৪১ বছর আগে আমরা বিজয় অর্জন করি।
কিন্তু যে সোনার বাংলা গঠনের লক্ষ্য নিয়ে যুদ্ধ হয়েছিল, সেটা কি পূরণ হয়েছে? যে কেউ এর উত্তর দেবেন- ‘না।’
সচেতন মহল মনে করে, এর কারণ হলো দেশের শীর্ষ দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে চরম বৈরী সম্পর্ক। তাদের এ বৈরিতার কারণে রাজনীতি সংঘাতময় হয়ে উঠছে।
এই রাজনীতিই তো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানের মতো নেতৃত্ব জাতিকে উপহার দিয়েছে। অথচ তাদের দুই দলের বর্তমান নেতৃত্ব আজ কী করছে! তারা শুরু করেছে হত্যা-লুণ্ঠন আর সন্ত্রাসের রাজনীতি। জাতিকে ‘উপহার’ দিয়েছে আইনের শাসনহীন এক অরাজক দেশ। মানুষ ভুগছে চরম নিরপত্তাহীনতায়, চাইছে ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি।’
বিজয়ের এ মাসেই রাজনীতি আরো সংঘাতময় হয়ে উঠেছে। একের পর এক হরতাল, জ্বালাও-পোড়াও। দিনে-দুপুরে মানুষ হত্যা, সরকারদলীয় ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের তাণ্ডব। প্রশ্ন উঠছে, এর শেষ কোথায়?
রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে কখনোই দেশ শান্তিময় হবে না। সফল হবে না মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য।
বিজয়ের এ মাসে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে আসুক, দূর করুক তাদের ‘বৈরী সম্পর্ক’। তাহলেই আসবে সত্যিকারের বিজয়। সেই অপেক্ষায় পুরো জাতি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



