somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সেলিনা জাহান প্রিয়া
আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

গল্প ঃ- ভালবাসায় যত কিন্তু ( প্রথম খণ্ড )

০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


(১)---------------------------------------------------------------------------
কিন্তু কি ? আমাকে খুলে বল শুনি । তোমার মধ্যে যে কিন্তু কাজ কারছে সেই কিন্তু সত্য নাও হতে পাড়ে । কি কথা বলছ না কেন ? চুপ থাকা মানে কিছু লোকানো ।
যার কাছে উত্তর দেয়ার মতো বিন্দু মাত্র উপাদান থাকে সে কোন দিন চুপ করে থাকে না। চুপ করে থাকার মানেই কিন্ত কিছু আছে । আমাকে বোকা মনে কর না। আমার সরলতা আমার বিশ্বাস । আমি চাই তুমি আমাকে তোমার কিন্তু গুলো সরল অংকের মত পরিষ্কার করে বলবে ।
হিমেল কোন কথা না বলেই চলে যেতে চায় । এই শহরের পার্কে বাদাম ঝাল মুড়ি আর ফকিরের জন্য একটু বসা যায় না। চলে যাওয়ার সময় শান্তনু বলে হিমেল আবার কবে দেখা হবে । হিমেক পকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে আগুন ধরায় শান্তনুর দিকে চেয়ে বলে আম্মু তোমার সাথে একটু কথা বলতে চায় । শান্তনু বলে আমার হাতটা একটু ধর আমি উঠি । ঘাসে বসলে আর উঠতে ইচ্ছা করে না। তা তোমার মা কি মনে করে আমার সাথে কথা বলতে চায় একটু বল । হিমেল বলল চল হাটতে হাটতে বলি । সামনে থেকে একটা রিকসা নিয়ে বাকিটা তোমাকে একটা ধারনা দেই ।
মন্দ হয় না। চল একটু হাঁটি । হিমেল একটা কথা বলি আব্বু তো জান শেষ বয়সে আরেকটা বিয়ে করেছে । আর আমরা নানা বাড়ি থাকি । মা যে দুটা ফ্ল্যাট পেয়েছে তাতে আমাদের মা মেয়ের চলে যায় । আমার লেখা পড়া শেষ হতে সময় লাগবে ।
তুমি চাকুরী না করে একটা ব্যবসা শুরু কর । আমার নানা ব্যবসা করত । বাবা চাকুরী করে সব সময় নানার উপর নির্ভরশীল ছিল । আমার পা তাই বাবা কে অনেক ছোট করে কথা বলত । হিমেল বলল এবার ধাম আমি তো সবেই জানি । তোমার মা হল বাবা আর ভাই ভাই করে ভাগ্য ভালো যে তুমি একা । না হয় আমার ও তাই হয়ত শুনতে হত । হিমেল ঐ রিকসা ডাক দাও ।
---------- তুমি কোথায় যাবে শান্তনু ?
---------- শান্তনু একটু মেজাজ করে বলল আরেকটা প্রেমিক আছে তাঁর কাছে যাব । আমি কোথায় যাব তুমি জান না । আজ কি হল তাই বুঝতে পারছি না । দিলে তো মোড টা খারাপ করে ।
---------- আরে রাগ কর কেন ? আমি এখন একটু এ জি বি কলোনি যাব । যদি কাজ না থাকে তাহলে আমার সাথে যেতে পাড় ।
----------- ঐ খানে কি কাজ শুনি
----------- ছোট মামার শ্যালী রায়না অ্যান্টি দেখা করতে বলছে ।
---------- চিনি তো তাঁকে ঐ মহিলা বেশী বক বক করে । আর তোমার মাকে কান পড়া দেয়ার জন্য এক নাম্বার । আচ্ছা তুমি যাও । আমি আল্লাহ্‌ হাফেজ ।
এই শান্তনু ঐ দেখে দেখ ওইটা তোমার মামাত বোন নিহা না।
------------ হ্যা নিহা ঐ খানে কি করে ও তো স্কুলে পড়ে এবার ক্লাস নিউ টেন । সাথে কে ঐ টা । ও চিনি তো আমাদের পাশের বাড়ির ফ্ল্যাটের ছেলে এবার এস এস সি দিল । ওরা পার্কে কেন ?
