৩. SAD (মৌসুমী অনুভূতিমূলক ব্যাধি)
সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার (এসএডি) হল এক ধরনের বিষণ্ণতা যা মৌসুমি প্যাটার্নে আসে এবং যায়। SAD কখনও কখনও ‘শীতকালীন বিষণ্ণতা’ হিসাবে পরিচিত কারণ শীতকালে লক্ষণগুলি সাধারণত আরও স্পষ্ট এবং আরও গুরুতর হয়। SAD এর লক্ষণগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে পারে:
খিটখিটে মেজাজ
স্বাভাবিক দৈনন্দিন কাজকর্মে আনন্দ না পাওয়া বা আগ্রহহীনতা
বিরক্তি, হতাশা, অপরাধ-বোধ এবং মূল্য-হীনতার অনুভূতি
অলস বোধ করা (শক্তির অভাব) এবং দিনের বেলা ঘুমানো
স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ধরে ঘুমানো এবং সকালে উঠতে কষ্ট হওয়া
কার্বোহাইড্রেটের আকাঙ্ক্ষা এবং ওজন বৃদ্ধি
কিছু লোকের জন্য এই উপসর্গগুলি আরো গুরুতর হতে পারে এবং তাদের দৈনন্দিন কার্যকলাপের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।)*
অত্যধিক সূর্যালোকের বিপরীতে সূর্যালোক-হীন পৃথিবীর কথা ভাবুন। যদিও সবখানে সমান ও দীর্ঘ সময়ব্যাপী নয় তবুও ভাবুন বরফ আর কুয়াশায় মোড়া আবছা আলোর স্যাঁতস্যাঁতে শীতকালের কথা?এখানে পৃথিবীতে এটাও একটা সমস্যা! কম আলোর মাত্রা সহ সেই দীর্ঘ শীতের মাস(শীত প্রধান দেশে*) আমাদের বিষণ্ণ এবং অলস করে ফেলে!
বিষণ্ণ অনুভূতির পাশাপাশি-এর অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে অসুস্থতা, অতিরিক্ত খাওয়া এবং ওজন বৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
অতিরিক্ত ঘুম, শক্তির অভাব, মনোযোগ দিতে অসুবিধা, সামাজিক যোগাযোগ কমে যাওয়া, যৌন তাড়না কমে যাওয়ার ফলে অনেকেই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে আত্মহননের পথ পর্যন্ত বেছে নেয়।
এর মানে আমরা স্পষ্টতই এমন পরিবেশেও থাকতে চাই না।
~আমাদের হোম গ্রহের আলো সামঞ্জস্যপূর্ণ- নিশ্চিতভাবে শরীর ও চোখের জন্য অনেক বেশী আরামদায়ক। সম্ভবত পৃথিবীর তুলনায় আরো সহনীয় ও নমনীয় গ্রীষ্মকাল সেখানে বিরাজমান। এবং সমগ্র গ্রহ-জুড়ে একইরকম আবহাওয়া সবসময় বিরাজ করে- ঋতুগত ভিন্নতা প্রায় নেই বললে চলে। আমাদের আদি গ্রহ সম্ভবত; তার অক্ষে ঘুরে আসার সময়ে পৃথিবীর মত একদিকে কাত হয়ে পড়ে না।
পৃথিবীর আদি উদ্ভিদ এবং প্রাণীরা এই ঋতু পরিবর্তনের সাথে দারুণভাবে খাপ খাইয়ে নিয়েছে।
উদাহরণ, অনেক প্রজাতির পরিযায়ী পাখি দীর্ঘ শীতের শুরুতে প্রতি বছর হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে পৃথিবীর অন্য প্রান্তে উড়ে যায় তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য, বাসস্থান, উষ্ণতা ও মেটিং এর জন্য। তাদের প্রয়োজন পূরণ হবার পরে তারা ফের নিজের এলাকায় ফিরে যায়। যেসব পাখি বা প্রাণীর উড়ার ক্ষমতা নেই তারা মানিয়ে নিয়েছে অন্য উপায়ে। কেউ কেউ হাইবারনেশনে( শীত নিদ্রায়) যায়। অন্যরা দীর্ঘ শীতের প্রস্তুতই তাদের কার্যকলাপ হ্রাস করে –তারা বিপরীত লিঙ্গের সাথে মিলিত হয় না। যার ফলে সেই প্রতিকুল পরিবেশে চরম খাদ্যাভাবের সময়ে নতুন অতিথির আগমন হয় না।
মানুষ এসব কিছু করে না। আমরা আমাদের প্রয়োজনে বিকশিত হইনি- বা পৃথিবীর সাথে মানিয়ে নিতে পারিনি।
কারণটা- বেশ সহজ ;কারণ আমাদের হোম গ্রহে এর কোন প্রয়োজন ছিল না।
কিছু লোক যুক্তি দেয় যে ঋতু অনুভূতি-জনিত ব্যাধি (এসএডি) অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে ‘হাইবারনেশনে’র বিবর্তনীয় প্রতিক্রিয়ার সমতুল্য!
