১.নির্যাতন-নিপীডন থেকে মুক্ত সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো এই ভূগন্ডের সাধারণ মানুষ। আমার বাবাও সেই যুদ্ধে অংশ নিয়ে ছিলো। ২৫মার্চ আমার চাচা কুমিল্লাহ ক্যান্টেনমেন্ট শহীদ হয়ে ছিলেন। কিন্তু আমরা কি পেয়েছি? পাবো কেন ? আমার বাবা কোন কিছু পাওয়ার জন্য যুদ্ধ করেনি। তিনি চেয়েছিলেন, একটি নির্যাতন-নিপীডনমুক্ত একটি বাংলাদেশ। যে দেশের মানুষ দুই বেলা পেট ভরে ভাত খেতে পারবে। কিন্তু কোথায় সেই দেশ...সেই রাষ্ট্র! আদৈা কি সম্ভব? তাহলে কি বেহাত হয়ে গিয়েছে আমাদের স্বাধীনতা! স্বাধীন এ দেশের মানুষের হাতে নির্মমভাবে জীবন দিতে হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন কমরেড সিরাজ সিকদার,বাংলাদেশের রুপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,সৈয়দ নজরুল ইসলাম,তাজউদ্দিন আহম্মেদ,কামরুজ্জামান,ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও রাস্ট্র প্রতি জিয়াউর রহমান। হায় কি নির্মম পরিহাস যারাই বাংলাদেশ নামক রাস্ট্রটির জন্মদাতা,তাদেরকে নিষ্টুরভাবে হত্যা করা হলো। আর এদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠীত হন স্বৈরাচার এরশাদ। যে ব্যক্তি স্বাধীনতা যুদ্ধের পাকিস্তানের পক্ষেকাজ করেছে এবং পরে বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নেওয়া সেনাবাহিনীদের অন্যতম বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলো। একইভাবে ক্ষমতার ভাগিদার হন নিজামী-মুজাহিদরা। আর এদরে সাথেই সমান তালে রাজনীতি করে চলেছে স্বাধীনতার এক মাত্র দাবিদার আওয়ামীলীগ। আর বিএনপি'র কথা না বলাই ভালো।
২. আওয়ামী নেতৃ্ত্তাধীন মহাজোট সরকারের নির্বাচনী এজেন্ডা অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে তারা। বিচার তারা ঠিকই শুরু করেছে। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নই। মানবতা বিরোধী বিচার। একইভাবে ২০০১ সালের নির্বাচন উত্তোর সহিংসতার জন্য মানবতা বিরোধী বিচারের উদ্যেগ হাতে নিয়েছে সরকার। তাহলে ডাক পিটিয়ে কি দরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে বলে। আইন মন্ত্রী যুক্ত রাষ্ট্র থেকে ফিরে বললেন, দয়া করে বিচারের আগে কাহকে যুদ্ধাপরাধী বলবেননা। তিনি বলেছেন,যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা সম্ভব নই। কারণ পাকিস্তানের পরাজিত বাহিনী ভারতের সেনাবাহিনীর নিকট সমর্পণ করেছিলো। তাই এখন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ের মানবতা বিরোধী বিচার করতে হবে।
৩.সরকার কি আমাদের নিশ্চয়তা দিতে পারবে নিজামী-মুজাহিদের গলায় ফাঁসি দড়ি ঝুলাইলে দেশের মেহনতী মানুষের মুক্তি আসবে। তাহলে কাল বিলম্ভ না করে তাদের ক্রসফায়ারে দিয়ে মারা হোক। এক কথায় স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি বলে দেশে কোন শক্তি রাখা যাবে না। তাহলে অনন্ত সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।
৪. জানিনা দেশের ভাগ্য কখনো বদলাবে কিনা, না শুধু দেশের ভাগ্য হাসিনা-খালেদাই আছে? তাদের কি কখনো দেশের জন্য প্রেম জাগবে না? তারা কি শুধু একে-অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যাবেন। ক্ষমতায় এসে হাজারো যুবকের কর্মসংস্থান চিন্তা না করে ১২শ কোটি টাকা খরচ করে একটি নাম পরিবর্তন করেন। হায় কোথায় যাবো আমরা? তাহলে কি আমরা ( যুবকরা) পারাজিত হবো? না পরাজয়ের আগে আত্নহত্যা করবো?