somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মহামতি সাকা

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হকিংএর ক্রনোলজি রক্ষণ তত্ত্বকে ভুল প্রমাণ করে টাইম মেশিন বানিয়ে বসলেন বিজ্ঞানী সাকা ওপেনহাইমার। এ কাজে তিনি টিপলার সিলিন্ডার সিস্টেম ব্যবহার করলেন, কারণ ওয়ার্মহোল কিম্বা মহাজাগতিক দড়ি কিম্বা কৃষ্ণবিবর ছেলের হাতের মোয়া নয় যে চাইলেই পাওয়া যাবে। আর যথেষ্ট পরিমাণ -ve শক্তি ছাড়া আলক্যুবিয়ের ড্রাইভ করাও সম্ভব না।

এবার আর তাঁর পদার্থে নোবেল আটকায় কে। তবে বিজ্ঞানী সাকা গভীর জলের কাতলা, শুধু পদার্থে সন্তুষ্ট না, তাঁর লক্ষ্য ১ই বছর শান্তিটাও বাগিয়ে নেয়া। অবশ্যি তাঁর দেলে যে মহৎ উদ্দেশ্য, শান্তিটাও তাঁরই প্রাপ্য- টাইম মেশিনে অতীতে গিয়ে রবার্ট ওপেনহাইমারকে কতল করা, যে ছিল পারমাণবিক বোমা তৈরির পালের গোদা।

তবে ব্যাপারটা 'গেলাম মারলাম আর আইসা নোবেল ঘরে তুললাম' - অমন নয়। কিছু জটিলতা আছে- টাইম ট্র্যাভেলের পরিণতি নিয়ে নানা মুনির নানা মত।

প্রথমত, নভিকভ এর সামঞ্জস্য নীতি। এই নীতি অনুযায়ী, মানব অতীতে গেলেও এমন কিছু কত্তে পারবে না যা ইতিহাসকে বদলে দেয়।

দ্বিতীয়ত, মাল্টিভার্স বা প্যারালাল ইউনিভার্স থিওরি। এটা বলে, কেউ অতীতে গেলেই ১টি নবসৃষ্ট জগতে প্রবেশ করবে। তার সমস্ত কর্মের ইফেক্ট ঐ জগতে প্রযোজ্য হবে, ইহজগত থাকবে অপরিবর্তিত।

তৃতীয়ত এবং মূলত, গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্স বা দাদুভাই সংকট। রবার্ট ওপেনহাইমার সাকার পূর্বপুরুষ। সাকা রবার্টকে কতল করলে সাকার নিজের অস্তিত্ব থাকবে কিনা তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা অত্যন্ত সন্দিহান। সাকাবাবু বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট।

বিজ্ঞানী সাকার সামনে ১টাই আশা, আর তা হল করাপশন টাইমলাইন/ ইরেইজড টাইমলাইন/ ডেসট্রাকশন রিজল্যুশন তত্ত্বগুলোর যে কোন ১টি সঠিক হওয়া। তবে এখানেও ঝামেলা আছে, করাপশন সঠিক হলে সাকা কর্মসাধন শেষে বর্তমানে ফিরতে পারবেন, ইরেইজড বা ডেসট্রাকশন সঠিক হলে আর ফিরবেন না। ইরেইজড এর ক্ষেত্রে নবসৃষ্ট জগতে আটকা পড়বেন, ডেসট্রাকশনের ক্ষেত্রে ভ্যানিশ হয়ে যাবেন। বেচারার নোবেল হাতানো হবে না।

যা থাকে কপালে, মানবের হিতসাধনই সাকার মূল চাহাত, নোবেল ত বাই-প্রোডাক্ট মাত্র। নিজ অস্তিত্বের ঝুঁকি নিয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে টাইম মেশিনের স্যুইচ চাপলেন মহাজ্ঞানী সাকা।

সরাসরি ম্যানহাটন, ১৯৩৯। পারমাণবিক টিমের মদ্যপানের আসরে ভোজবাজির মতো উদয় হলেন সাকা। অমন কড়া নিরাপত্তা ভেদ করে ঐ কক্ষে সাকার আবির্ভাবকে এটমিকরা মদ্যপানজনিত বিভ্রম ঠাওরাল। সে ভুল ভাঙতে দেরি হোল না, যখন সাকা চোখের পলকে রবার্টকে টুঁটি চেপে কতল করলেন। কিন্তু ডেসট্রাকশন রিজল্যুশন তত্ত্ব সঠিক হল। নিজ পূর্বপুরুষকে হত্যা করায় সাকার অস্তিত্ব ইনভ্যালিড হোয়ে গেল, ছোটখাট বিগব্যাং হোয়ে E = mc^2 হিসেবমতো আলো বিকিরণ করে ভ্যানিশ হয়ে গেলেন মহামতি সাকা।

রবার্টের লাশে লেখা পাওয়া গেল-
i am a ghost from the future. from now on, whoever tries to make human-killing system, dies like this.

ইসিডর রাবি, বেইনব্রিজ, নীলস বোর, ফারমি প্রমুখ হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে যে যেদিকে পারেন চম্পট দিলেন।

আর কেউ কখনো অমন মারণাস্ত্র বানাতে সাহসী হল না। সাকার বিকিরিত শান্তির আলোয় মানব সুখে শান্তিতে বসবাস কত্তে লাগল।

আর হ্যাঁ, মহামতি সাকা যুগপৎ পদার্থে ও শান্তিতে মরণোত্তর নোবেল পেয়ে চিরস্মরণীয় হলেন।

(পাঠক যদি খুশি হয়ে সাকাকে সাহিত্যেও নোবেলটা দিয়ে দেন, সাকা আপত্তি করবেন না 3:) )
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×