-এটা কি যুক্তিসঙ্গত শোনাচ্ছে?
যথেষ্ট নয়। যতক্ষণ না আপনি বুঝতে পারেন যে, এই পরিবেশে ভাল নেই, প্রকৃতির এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে পারছি না – এ ধরনের আবহাওয়া আমাদের অসুস্থ করে তোলে।
পৃথিবী প্রথম গঠিত হওয়ার পর থেকে (অথবা অন্তত চাঁদের জন্মের পর থেকে) লক্ষ লক্ষ বছরের বিবর্তনে, এবং অনুমিত-ভাবে সবচেয়ে উন্নত প্রজাতি হিসাবে এই গ্রহে আমরা ঋতু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছি- এটা মানা সত্যিই কষ্টের! এটা অর্থহীন বা গোঁজামিল দিয়ে বোঝানো বৈ কিছু নয়!
আবারও এটা স্পষ্ট যে, আমাদের আদি গ্রহে বেশ আলোকিত কিন্তু শরীরের সাথে মানিয়ে নেবার মত দারুণ সামঞ্জস্যপূর্ণ সূর্যালোক ছিল। পূর্ব আফ্রিকা; যেখানে আমরা অনুমিত-ভাবে বিবর্তিত। সম্ভবত যে কারণ ভীনগ্রহবাসীরা সেই নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে পূর্ব আফ্রিকাকে বেছে নিয়েছিল – কারণ সেখানকার আলোর মাত্রা বেশি যা আমাদের বাড়ির গ্রহের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
যাইহোক, আমাদের প্রাকৃতিক প্রবণতা হল আমাদের নেশা নতুন নতুন আবিষ্কার, ভ্রমণ বা অসম্ভবকে জয় করার বাসনা সারা গ্রহ-ব্যাপী উপনিবেশ স্থাপন করা।
যা আমরা পৃথিবীতে করেছি। বাস্তবতা যে আমরা কিছু প্রতিকুল পরিবেশ আবহাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে বিষন্নতার কারনে কিছু অবাঞ্ছিত ভয়ঙ্কর রোগ-ব্যধির কারণে আমাদের হোম-গ্রহের কাছাকাছি পরিবেশ, প্রকৃতি, খাদ্যের খোঁজে আমরা পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে বাধ্য হয়েছি।
এই বিষয়টাও প্রমাণ করে যে আমরা এই পৃথিবীর কেউ নই।
**************************************
৪. মেরুদন্ডের ব্যাথা।
পৃথিবীর গ্রাভিটিতে আমরা অভ্যস্ত নই।
পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ সম্ভবত আমাদের নিজেদের গ্রহের তুলনায় একটু কম। ফলস্বরূপ, আমরা প্রতিটি প্রজন্ম আগের প্রজন্ম থেকে একটু একটু করে লম্বা হচ্ছি এবং নিয়মিতভাবে পিঠের সমস্যার(ব্যাক পেইন) সাথে যুজতে হচ্ছে।
ব্যাক পেইন ও লোয়ার ব্যাক পেইন-জনিত সমস্যার কারনে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর দশ কোটি কর্ম-দিবস হারাচ্ছে!
