আগের পর্বের জন্যঃ Click This Link
আলকাশ প্রথম পর্বঃ Click This Link
লিয়েনাকে নিয়ে আমি পড়লাম মহা বিপদে! ওরাতো দু-দশ ইঞ্চি ফাকে দাঁড়িয়ে নাচে না। ছেলে বেষ্ঠন করে রমণীর কোমড় আলতো করে, আর নারী রাখে কাধে হাত। প্রিয়জন হলে দুটো হাত দিয়েই গলা জড়িয়ে ধরে।
আর সল্প পরিচিত-অপরিচিত হলে দু’জনের একটা করে হাত প্রলম্বিত হয়ে দুরে ছড়িতে জড়াজড়ি করে ধরে থাকে! সে আমার কাধে হাত রাখল অবলীলায়- অন্য হাত দিয়ে আমার হাতখানা বেষ্টন করে দূরে ছড়িয়ে দিল। কিন্তু আমি ওর কোমরে হাত রেখেই নিজের পরিবর্তনে চমকে উঠলাম! সারা শরির যেন কাঁপছে আমার!
ভারোনিকা’র(আমার বহু পূর্বতন -মানে মাস ছয়েক আগের এক বান্ধবী) মায়া আর যত্ন করে শেখানো বল নাচের মুদ্রাগুলো আমি ভুলে গেলাম!
কোন নারী আমাকে এতটা মোহাবিষ্ট করতে পারে – এর আগে আমার কল্পনাতেও আসেনি! কোমর খানি বেষ্টন করতেই সারা শরিরে যেন বিদ্যুৎ খেলে গেল। ওর শার্টের দু’খানা বোতাম খোলা। প্লাটিনামের সুক্ষ একখানা চেইনের মাথায় ছোট্ট একটা হিরের লকেট- অতি আলতো ভঙ্গীতে আয়েশ করছে তার ভরাট বুকের নিটোল খাঁজে। ঘরের অনুজ্জ্বল মায়াবী আলোয় সেদিকে দৃষ্টি যেতেই আমি যেন শিউলি ফুলের মত টুপ করে ঝরে পড়লাম! সে দৃষ্টি ফেরানোর নেই- আমার সাধ্যি। তার খানিক আনত ভরাট বক্ষের তীব্র ছোবলে দিশেহারা হয়ে দিক হারালাম! উষ্ণ নিঃশ্বাসে যেন দাবানলের আভাস! আমি যেন বিস্তীর্ণ জঙ্গল জুড়ে ছড়িয়ে থাকা শুকনো পাতার কোন গ্রীষ্মের বনভুমি।একটু স্ফুলিঙ্গে প্রজ্বলিত হবার অপেক্ষায় ছিলাম।
ক্রিস ডি বার্গের ‘লেডি ইন রেড’ এর লেডি যেন আমার হাতের মুঠোয়। এই গানের সুর আমাকে নিয়ে গেল এক অন্য ভুবনে;
The lady in red
Is dancing with me
Cheek to cheek
There's nobody here
It's just you and me
It's where I want to be
And I hardly know
this beauty by my side
I'll never forget
the way you look tonight…
…It took my breath away
I have never had such a feeling
Such a feeling of complete and utter love as I do tonight
রাত তখন এগারোটা বাজে প্রায়! মলদোভিয়ায় গভীর রাত্রি-ই বলা চলে- যদিও গ্রীষ্ম বলে বাইরে কিছুটা ফ্যাকাশে আলো।
আমার সব আবেগ আর আগুনে মহাবিশ্বের সব জল এক লহমায় ঢেলে দিয়ে ‘লিয়েনা বলল,এবার যেতে হবে।
আমার অনুরোধ, মইনের অনুনয়, লারিসার আন্তরিক আবেদন, লারিসার বাবা মায়ের মৃদু ধমক তাকে আটকাতে পারল না। সে যখন বলে- মানে সে যাবে।
একাদশীর চাঁদ যেন ‘ফ্লোলিওর’ কে স্বপ্নিল এক স্বর্গোদ্যানের রূপ দিয়েছে। প্রকৃতি যেন তার সব সেরা সাঁজ নিয়ে আজ আমার পাশে বসেছে।
সেই স্বর্গোদ্যানের যেন মর্মর বিছানো রাস্তা দিয়ে প্রথম সারিতে হেটে যাচ্ছি আমরা দু’জন। লিয়েনার হাত আমার বাহু বেষ্টন করে আছে। রোল্দা এখন আর বাঁধা নেই- সে নিঃশব্দে হেটে আসছে আমাদের পিছু পিছু। এর খানিকটা পেছনে লারিসা আর মইন। ওরাও হাত ধরাধরি করে কোন এক অদ্ভুত ভাষায় গল্প করতে করতে আসছে।
ঢাউস এক ট্যক্সিতে করে লিয়েনা বিদায় নিল। যাবার আগে বিদায়, ফের দেখা হবে বলে, আমার কপোলে এঁকে দিল একটা গাঢ় চুম্বন!
আর আমি মদে মাতাল হইনি- কিন্তু চুম্বনে মাতাল হলাম!
সে রাতেই ফেরার পথে আমার উপস্থিতিকে থোড়াই কেয়ার করে মইন আর লারিসা প্রথমবার চুমু খেল।
পরের পর্বের জন্যঃ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫১