A scientific evaluation of the evidence for and (mostly) against man’s evolution on Planet Earth
By Ellis Silver
আপনারা হয়তো শুনে থাকবেন সেই সকল সায়েন্সফিকশান গ্রন্থের কথা’Men are from Mars, Women are from Venus.
এবার আপনি ভাবুন নতুন একটা গ্রন্থের শিরোনাম বৃহৎ আকারে’পুরুষ ও নারী কেউই পৃথিবীর বাসিন্দা নয়!
কিন্তু হিউম্যান বা হোমো-সেপিয়েন্সরা তাহলে কোত্থেকে এসেছে? এই নিবন্ধের শেষে এসে হোমো-সেপিয়েন্সদের শারিরিক ও পরিবেশগতভাবে টিকে থাকার মত কমপক্ষে সাতটি এমন গ্রহের তথ্য জানাব যারা আমাদের গ্যালাক্সিতেই ঘুরে বেড়াচ্ছে! হয়তো কোন একদিন আমাদের আদি বসত এই সকল গ্রহে কোন একটাতে ফিরে যেতে পারব।
কিভাবে আমরা এখানে আসতে পারি?
আমরা যদি পৃথিবীতে উৎপত্তি বা বিবর্তনের মাধ্যমে আমাদের সৃষ্টি না হয়ে থাকি তাহলে আমরা এখানে কিভাবে এলাম?
************************
• গঠনমূলক সমালোচনা করুন বিরূপ মন্তব্য নয়! নিবন্ধটি কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণালব্ধ ফল, কিছু তাত্ত্বিক, কিছু বাস্তব উপলব্ধি, কিছু কল্পনার বা ধারনার উপরে ভিত্তি করে লেখা। এই বিশদ আলোচনার সাথে সবাই একমত পোষণ করবেন এমন নয়। তবে ভাবুন একবার আদিকাল থেকেই আমাদের মনে যে প্রশ্ন উঁকি দিয়েছে- আমরা কোথা থেকে এলাম? সে প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে কয়েক সহস্র বছর ধরে। বিভিন্ন সময়ে বুদ্ধিমানেরা একেক ব্যাখ্যা দাড় করেছেন। কেউ কেউ বিশ্বাস করেছে কেউবা করেনি। ধর্ম প্রবর্তকেরা,দার্শনিক, পরিবেশ বিজ্ঞানী, জীব বিজ্ঞানী, জ্যোতির্বিদেরা একেক রকমের ব্যাখ্যা তথ্য উপাত্ত উদাহরণ ভিত্তি দাঁড় করিয়েছেন। মূলত পৃথিবী এখন দুই ভাগে বিভক্ত; একদল বিশ্বাস করে আমাদের সরাসরি ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন। আরেকদল মনে করেন আমরা বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় সৃষ্টি হয়েছি।
• হ্যাঁ আরেক দল আছে বটে; যারা সন্দিহান! এরা এর কোনটাই বিশ্বাস করেননা। ‘ডক্টর এলিস সিলভার’- এদের থেকে খানিকটা ব্যতিক্রম- তিনি বিবর্তনবাদকে অস্বীকার করেননি। আবার স্রষ্টার সৃষ্টির বিষয়টা একদম উড়িয়ে দেননি। আমরা গোঁড়া ধার্মিকতা কিংবা বিবর্তনবাদের পক্ষে পুরোপুরি থাকার পরেও আমাদের মনে অনেক প্রশ্ন জাগে ঈশ্বর আছেন কি নেই? এই প্রশ্নের পরেই আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে – আমরা কোথা থেকে এলাম? কেন এলাম? কোথায় যাব?
• যারা আরেকটু গভীরে ভাবেন’ তাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে আমরা আসলেই কি পৃথিবীর প্রাণী? কেন আমাদের গায়ে প্রকৃতির পোশাক নেই? কেন আমরা দ্বি-পদে হাটি? কেন আমরা এত বুদ্ধিমান শুধুমাত্র পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য এত বুদ্ধিমত্ত্বার দরকার ছিল? কিভাবে ভাষার সৃষ্টি হোল-অন্য প্রাণীরা যেমন দিব্যি চালিয়ে নিচ্ছে কিছু শারীরিক অভিব্যক্তি আর আর অল্প কিছু শব্দ দিয়ে সেখানে এত ব্যাপক শব্দ ভাণ্ডার ও ভাষা কেন দরকার হোল ? আমরা কেন এত কম সময় বাঁচি (যদিও আমাদের অন্য প্রাইমেটেরা হোমো-সেপিয়েন্সদের থেকে তুলনামূলক কম সময় বাঁচে)? কেন অন্যদের নয় আমাদের এত বেশী ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে? এ ধরনের আরো শত শত প্রশ্ন।
ভাবুন দেখি, লজ্জা পেলে ছলাৎ করে রক্ত এসে জমাট বাঁধে আমাদের কপোল আর কানের লতিতে? আবেগে কেন হৃৎস্পন্দনের গতি পালটে যায়- বুকের মধ্যে ফাঁকা হয়ে যায়? অজানা আতঙ্কে কেন আমরা জমে যাই- শরীরের পশম সব দাঁড়িয়ে যায়?
