"" অদ্ভুদ হলেও সত্যি যে একসময় যারা খুব কাছাকাছি ছিলো বা নিত্যদিনের ছায়াসঙ্গী হিসেবে কাজ করতো, দুঃখ শোকের অংশিদার ছিল কালের বিবর্তনে তাদের কেউ কেউ অনেক দূরে আবার কেউ হয়তো প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ায় সরে গেছে, কেউ হয়তো আমার চাহিদার সাথে মেলাতে না পেরে পালিয়েছে, আসা যাওয়ার মধ্যে আছে কিংবা মাঝামাঝি ঝুলে দন্ডবৎ করছে এমন প্রিয়দের সংখ্যাও নেহায়ত কম নয়। এসবকিছু দেখে আসলে ইদানিং আমার কোন অনুভুতি কাজ করে না, কারন আমি জানি এই সময়টাকে বদলানো সম্ভব না, নতুনকে স্বাগত জানানোই আমাদের ধর্ম, ইচ্ছে করলেই যে কেউ তা রোধ করতে পারে না। তবে কদাচিৎ আমার মনে হয় পারিপার্শ্বিক অবস্থান এবং সময় এই অকালপক্বতার জন্য অথবা এমন উদাসীন মনোভাবের জন্য কিছুটা দায়ী। জীবনের ভাবধারাটাই এখন পুরোপুরি পাল্টে গেছে, একটা সময় স্লোগান ছিলো নিজের মত বাঁচো আর এখন বাঁচার জন্য হয় মরো না হয় মারো ।এ বড় পাল্টানো সময়, এখনই পাল্টে দাও নচেৎ পাল্টে যাও। কোন এক কালে এমন সময় ছিলো সন্তানকে যদি লুকিয়ে চুকিয়ে দু এক টান বিড়ি চালাতে দেখলেই মা বাবার চক্কু চরখ গাছে, আর এখনকার অভিবাবকরা সন্তান নাইট ক্লাবে না গেলে জোর করে ঠেলে পাঠিয়ে দেওয়ার যোগাড়, এক আধ কাপ পাগলা পানি না খাইলে যেন বিরাট অপমান বোধ করে।এমন সন্তানদের নিতান্ত গোবেচেরা সাধাসিধে ছেলে বলে আক্কেপ করতে হয়, এখন কন্যাদায়গ্রস্থ পিতারা ভাবে এই হবু জামাইর অন্তত মামলা না থাক এলাকার দু একটা নষ্টামির সাথে জড়িত না থাকলে তার ঘরে কি মেয়ে সুখি হবে সে আমার মেয়েকে আগলিয়ে রাখতে পারবেতো? সময়ের সাথে সাথে চিন্তা ভাবনাগুলোও পরিবর্তিত হয়, হবে এটাই স্বাভাবিক, তবে অনিয়ন্ত্রত আধুনিকায়ন আমাদেরকে অনেকাংশে একাকিত্বের অনুভুতি ছারা তেমন কিছুই দিতে পারেনি। কখনো কখনো আবার এমনও ভাবনা আসে নাকি সস্পর্ক বিষয়টাই এমনই যে সবকিছুই অপরিকল্পিত, অকল্পনিয়,সত্যিকার অর্থে একজন মানুষকে জানতে যতটা সময় লাগে ঐ সময়টুকুই ঐ মুহূর্তটুকুই ভালো কাটে, হাতে পেয়ে গেলে কিংবা জানা হয়ে গেলে টানটা কমে যায় এবং ধীরে ধীরে আগ্রহ হারায়। যাই হোক, বক্তিগতভাবে বলতে গেলে আমি 'যুক্তিবাদী মানুষ, অকারনে হা হুতাশ করার লোক আমি নয়, এই যুগে ভুত প্রেত রাক্খস খোক্কসের কথা শুনে যেমন আঁতকে উঠি না তেমনি মঙ্গল গ্রহের ফ্ল্যাটের ভাবনাটাকেও একেবারে উড়িয়ে দিই না। আমি জানি পরিবর্তন সংসারেরই নিয়ম, পরির্তনই ধ্রুব সত্য, সত্য বর্তমান, ভবিষ্যত অনিশ্চিত।।""