তবুও পিছনের সমস্যা পৃথিবীর আদি প্রাণীদের (এমনকি পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা ঘাড়ের প্রাণী জিরাফের জন্যও নয়!) জন্য সমস্যা নয়।
এমন কোন প্রমাণ এখনো মেলেনি যে, পৃথিবীতে বাসকারী অন্য কোন মেরুদণ্ডী প্রাণী মানুষের মত ব্যাক পেইন জনিত সমস্যায় ভুগছে।
আরেকটি বিষয় আছে যা আমাদের সংক্ষিপ্তভাবে বিবেচনা করতে হবে এবং সেটি হল বায়ুমণ্ডল যা আমাদেরকে চেপে রেখেছে। যেহেতু আমরা এই বায়ুমণ্ডল থেকে পুরোপুরি শ্বাস নিতে পারি, ও স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারি তাই অনুমান করা যুক্তিসঙ্গত যে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এবং আমাদের আদি গ্রহের বায়ুমণ্ডল মূলত একই রকম ও একই উপাদানদ্বারা গঠিত কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের চাপ সামান্য কম।
~তবে যদি এর সমর্থনে প্রমাণ পাওয়া যায় তবে ভবিষ্যতের সংস্করণে এটি আমরা পুনরায় আলোচনা করতে পারি।
কেন আমরা অত্যধিক-ভাবে বেড়ে উঠছি তা নিয়ে দুটি প্রধান চিন্তাধারা রয়েছে;
কেন আমরা লম্বা ও স্থূল হচ্ছি এবং ও দীর্ঘ মেয়াদে পিঠের সমস্যায় ভুগছি।
প্রথমটি হল পৃথিবীর খাদ্য;
আমাদের বাড়ির গ্রহের তুলনায় আরও পুষ্টিকর এবং/অথবা প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান, যার ফলে প্রবৃদ্ধির অপ্রত্যাশিত স্তর যা আমরা মোকাবেলা করার জন্য বিকশিত নই। এটাও ক্রমবর্ধমান স্থূলতা সমস্যা, বড় শিশুর জন্মদান এবং অন্যান্য কারণগুলি যেগুলো আমরা পরবর্তীতে আলোচনা করব।
তাই প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান অধিকতর পুষ্টিকর খাবার (এগ্রিকালচারাল রেভ্যুলেশন ও একটা ফ্যাক্টর*)অত্যধিক জনসংখ্যার বৃদ্ধিতেও নিঃসন্দেহে অবদান রাখছে।
ক্রমবর্ধমান পিঠের সমস্যার পেছনে আরও একটি বিশেষ কারন চিহ্নিত করা গেছে। পুষ্টির উচ্চহার এর দরুন পরজীবী কৃমির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রাথমিকভাবে মানুষের পিঠের সমস্যা সৃষ্টির কারণ হিসেবে দেখা যেতে পারে।
পরজীবী কৃমি বলতে বোঝানো হচ্ছে রাউন্ড-ওয়ার্ম এবং ফিতাকৃমি। যা পৃথিবীর বেশিরভাগ অংশে স্থানীয় প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে বাস করে। কীটগুলি ছোট, ক্ষতিকারক এবং সনাক্ত করা যায় না।
কিন্তু যখন তারা মানুষের অন্ত্রে প্রবেশ করে তখন তারা নিজেদেরকে এমন চমৎকার পরিবেশে দারুণ পুষ্টিকর খাবার খুঁজে পায় তখন অন্যান্য সমগোত্রীয় পরজীবীদের তুলনায় অনেক অনেক গুণ বড় হয়!