------------ শান্তনু থাক তুমি গেলে ভুল বুঝতে । ছোট মানুষ আবেগ বেশী । মনে হয় একটু একটু প্রেম দেখনা ছেলেটা হাত ধরতে চায় । আর সরিয়ে নিয়ে যায় ।
----------- বল কি হিমেল । ওর বাবা জবাই করে ফেলবে ।
----------- শান্তনু তুমি ওদের কাছে যাবে না । বাসায় গিয়ে কিছু বলবে না। তোমার মাকে মামাকে বা মামী কে , কাউকে না। তুমি তাঁকে বলবে বুঝবে । না হয় আমি একদিন কথা বলব । একটা চাইনিজে নিয়ে আসবে । কারন বাবা মা নিজেরা প্রেম করে বিয়ে করবে কিন্তু সন্তানের প্রেমর কথা শুনতেও পাড়বে না। এই বয়সে ছেলে মেয়ে
একটু এমন হয় । এটা আমাদের সমাজের দোষ । যে ভাবে আজকাল চ্যানেলে খুলা মেলা
প্রেম দেখায় । বাচ্চারা তাই শিখে ।
--------------- তুমি আমাকে শান্ত করলে না হয় এখন গিয়ে চুলের মুঠি ধরে নিয়ে যেতাম। ভাগ্য ভাল তুমি আমাকে বুঝাতে পেরেছ ।
শান্তনু একটা রিকসা নিয়ে বোন কে আরেক বার চেয়ে দেখল ঘাড় বেকিয়ে । মনে মনে একা একা হাসল । দূর থেকে বিদায় জানালো হিমেল ।
(২ )----------------------------------------------------------------------------------
হিমেলের মা রান্না ঘরে কাজের মেয়ে এসে শাওন এসে বলল আম্ম জান হিমেল ভাই আসছে । আচ্ছা তুই গিয়ে বল যে খালুজান বলছে রাতের আজ রাতেই রাজশাহী যেত হবে যা তে সব ঠিক গুছিয়ে নেয় । আচ্ছা আম্মা আমি বলছি ।
সাওনের বয়স ১৫ বছরের মতো । এসেই বলল ভাইজান রাতেই আজ আপনাকে রাজশাহী যেতে হবে খালু জান বলেছে । অফিস থেকে বাবুল ভাই ট্রেনের টিকেট দিয়ে গেছে । মনে হয় পারু আপার সাথে আপনার বিয়ে হয়ে যাবে । তাদের তো বিশাল এম বাগান আম খেতে আর পয়সা লাগবে না।
---------------- তকে কে বলেছে ।
----------------- আম্মাজান বলেছে ।
----------------- বেশী পাকনামি করিস ।
------------------ পাকনামি এবার কি ? ফ্রি আম না দিলে না দিবেন । টাকা দিয়ে কিনে
খাব । টাকা হলে কি আমের অভাব ।
---------------- তা টাকা পাবি কোথায় ।
---------------- ভাইজান কি যে বলেন আমার কি আর বিয়ে সাধি হবে না। তখন জামাই টাকা দিবে । এখন যেমন খালু জান আম্মাজানেরে টাকা দেয় ।
হিমেল বলল তাহলে আমার জন্য কিছু রাখিস ।
--------------- কি বলেন ভাই জান আপনার জন্য না রেখে আমি কোন দিন একটা আম মুখে দিব না।
-------------- আচ্ছা শাওন আমার ব্যাগ তুই গুচিয়ে রাখিস । আমি ছাদে গেলাম আজ তো গাছে পানি দেয়া হয় নাই ।
--------------- আপনে যান আমি আপনার জন্য চা নিয়ে আসতেছি ।
--------------- চা লাগবে না মাকে আসতে বলিস ।
---------------- আম্মাজান তো আপনার সাথে কথা বলবে না। ঐ মেয়েটা যদি আসে তাহলেই কথা বলবে । আপনি কেমন মানুষ ভাইজান মেয়েটা কে আসতে বলতে পারেন না । আপনার মধ্যে কি কোন কিন্তু আছে ।
---------------- কিন্তু আমার মধ্যে নেই আছে তোমার আম্মাজানের মধ্যে ।
--------------- আসলে আম্মাজানের মধ্যে কোন কিন্তু নাই সকল কিন্তু খালু জানের মধ্যে
দেখেন না আগেই চলে গেছে রাজশাহী ।
------------------ আচ্ছা যা মাকে বলিস যে কোন সময় শান্তনু আসবে । আমি ছাদে আছি । তুই আমার কবুতরের জন্য খাবার নিয়ে আয় ।
শান্তনু ছাদে চলে যায় । শাওন রান্না ঘরে যায় । শাওন কে দেখে বলল কিরে যাবে তো
