যুদ্ধাপরাধের বিচার দীর্ঘ প্রতিক্ষিত বিচার। এ বিচার অনুষ্ঠানের জন্য ৪১ বছর বাংলাদেশের মানুষ অপেক্ষা করেছে। এখন আওয়ামী নেতৃত্ত্বাধীন মহাজোট সরকার মানবতা বিরোধী নামে যুদ্ধাপরাধের বিচার করছে। আযাদের রায়ের মাধ্যমে বিশ্বে যুদ্ধাপরাধ বিচারে বাংলাদেশ ইতিহাস জায়গা করে নিলো।
আযাদ ওরপে বাচ্চু রেজাকারের বিচার ও পালিয়ে যাওয়া নিয়ে সরকারের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। মূলত এটা ঠিক যে বাচ্চু রেজাকার অনুপস্থিত থাকার কারণে তার রায় দ্রুত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকার আসামী পক্ষের উকিল নিয়োগ দিলেও তিনি বাচ্চু রেজাকারের পক্ষে জোরালো ডিফেন্স হাজির করেননি। এটা ঠিক সরকারি উকিল কিভাবে একজন পলাতক অপরাধীর বিরুদ্ধে শক্ত ডিফেন্স উপস্থাপন করবে ?
আরেকটা প্রশ্ন সামনে চলে, বাচ্চু রেজাকার কিভাবে সরকারে কড়া নজরদারির মধ্যেও পালিয়ে যায়? তার পালিয়ে যাওয়ার আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিলো- আযাদকে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে। তিনি যে কোন সময় গ্রেফতার হতে পারেন। অন্যদিকে মিডিয়া সংবাদ প্রকাশ করেছিলো- আযাদ পালিয়ে যেতে পারে। সর্বশেষ মিডিয়ার বক্তব্য সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে- আযাদ কিভাবে পালালো? তার পালানোর পিছনে কি সরকারের কোন গোষ্ঠির সহযোগিতা ছিলো? এসব বিষয়ে ঢাকার কয়েকজন সাংবাদিক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তারা চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। এদের দু'জন মনে করেন, বাচ্চু রেজাকারকে সরকারের উচ্চ মহলে একটি পক্ষ পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছিলো। বিনিময়ে বিশাল অংকের অর্থ লেনদেন হয়েছে। সাংবাদিকরা মনে করে, সরকারের ঐ অংশটির সহযোগিতা ছাড়া কোন ক্রমেই বাচ্চু রেজাকার পালিয়ে যেতে পারে না। আমি জানতে চেয়েছিলাম, এ ঘটনা কেন বাংলাদেশের মিডিয়া প্রকাশ করছে না। উত্তরে সাংবাদিকদ্বয় বলেছেন, এ বিষয়ে রিপোর্ট করার মতো যে সব মিডিয়া আছে, সে মিডিয়াগুলোকে সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আগেই ম্যানেজ করে রেখেছেন।
বাচ্চু রেজাকারকে পালাতে দিয়ে সরকারের লাভ কি ? সাংবাদিকরা বললো- প্রথমটি হলো সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচারের একটি রায় দ্রুত পেয়ে গেলো। অপরটি হলো- বাচ্চু রেজাকারের পালানোর বিনিময়ে বিশাল অংকের অর্থ লেন দেনের মাধ্যমে সরকারের উচ্চ মহলের কয়েক জনের পকেট ভারি হয়েছে। সবমিলিয়ে দুই দিক রক্ষা করেছে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর বাচ্চু রেজাকার পলাতক রয়েছেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