কখনও কখনও পুরো অন্ত্র ভরাট করে ফেলে এবং মানুষের গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে।
পরজীবী এই কীটের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারনে দুর্ভাগ্যজনকভাবে হোস্টের অপুষ্টি, মানসিক প্রতিবন্ধকতা, অন্ত্রের বাধা, এমনকি শেষমেশ মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। আর মানুষের মারা গেলে সেই কীটও মারা যায়। এটা এমন একটি পরিণতি যা মাদার নেচারের অবশ্যই কখনই উদ্দেশ্য ছিল না।
অবশ্যই যুক্তি আছে যে আমরা নিজেরাই আমাদের খাবার আরো সহজলভ্য করেছি এবং আরও পুষ্টিকর ও সুস্বাদু করেছি - এবং এটি নিঃসন্দেহে এটি একটি প্রধান অবদানকারী ফ্যাক্টরও।
কিন্তু যেহেতু আফ্রিকা এবং এশিয়ার কিছু অংশে সাধারণ যেখানে খাদ্যের অভাব এবং পুষ্টির হার বিশ্বের অন্যান্য অংশের তুলনায় কম সেখানকার অধিবাসীদেরও বড় আকারের পরজীবী কৃমির সমস্যা হয়, সেজন্য এটি একমাত্র কারণ হতে পারে না।
সরল সত্য হল যে, যখন একটি পরজীবী কীট নিজেকে একটি মানব হোস্টের ভিতরে খুঁজে পায় (ভাল পুষ্টি হোক না হোক) এটি টপসির মতো বৃদ্ধি পায় - এবং এটি অন্য কোনও পশুর অন্ত্রে কখনোই সে এভাবে বাড়তে পারে না তখন ওদের জন্য আমাদের অন্ত্র স্পষ্টতই একটি এলিয়েন পরিবেশ - ঠিক আমরা যেমন।
*গৃহপালিত কুকুর বা বিড়াল থেকে মানবদেহে প্রবেশ করে এই ধরনের ‘রাউন্ডওয়ার্ম’*
অন্য প্রধান চিন্তাধারা এবং আমি যাকে সবচেয়ে বেশি সমর্থন করি - সেখানে ফিরে আসি;(মধ্যাকর্ষণ)
পৃথিবীতে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কিছুটা কম হলেও আমরা মোকাবেলা করতে পারি তার সঙ্গে। যে আমাদের প্রজন্ম ক্রমাগতভাবে লম্বা হচ্ছে দুর্ভাগ্যবশত আমরা এমন হারে বেড়ে উঠছি যে আমাদের মেরুদন্ড অস্থি এবং পেশীর এর সাথে তাল মিলিয়ে মানিয়ে নিতে পারছে না।
অন্যদিকে আরেকদল যুক্তি দিচ্ছে যে, পৃথিবীর গ্র্যাভিটি যদি আমাদের অভ্যস্ততার চেয়ে বেশি, সেজন্য এমন হতে পারে যে, আমরা নিম্নগামী চাপ মোকাবেলা করার জন্য লম্বা হচ্ছি।
এটি আমার কাছে অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে, কেননা গ্রাভিটি বেশী থাকলে আমাদের এভাবে স্থূল হবার সম্ভাবনা কম। সম্ভবত আমাদের আদি গ্রহের গ্রাভিটি পৃথিবীর থেকে কিছুটা শক্তিশালী।
এটি একে অন্যের সাথে খাপ খায়।
সম্ভবত আমাদের নিজেদের গ্রহে দিন ২৫ ঘণ্টায়- আর পৃথিবীর একদিন ২৪ ঘণ্টায়( এ বিষয়ে আমি অন্য পর্বে আলোচনা করব)। সেহেতু আমরা ধারনা সে গ্রহের আকার পৃথিবীর তুলনায় বড়। স্বভাবতই সেখানকার মধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর তুলনায় একটু বেশী থাকবে।
বিশেষ নিবন্ধঃ
(সার্কেডিয়ান ছন্দের প্রাথমিক গবেষণায় জানা গেছে যে, বেশিরভাগ লোকেরা দিনের আলো এবং সময়ের মতো বাহ্যিক উদ্দীপনা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ২৫ ঘণ্টার কাছাকাছি একটি দিন পছন্দ করে। যাইহোক, এই গবেষণাটি কিছুটা ত্রুটিপূর্ণ ছিল কারণ এর অংশগ্রহণকারীদের কৃত্রিম আলো থেকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। যদিও সময় সংকেত (যেমন ঘড়ি) এবং দিনের আলো থেকে তাদের দূরে রাখা হয়েছিল কিন্তু গবেষকরা অভ্যন্তরীণ বৈদ্যুতিক আলো পাল্টানোর প্রভাব সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। যখন তারা ঘুমাতে চেয়েছিল তখন এটি বন্ধ করা হয়েছিল। সন্ধ্যার বৈদ্যুতিক আলো তাদের ‘সার্কেডিয়ান ফেজ’ সম্ভবত বিলম্বিত করে।