রাজশাহী ? আমি জানি না।
----------------- জিজ্ঞাসা করিস নাই ?
----------------- করেছি তো বলল আমাকে কাপড় গুছাতে । আপনাকে ছাদে যেতে কি জানি কথা আচ্ছে । আর ভাইয়া সরি বলেছে ।
----------------- মিথ্যা বললি কেন ? হিমেল তো সরি বলে নাই । আমি তো সব শুনেছি আড়াল থেকে ।
------------------ আম্মাজান সরি আস্তে বলেছে আর বলেছে চা আর মা কে নিয়ে ছাদে আয় । মা যদি যেতে বলে যাব ।
------------------ তকে তাই বলেছে আমি যেতে বললে যাবে ।
------------------- আমি তো আম্মাজান তাই শুনেছি ।
শাওন মনে মনে বলে একটু মিথ্যা বলে যদি মা ছেলের কিন্তু দূর করা যায় তাহলে ঘরে শান্তি আসবে ।
হিমেল ছাদে গাছে পানি দেয়া শেষ করে দেখে তাঁর মা চা নিয়ে এসে বলল নে ধর ।
চা খাঁ । তুই রাজশাহী যা তোর বাবা ঐ খানে আছে । আর যদি তোর পছন্দের মেয়েটা আমার পছন্দ হয় তখন না হয় একটা ব্যবস্থা হবে । তুই বাবা তোর বাবার মুখটা আপাদত রাখ । কোন বাবা মা সন্তানের খারাপ চায় না ।
হিমেল বলল থ্যাংকস মা । তুমি অনেক অনেক ভাল ।
----------------- থাক মা কে থ্যাংকস দিতে হয় না। আমি জানি বাবা তো্র মনের অবস্তা টা । কিন্তু কি করব তোর বাবা তো এক রুখা মানুষ ।
শাওন কবুতর খাবার দিচ্ছে আর হাসছে । হিমেল বলল ঠিক আছে মা । আমি রাতে যাচ্ছি । সরি মা আমার ভুল হয়েছে গত কয়দিন তোমার সাথে কথা বলিনি ।
-------------------- থাক সরি বলতে হবে না।
শাওন বলল আমি বলেছি না ভাইয়া সরি বলেছে এখন বিশ্বাস হল । সবাই এক সাথে হেসে দিল ।
(৩)------------------------------------------------------------------------------
শান্তনু বাসায় এসে কি করবে ভাবছে ? শান্তনুর চেহারা দেখে তাঁর মা বলল কি রে কি হয়েছে । এমন ছটফট করছিস কেন ? কোথাও কিছু হয়েছে ?
------------- না মা আজ হিমেলের সাথে দেখা হয়েছে ছিল ।
------------- তা কি বলল ?
-------------- তেমন কিছু না । ওর মায়ের সাথে দেখা করতে বলেছে ?
-------------- মনে হয় বিয়ে নিয়ে কোন কথা বলবে । শান্তনু তুই হিমেল কে বলি দিবি
বিয়ে করলেও তুই আমার কাছে থাকবি । আর তোর মামারা যথেষ্ট
সাহায্য করবে ? চাকুরী তাঁর মামাদের ফার্মে করতে পাড়বে । এক মাত্র
ভাগ্নি জামাই । আমার ভাইরা আছে । তাদের অবস্থা হিমেলের মাকে
পরিষ্কার করে বলে দিবি ।
-------------- মা সব সময় ভাই ভাই কর না। কি দিয়েছে তোমার ভাইরা । যে দুটা
ফ্ল্যাট পেয়েছে তাও নানার অংশ । নানার ব্যবসার কোন ভাগ তো দেই নাই
। আমি বললে বল বেশী কথা। সারা জীবন বাপ ভাই করে করে নিজের
জীবন শেষ করলা । তোমার ভাইইয়ের মেয়ে এখন ক্লাস টেন এ পড়ে ।
কোথায় যায় কি করে তাঁর খবর নাও ।
------------- আমার ভাইয়ের মেয়েদের চিন্তা করতে হবে না। নিজের চিন্তা কর ।
তোমার জাত গুষ্টির চিন্তা কর । তাদের বাবার টাকা আছে । টাকা
থাকলে কয়লার ময়লা হিরা হয়ে যায় ।
মায়ের কথায় শান্তনু চুপ হয়ে যায় । কারন ওর মা একবার কথা শুরু করলে আর থামতে চায় না। শান্তনু ভাল করে জানে হিমেল কোন তাঁর বাবা মা কে ছেড়ে আসবে না। শান্তনু ছাড়া তাঁর মায়ের আর কেউ নাই । মাকে ছেড়ে যাওয়া ঠিক হবে না।
