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতের শাসকগোষ্ঠীর দালাল শাসকশ্রণীর শাসন উচ্ছেদ করুন
শ্রমিকশ্রেণীর নেতৃত্বে সমাজতন্ত্র-সাম্যবাদের লক্ষ্যে জনগণের ক্ষমতা দখলের বিপ্লবী সংগ্রাম গড়ে তুলুন!
বন্ধুগণ,
প্রতি বছরের মতো এ বছরও ১লা মে মহান মে দিবস পালিত হবে সারা দুনিয়ার শ্রমিক শ্রেণীর আন্তর্জাতিক ঐক্য ও সংগ্রামের দিন হিসেবে।এ বছর মে দিবসে অধিকতর তীব্রতার সঙ্গে পুঁজিবাদের মজুরি দাসত্বের বিরুদ্ধে,সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব ব্যবস্থা ধ্বংসের ডাক দিয়ে দেশে দেশে মিছিলে যোগ দেবে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক।'পুঁজিবাদ নয়,সমাজতন্ত্র-সাম্যবাদী ব্যবস্থাই মানবজাতির মুক্তির পথ' এই শ্লোগান উঠবে খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রে,জাগরণ উঠবে আরব বিশ্বে,ল্যাতিন আমেরিকা জুড়ে,এশিয়ায়,অস্ট্রেলিয়ায়।
লোহার শেকল পায়ে পরিয়ে যারা শ্রমিকদের কাজ করতে বাধ্য করে,প্রতি মহুর্তে মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে রেখে যারা শ্রমিকদের খাটায় ,নিয়োগপত্রহীন-মনুষ্যোচিত বাঁচার মতো মজুরো ব্যতীত ১৪ থেকে ১৬ ঘন্টা বাধ্যতামূলক ওভারটাইম করতে বাধ্য করে- সেই শোষক পুঁজিপতি বড়লোক শ্রেণীর শাসন উচ্ছেদ ছাড়া শ্রমিকশ্রেণীর মুক্তি সম্ভব নয়।জেলখানায় আটক বন্দিরাও নিজেদের ভেতর কথা বলতে পারে,কিন্তু বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানাসহ ব্যক্তিমালিকানাধীন কারখানায় শ্রমিকদের নিজেদের ভেতর কথা বলারও কোনো অধিকার নেই।
বর্তমান সরকার অতীতের সরকারগুলোর মতোই পুঁজিপতি বড়লোক শ্রেণীর খেতমত করে চলেছে।এরা গণতন্ত্রের কথা বলে,মে দিবস এলে এরা শ্রমিকদের ধোঁকা দিতে মায়াকান্না কাঁদে অথচ এরাই শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দেয় না।উল্টো শ্রমিকদের দমন করতে সরকার শিল্প পুলিশ ও শিল্প গোয়েন্দা গঠন করেছে।বর্তমান সরকারের আমলে গত ৩ বছরে বকেয়া মজুরির দাবিতে,মজরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের উপর পুলিশ গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে অর্ধশত শ্রমিক,আহত করেছে কয়েক শত,মিথ্যা মামলা দিয়েছে কয়েক হাজার শ্রমিকের বিরুদ্ধে।আগুনে পড়ে,কর্মস্থলে দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন কয়েকশ শ্রমিক।
বন্ধুগণ,
পুঁজিপতি বড়লোক শ্রেণীর শোষণের এই ব্যবস্থা রক্ষা করতে সরকার দেশে এক ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে।সভা-সমাবেশ-মিছিলে বাধা দিচ্ছে এবং দেশকে এক পুলিশ রাষ্ট্র পরিণত করেছে। ক্রসফায়ারের নামে আটক অবস্থায় হত্যা করে,গুম করে সারাদেশে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস কায়েম করেছে।সরকার ও শাসকশ্রেণীর পা-চাটা সুবিধাভোগী দালাল শ্রমিক নেতৃত্ব ও তাদের সংগঠন শ্রমিক আন্দোলনকে বিভ্রান্ত ও বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।এছাড়া এনজিওসমূহ(সাম্রাজ্যবাদী সাহায্য সংস্থা)শ্রমিক শ্রেণীর সংগ্রামকে ভোঁতা করতে শ্রমিক-মালিক ঐক্যের ডাক দিয়ে শ্রমিক শ্রেণীকে ধোঁকা দিয়ে চলেছে।বামপন্থী নামধারী কতিপয় শ্রমিক সংগঠন পুঁজিপতি বড়লোক শ্রেণীর সংগঠনের গলা জড়িয়ে ধরে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতের শাসকগোষ্ঠীর হস্তক্ষেপ দিন দিন বেড়ে চলেছে।দেশের মাটির নিচের তেল-গ্যাস-কয়লা প্রাকৃতিক সম্পদ এখন সাম্রাজ্যবাদী বহুজাতিক কোম্পানির হাতে তুলে দিয়েছে।দেশের নিরাপত্তা বিপন্ন করে ভারতকে করিডোর দিয়েছে।দেশে মার্কিন নৌ ঘাটি নির্মাণের ষড়যন্ত্র চলছে।
মহান মে দিবস পালনে আমরা তাই দেশব্যাপী ঐক্যবদ্ধভাবে"মে দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটি"গঠন করে শ্রমিক শ্রেণীর নেতৃত্বে সমাজতন্ত্র-সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগণের ক্ষমতা দখলের সংগ্রাম তীব্রতর করার আহ্বান জানাই।মার্কিন নেতৃত্বাধীন সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতের শাসকগোষ্ঠীর দালাল এ দেশীয় শাসকশ্রেণীর শাসন উচ্ছেদ করার সংগ্রামবেগবান করার আহ্বান জানাই।
কর্মসূচি:১লা মে সকাল৯টা ৩০মিনিটে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ সফল করুন।
মে দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটি:
(জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল,নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা,জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ,জাতীয়গণফ্রন্ট,
সংস্কৃতির নয়া সেতু,গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোট,ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট,বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল(এম-এল),ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী জাতীয় কমিটি,জাতীয় গণতান্ত্রিক শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন(টাফ),বিপ্লবী শ্রমিক আন্দোলন,বাংলাদেশ কৃষক ও গ্রামীন মজুর ফেডারেশন,জাতীয় কৃষক ও ক্ষেতমজুর সমিতি,কৃষক মুক্তি সংগ্রাম,বাঙলাদেশ লেখক শিবির,মুক্তির মঞ্চ,প্রগতির পরিব্রাজক দল,বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন,বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন, ,বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী,ছাত্র গণমঞ্চ,পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ,গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম,হিল উইমেন্স ফেডারেশন,বিপ্লবী নারী মুক্তি,রিকশাচালক মজদুর ইউনিয়ন,গার্মেন্টস মজদুর ইউনিয়ন,বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতি,জাতিসত্তা মুক্তিসংগ্রাম পরিষদ,আদিবাসী মুক্তিমোর্চা)।
মে দিবস দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটি কতৃক অস্থায়ী কার্যালয়৩৩,তোপখানা রোড,মহেরবা প্লাজা(৪-জি,৫ম তলা)ঢাকা-১০০০ হতে প্রকাশিত ও প্রচারিত। ২২ এপ্রিল২০১২
যোগাযোগ:০১১৯৫২০০২১০