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি দ্বারা ১৯৯৯ সালে পরিচালিত আরও কঠোর গবেষণায় ধারনা করা হয়েছে যে, প্রাকৃতিক মানুষের স্বাভাবিক ছন্দ ২৪ ঘণ্টা ১১ মিনিটের কাছাকাছি: যা সৌর দিনের অনেক কাছাকাছি। এই গবেষণার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সাম্প্রতিক ২০১০ সালের একটি গবেষণায় লিঙ্গ পার্থক্যও চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে পুরুষদের (২৪.১৯ ঘণ্টা) তুলনায় মহিলাদের সামান্য কম ‘সার্কেডিয়ান পিরিয়ড’ (২৪.০৯ঘন্টা) রয়েছে। এই সমীক্ষায়, মহিলারা পুরুষদের তুলনায় আগে ঘুম থেকে ওঠার প্রবণতা দেখায় এবং পুরুষদের তুলনায় সকালের কাজকর্ম তারা বেশি পছন্দ করে, যদিও এই পার্থক্যগুলির অন্তর্নিহিত ‘জৈবিক প্রক্রিয়াগুলি অজানা’।)
*যখন চোখ সূর্যের আলো পায়, তখন পাইনাল গ্রন্থি দ্বারা মেলাটোনিন উত্পাদন বাধাগ্রস্ত হয় এবং উৎপন্ন হরমোনগুলি মানুষকে জাগ্রত রাখে। যখন চোখ আলো পায় না, তখন পাইনাল গ্রন্থিতে মেলাটোনিন তৈরি হয় এবং মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
আমাদের আদি গ্রহের তুলনায় পৃথিবীর খাবার অনেক বেশী পুষ্টি-সমৃদ্ধি হওয়ায় নিন্মমানের খাবার গ্রহণ করার পরেও মানব শিশুরা তাদের দরিদ্র মায়েদের জরায়ুর মধ্যে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বড় হয়ে ওঠে। প্রসবের সময়ে এদেরকে বের করা বেশ ভয়াবহ একটা ব্যাপার- যার জন্য ডাক্তার, ধাত্রী বা দাই-এর সহায়তা নিতে হয়। এরপরেও তাদের মধ্যে কিছু (মা এবং শিশু উভয়ই) মারা যায় অথবা জন্মের সময়ে অক্সিজেন স্বল্পতার জন্য বা জন্মগত আঘাত পাবার জন্য ‘সেরিব্রাল পালসি’র মত কঠিন অসুখে ভোগে বা মারা যায়।
পৃথিবীর অন্য কোন সত্যিকারের নেটিভ প্রজাতির এই সমস্যা কি আছে? (আমাদের অবশ্যই নির্দিষ্ট ধরণের প্রাণী বাদ দিতে হবে যাদের সংকর-প্রজননের মাধ্যমে ম্যানিপুলেট করা হয়েছে।*)
আবার কারণ হিসাবে চিন্তা দুটি পৃথক বিষয় আছে. প্রথম; আমাদের শিশুরা পৃথিবীর উন্নত পুষ্টির কারণে এত বড় হয় – নিশ্চিতভাবে পৃথিবীর খাবার আমাদের আদি গ্রহের চেয়ে অনেক বেশি পুষ্টি সম্পন্ন।
দ্বিতীয়টি; আমাদের মাথা আমাদের বাকি শরীরের অনুপাতে অনেক বড় হয়ে গেছে আমাদের অতি উন্নত উচ্চতর মস্তিষ্ক ধারণ করবার জন্য।( যদিও বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি আবিস্কার করেছেন; মানুষের মগজ ধীরে ধীরে ছোট ও জটিলভাবে বিবর্তিত হচ্ছে*)
আমাদের দ্বিতীয় অনুমানের উপরে নির্ভর করে পৃথিবী কি আমাদের আদি গ্রহ সেটা জানার চেষ্টা করতে পারি।
আমাদের উৎস সম্পর্কে দ্বিতীয় অনুমানটার উপরে ভিত্তি করে আমরা প্রাথমিক আলোচনা চালিয়ে যেতে পারি।
বি.দ্র. তারকা চিহ্ন ও বন্ধনীর অংশটুকু অনুবাদক কতৃক সংযোজিত।
আগের পর্বের জন্যঃ Click This Link
প্রথম পর্বের জন্যঃ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫৬