দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে শাসক শ্রেনী কুরআন শরীফকে সংবিধান না মেনে পাশ্চাত্যের সংবিধান নকল করে ৯২%মুসলমানদের সেই বিধান অনুযায়ী চলতে বাধ্য করে আসছে যা মুলত জনগনের মৌলিক অধিকার হরন করার শামিল।
বিদেশী প্রভুদের ভয়ে কোন শাসকই জনগনের এই মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে সম্মত হয়নি হচ্ছে না।
যতবারই জনগন তাদের এই মৌলিক অধিকার ফিরে পেতে রাজপথে শান্তিপূর্ন ভাবে আন্দোলন করেছে ততবারই শাসক শ্রেনী জনগনের উপর নির্যাতন চালিয়েছে। এখনো জনগন শান্তিপূর্ন আন্দোলন চালিয়ে যেতে চাচ্ছে কিন্তু বর্তমান সরকার তার সকল পথ বন্ধ করে বসে আছে।
ফলে নির্যাতিত জনগন দিশাহারা হয়ে আন্দোলনের বিকল্প পথ খুজছে, এই সুযোগ লুফে নিয়ে ইসলাম ও দেশ বিরুধী একটি চক্র জনগনকে ভুল পথে আন্দোলনে উৎসাহিত করছে যাতে গৃহ যুদ্ধ লাগিয়ে দিয়ে অতি সহজে ইসলাম ও দেশ ও মানবতার বারোটা বাজিয়ে দেয়া যায়।
তাই বলবো যালেম সরকারের জুলুমই জঙ্গিবাদকে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এজন্য সরকারকে জুলুমবাজী বন্ধ করে জনগনকেশান্তিপূর্ন আন্দোলনের সুযোগ করে দিতে হবে। অথবা কুরআন শরীফকে সংবিধান মেনে নিয়ে ৯২% জনগনের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
তাহলে জঙ্গিবাদ চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে।
সর্ব যুগের সফল রাষ্ট্র নায়ক ররসুলুল্লাহ সা, বলেছেন "আমার মেয়ে ফাতেমাও যদি চুরি করে তাহলে তারও হাত কেটে দিবো।,, কারন যদিও আমি রাষ্ট্রপতি কিন্তু কুরআন শরীফ আমাকে অন্যায়কারীকে ক্ষমা করার অনুমতি দেয়নি।অথচ বর্তমান মানব রচিত সংবিধানে কুরআনের এই আইনের বিরুধী আইন রয়েছে যেমন: কোন আ, লীগ, নেতা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ১০জন মা বোনকে ধর্ষন করে মেরে ফেললো এবং ১০জনকে মাডার করলো অতপর বিচারপতি মহদয় ভিন্ন ভিন্ন মামলায় ২০টি ফাসির রায় দিলেন আর আসামী দলীয় পরিচয় দেখিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে প্রান ভিক্ষা নিয়ে বেকসুর খালাস পেয়ে গেল। জনগন তাদের মৌলিক অধিকার ফিরে পেতে রাষ্ট্রপতির এই জুলুমের ব্যাপারে প্রতিবাদ জানালো ফলে জনগনের উপর উলটা রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হয়ে গেল। এভাবেই জনগন সঠিক পথে আন্দোলন করে তাদের মৌলিক অধিকার ফিরে না পেয়ে জঙ্গিবাদের প্রতি উৎসাহিত হচ্ছে। এই সহজ উদাহরনটি বুঝতে যত দেরী হবে ততই ইসলাম, দেশ ও মানবতা ঝুকির মধ্যে পড়বে। তাই দেরী না করে কুরআন শরীফকে সংবিধান বানাতে শান্তিপূর্ন মজবুত ইসলামী আন্দোলন গড়ে তুলতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিন। হাত পাখায় ভোট দিন।