একা একা বিয়ে করব এটা শান্তনু ভাবতে ও পারছে না। নিজ ঘরে বসে একা একা চোখের পানি ফেলছে । মানুষ জীবন বড় জটিল । বাবা থাকলে হয়ত ভাল হত । মন খারাপ থাকলে মাঝে মাঝে বাবার কাছে যায় মা কে না জানিয়ে । কারন মা বাবার নাম শুনতে পাড়ে না ।। এমন ভাবনার মাঝে নিহা ঘরে এসে চিৎকার দিয়ে বলে
------------------ সবাই কে কি তুমি তোমার মতো মনে কর । ফুফুর কাছে আমার ব্যাপারে কেন মিথ্যা বলেছে । আমি যে বাহিরে গিয়েছে তাঁর কোন প্রমাণ আছে তোমার
কাছে । তুমি প্রেম করলে দোষ না। আমি প্রেম করলে দোষ । আপু নিজের চিন্তা কর ।
আমার কোন ব্যাপারের আর কোন কথা ফুফু কে বললে আমি সোসাইড করব । কথা যেন মনে থাকে ।
শান্তনু অবাক হয়ে নিহার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে তাঁকে । তাঁর পড় বলে
------------------- ঠিক আছে মনে থাকবে তুমি যাও ।
শান্তনুর মা এসে বলে কই নিহা তো কোথাও যাই নেই । ওর দুই বান্ধবি কে ওর মা ফোন করলো সবাই নাকি এক সাথে স্কুলে ছিল । কই জানি তুই কাকে দেখে কই বলিস ।
থাক ওদের ব্যাপারের তোর কোন কথা বলার দরকার নাই । আর নিহা একটু পাজি
। বয়সের তুলনায় একটু বেশী বেয়াদপ ।
শান্তনু মায়ের মায়ের কথা শুনে কিছু আর বলে না। একটু পড়ে এবার শুনতে পায়
শান্তনুর মা জানালা দিয়ে পাশের বাড়ির ফ্ল্যাটের এক মহিলা কে বলছে । আমার মেয়ে কে কোন দিন মিথ্যা বলা শিখাই নাই । আমার মেয়ে কোন দিন আমার সাথে মিথ্যা বলে নাই । স্বভাব আমার শাশুড়ির মতো । সত্য কথা মুখের উপর বলে দেয় । আমার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করলে কি হবে । আমার শাশুড়ি কোন দিন ঐ বউয়ের সাথে কথা বলে নাই । আমার মেয়ে নাকি মিথ্যা বলেছে ভাবি জানেন । নিহা কে কোথায় জানি দেখেছে । আমি আর জিজ্ঞাসা করি নাই । এত বড় মেয়ের কাছে আর কি জিজ্ঞাসা করি । বয়স তো আর কম হয় নাই । ক বললেই কলকাতা বুঝা যায় । আমার ভাইয়ের বউ বলে আমি নাকি শান্তনুর কথা শুনে তাঁর মেয়ে কে মিথ্যা অপবাদ দেয়ার চেষ্টা করছি ।
পাশের বাড়ির ফ্ল্যাটের আপা বলে - আপনার মেয়ে অনেক ভাল । আমি ও নেহা কে একদিন আমাদের ছাদে আপনাদের ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া ছেলের সাথে খুব হাসা হাসি করতে দেখেছি । কিন্তু মেয়েটা একটু বড় হয়েছে এটা তাঁর মায়ের বুঝা উচিৎ । এই বয়সে আমাদের বিয়ে হয়েছে । যাই হউক আপা আপনি ত ফুফু একটু খেয়াল রাখবেন ।
(৪)----------------------------------------------------------------------------------
হিমেল ব্যাগ ঠিক আছে কি না ভাল করে দেখল । বিষয়টা কিছুতে সান্তনুকে জানানো যাবে না। একটা মেয়ে কে ভালবেসে অন্য মেয়ে বিয়ের জন্য দেখতে যাওয়াটা এক ধরনের মানবিক অপরাধ । কিন্তু হিমেলের কিছুই করার নেই । কিছু ক্ষণ বারান্দায় দাঁড়িয়ে একটা সিগারেট শেষ করলো ।রাত নয়টা বাজে ১১ টায় গাড়ি । আকাশের দিকে চেয়ে ভাবছে একটা চাকুরী থাকলে ভাল হত । কিন্তু চাকুরী তো শান্তনুর অপছন্দ । ব্যবসা ভাল । কিন্তু এত টাকা কোথায় । এমন সময় শাওন এসে বলল
ভাইজান আপনার সাথে আম্মাজান যাবে । খালুজান এই মাত্র ফোনে বলল ।
