কি-লগার এমন একটি প্রোগ্রাম যা আপনার কম্পিউটারে বসে আপনার প্রতিটা কি-ষ্ট্রোক সংরক্ষন করে তা কোন একটি এফ.টি.পি.(ফাইল ট্রান্সফার প্রোটোকল) বা ই-মেইলে পাঠিয়ে দিবে। তার ফলে আপনার টাইপ করা সকল পাসওয়ার্ড ও গোপনীয় তথ্য অন্য কারো কাছে ফাস হয়ে যেতে পারে। আজকাল ছোট থেকে শুরু করে বড় পর্যন্ত বেশির ভাগ হ্যাকারই এই প্রোগ্রামটি ব্যভার করে। যদি আপনার ফেইসবুক, ইয়াহু, জি-মেইল বা অন্যান্য এ্যাকাউন্ট যদি একই বারে হ্যাক হয় তাহলে তা কি-লগার দারা করে থাকার সম্ভাবনাই বেশি।
কি-লগারের তৈরি ভাল কাজের জন্যই শুরু হয়। পরে তার অপর্যবহার করা শুরু হয়। পরিবারে বাচ্চারা যাতে নষ্ট না হয়, তাই কি-লগার কম্পিউটারে ইন্সটল করে মাতা-পিতারা তাদের সন্তানদের সকল কাজের ওপর নজর রাখতেন। আবার, অনেক সময়, অফিসের মালিক তার কর্মচারীদের ওপর নজর রাখতে কম্পিউটারে কি-লগার লাগিয়ে রেখে দেন। তার ফলে কর্মচারীরা কাজের বাহিরে অন্যান্য কাজ থেকে বিরত থাকত।
এখন কি-লগার অনেক বিপদজনক হয়ে গেছে। অনেক পে-প্যাল এ্যাকাউন্ট, ইয়াহু এ্যাকাউন্ট, ব্যাংক এ্যাকাউন্ট, ইত্যাদি হ্যাক হচ্ছে শুধু এই কি-লগার দারা।
কি-লগার থেকে বেচে থাকা সম্ভব।
১. কি-লগার বিশেষ করে কি-বোর্ডে টাইপ করা সবকিছু সংরক্ষন করে। কেননা আমরা কি-বোর্ডে আমরা আমাদের পাসওয়ার্ড টাইপই না করি?? আমরা চাইলে উইন্ডোজের অন-স্ক্রিন কি-বোর্ড ব্যবহার করতে পারি। তা দিয়ে আমাদের পাসওয়ার্ড আমরা টাইপ করলে বেশির ভাগ সময় কি-লগার ধরতে পারে না। স্টার্টে গিয়ে রান-এ ঢুকে আপনি "osk" কমান্ডটি লিখলেই অনস্ক্রিন কি-বোর্ড চলে আসবে(উইন্ডোজে)।
২. কি-লগার কি-বোর্ডে চাপা প্রতিটি কি-ষ্ট্রোক ধরে ফেলে। কিন্তু আমরা চাইলে এ্যান্টি-কিলগার নামের একটি প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে পারি যা দিয়ে আমাদের কি-ষ্ট্রোক এনক্রিপ্টেড হয়ে যাবে এবং কি-লগার তা আর ধরতে পারবেনা। বিভিন্ন এ্যান্টি-কিলগারের মধ্যে আমার প্রিয় হচ্ছে কি-স্ক্র্যাম্বলার(www.qfxsoftware.com)।
৩. ইন্টারনেটে অনেক হ্যাকিং সফ্টওয়্যার ডাউনলোডের সময় লিখা থাকে যে আপনি আপনার ভাইরাস স্ক্যান বন্ধ করতে হবে। এই ভুল ভুলেও করবেন না। আপনার ভাইরাস স্ক্যান সবসময়ে আপডেটেড রাখবেন ও কখোনো বন্ধ করবেন না। যদি কিছু ডাউনলোড করার সময় ভাইরাস স্ক্যান তা বন্ধ করতে চায় তাহলে নিশ্চিন্ত হয়ে ডাউনলোডটি বন্ধ করে দিবেন।
৪. অনেক সময় ভাইরাস-স্ক্যানও কি-লগার ধরতে পারেনা। এর জন্য আপনি সবসময়ই কোন একটি এ্যান্টি-স্পাই সফ্টওয়্যার ইন্সটল করে রাখবেন।
৫. ইন্টারনেট থেকে কখনো কোন হ্যাকিং সফ্টওয়্যার ফ্রিতে ডাউনলোড করবেন না কারন বেশির ভাগ সময়ই সেগুলোতে কি-লগার বাইন্ড করা থাকে।