পুলিশের হাতে প্রতিনিয়ত ধর্ষিত হচ্ছে রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের সরকার নামক কন্যা যেন অসহায়। রাষ্ট্রের এ অসহায়ত্ব অবস্থা বেশি দিন চলতে পারে না। অতীতের বহু ঘটনা তার প্রমাণ। পাকিস্তানের পারভেজ মোশাররফের সময় দেশটি প্রতিনিয়ত ধর্ষণের শিকার হচ্ছিল। ধর্ষক মোশাররফ ও তার দলবল বেশিদিন টিকতে পারেনি।
পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশের উন্নাসিকতার ব্যাপারে একেবারে উদার। পাহারাদারদের হাতে প্রতিদিন ধর্ষিত হতে হচ্ছে আমার বাংলাদেশকে। সরকার নামক পতিতার কোনো উচ্চবাচ্য করার ক্ষমতা নেই। সব যেন নির্জীব। পুলিশকে ধর্ষণকাণ্ড ঘটতে সহায়তাকারীদের নিশ্চিত পরিণাম ভোগ করতেই হবে। তা আজ হোক আর কাল হোক। সুনামগঞ্জের বাহুবলে চারটি শিশু নিখোঁজ হলো। পুলিশের কাছে অভিযোগ গেলে তারা কোনো পাত্তা দেয়নি। পরে তাদের লাশ উদ্ধার করা হলো। ব্লগাররা প্রতিবছর খুন হচ্ছে। পুলিশ এ ব্যাপারে নিরব ভূমিকা পালন করছে। জিডি করলেও তা নিচ্ছে না।
রাষ্ট্রের ওপরে যারা পুলিশকে জোর করে চড়িয়ে দিচ্ছে তারা দেশের ভালো পরিণাম চায় না। এরা যে অল্প সময়ের (মহাকালের সময়ের তুলনায়) জন্য এসেছে তা ভালো করেই জানে। পুলিশও জানে এরা তাদের কাঁধে ভর করেই সময়টুকু কাটাতে চাই। এজন্য রাষ্ট্রের ইজ্জত পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। পুলিশের মতোই রাব বিজিবি ধর্ষক হয়ে উঠেছে। প্রতিরক্ষা বাহিনী খুব গোপনভাবে রাষ্ট্রকে পতিতার কাতারে ঠেলে দিচ্ছে। ধর্ষককে তারা পাত্তা দিচ্ছে নিরবে। এগুলো কোনো দেশের জন্য ভালো লক্ষণ নয়। এ ক্ষমাহীন অপরাধের দায় বা পরিণাম গোটা জনপদের ওপর এসে পড়বে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
বিষয়টি এতো ভয়াবহ আকার নিয়েছে যে, এখন নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিতেও কেউ সাহস পাচ্ছে না। নিজের অস্তিত্বে কথা ভেবে রাষ্ট্রকে ধর্ষণ করানো হচ্ছে। এর বিষক্রিয়া হয়তো আগ্নেয়গিরি হবে না..কিন্তু নিরাপদ জীবনের স্বপ্ন সাধ সব ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