---------------- আম্মা যাবে কেন ?
---------------- সেটা আমি কি জানি ?
---------------- তবে আম্মা জান হটাত যাচ্ছে আমি কিন্তু কোন কিন্তুর গন্ধ পাচ্ছি ।
---------------- তোর মাথায় কিন্তু গিলু আছে ।
---------------- থাকবে না কেন ? খালু জান সব সময় বলে বুদ্দি থাকলে টাকা নাকি
গোলামী করে ।
---------------- যা তো শাওন । টাকা ছাড়া আর কিছু চিন্ত নাই । আমি মরি আমার
চিন্তায় ।
----------------- তাই করেন । আমি যাই ।
শেষ পর্যন্ত মাকে নিয়ে হিমেল রাতের গাড়িতে উঠে বসল । কিন্তু মনে মনে ভাবছে সান্তনুকে বলে আসলে ভাল হত । কিন্তু এই কথা কি করে বলে । পাশে থেকে হিমেলের মা বলল বাবা একটা কাজ কর তুমি ঐ মেয়েটা কে ফোনে বলল একটা বিশেষ কাজে আম্মুকে নিয়ে মেজু খলার বাড়ি যাচ্ছি । দুই দিন পড়ে চলে আসব । মেয়েটা কে না বলে যাওয়া ঠিক না। একজন নারিকে সম্মান দিলে বাবা আমি ও সম্মানী হই । হিমেল মায়ের দিকে তাকিয়ে একটা সুন্দর হাসি দেয় । মা বলে শুন বাবা তোর বাবার সাথে আমি হয়ত এই বিষয় কিছুই বলতে পারব না। কিন্তু তোর জন্য যেই মেয়েটা সেও তো আমার ভাইয়ের বউয়ের বউ বোনের মেয়ে । মেয়েটা হয়ত কিছু তোর কথা শুনে পরিবারের আলাপ করে এই বিয়ে ভেঙে দিতে পাড়ে । একজন মেয়ে জেনে শুনে অন্য মেয়ের ভালবাসা নষ্ট করবে না।
হিমেল বলে ঠিক আছে মা কিন্তু আমি এখন সান্তনুকে ফোন দিব না । কাল সকালে ফোনে কথা বলে নিব ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:১৮
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জুমার নামাজে এক অভূতপূর্ব ঘটনা

লিখেছেন সাব্বির আহমেদ সাকিল, ১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০



মসজিদের ভেতর জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাহিরে বিছিয়ে দেয়া চটে বসে আছি । রোদের প্রখরতা বেশ কড়া । গা ঘেমে ভিজে ওঠার অবস্থা । মুয়াজ্জিন ইকামাত দিলেন, নামাজ শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন কিনবেন ??

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯



শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঠিক কোন বিষয়টা মৌলবাদী পুরুষরা শান্তি মত মানতে পারে???"

লিখেছেন লেখার খাতা, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৭


ছবি - গুগল।


ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রাম এখন আর শুধু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম নয়, রোজগার এর একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্মও। একটু স্মার্ট এবং ব্রেন থাকলে ফেসবুক/ইনস্টাগ্রাম থেকে রোজগার করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধখানা ভ্রমন গল্প!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৯


২০০২ সাল বান্দারবানের রিগ্রিখ্যাং-এর এই রিসোর্ট আজ সকালেই আমরা আবিস্কার করলাম! পাহাড়ের এত উপরে এই মোড়টাতে একেবারে প্রকৃতির মাঝে এমন একটা রিসোর্ট থাকতে পারে তা আমরা সপ্নেও কল্পনা করিনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×