আপনার কি জানা আছে এই প্রশ্নের উত্তর; একটা শিশু কেন জন্ম মুহূর্তে চিৎকার করে কাঁদে?
বিজ্ঞানীরা এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন। সামান্য কিছু সন্তোষজনক উত্তর মিললেও বেশীরভাগ প্রশ্নের উত্তর আমাদের সন্তুষ্ট করতে পারছে না।
• 'ডক্টর এলিস সিলভার' যুক্তি দিয়ে এভিডেন্স দিয়ে ও তাত্ত্বিকভাবে এসব প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টা করেছেন। তিনি নিশ্চিত যে, আমরা আদৌ এই গ্রহের প্রাণী নই- আমরা এখানে বহিরাগত! কেন কিভাবে এত যথেষ্ট সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা করেছেন তিনি। আপনি যখন এই নিবন্ধটি পড়বেন তখনকার বার ভাবনায় ডুবে যেতে বাধ্য হবেন- মনে হবে সত্যিই তো! ফের দ্বিধান্বিত হবেন- এই যুক্তির বিপক্ষে যুক্তি দাঁড় করাবেন। নতুন নতুন কিছু প্রমাণ উত্থাপন করবেন। কিন্তু একসময় মনে হবে তিনি হয়তো ঠিকই বলেছেন। তাত্ত্বিক ও ধারনা বা সম্ভাবনার উপরে কোন লেখায় বড় ধরনের ভুল-ত্রুটি থাকা অসম্ভব নয়। এখানেও থাকতে পারে। তাই তিনি বার বার এ নিয়ে বিজ্ঞানের আরো গবেষণার অনুরোধ করেছেন।
*********************************
কিভাবে আমরা এখানে আসতে পারি?
আমরা যদি পৃথিবীতে উৎপত্তি বা বিবর্তনের মাধ্যমে আমাদের সৃষ্টি না হয়ে থাকি তাহলে আমরা এখানে কিভাবে এলাম?
সহজ সত্য যে বাক্যটা হবে সেটা হচ্ছে; আমাদের এখানে অন্য কেউ এনেছে। আমাদের ভাবতে হবে এটা নিশ্চয়ই কোন বুদ্ধিমান এলিয়েন। কিন্তু আমি এটা আপনাকে ভাবতে বাধ্য করতে চাই না সেইসব পাগলাটে বা উদ্ভট বইগুলির লেখকদের ভাবনার অদ্ভুত চেহারার এলিয়েন সম্পর্কে; বরংচ আমরা ভাবি ঠিক আমাদের অবয়বের মত কোন এলিয়েনদের কথা। হয়তো তারা হুবুহু আমাদের মতন দেখতে কিংবা খানিকটা অন্যরকম!
হয়তোবা আমরা বেশ কয়েক লক্ষ বছর ধরে পৃথিবীর পরিবেশ ও আবহাওয়ার সাথে খাপ খাওয়াতে গিয়ে বিবর্তনের মাধ্যমে খানিকটা পালটে গিয়েছি।
দ্রষ্টব্য: আমরা যতই অন্যরকম ভাবার চেষ্টা করিনা কেন এলিয়েন শব্দটা কেমন যেন মনে ভয়ের সৃষ্টি করে; উদ্ভট কিছু চেহারা এসে আমাদের চোখে ভাসে। আপনি যদি ‘এলিয়েন’ এর চেয়ে ভাল কোন শব্দ ভাবতে পারেন তবে আমি শুনে খুশি হব।
আমরা ‘এলিয়েন’ নামটা পাল্টে কি অন্য কোন নামের কথা ভাবতে পারি?
ধরুন;
ভ্রমণকারী, ভিনগ্রহবাসী বা মহাকাশবাসী, সহযোগী গ্যালাক্সিস, বা ভিন্ন জগতের মানব। কিংবা আমার এক বন্ধু পরামর্শ দিয়েছিল -‘মিল্কিওয়ে লিয়েন্স’ কেমন ?
তবে বড় একটা প্রশ্ন ; কেন সেই ‘ভিনগ্রহবাসীরা’ আমাদের এখানে আনার সিদ্ধান্ত নেবে?
এর সঠিক উত্তর কেউই দিতে পারবে না যতদিন পর্যন্ত ভিনগ্রহবাসী সেই আদি পুর্বপুরুষদের( সাথে পূর্ব মহিলারাও হতে পারে)সাথে সাক্ষাত না হয়।
-সম্ভবত তারা ভেবেছিল পৃথিবীতে একটি প্রভাবশালী প্রজাতির অভাব; তাই তাদের মত বুদ্ধিমান কোন প্রজাতি পৃথিবীকে উপহার দেওয়ার প্রয়োজন বলে অনুভব করেছিল।
সম্ভবত এখানে অন্য কিছু ভয়ঙ্কর প্রাণী বা যে প্রজাতিগুলি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল তাদের দমন করাতে প্রাকৃতিক শিকারী হিসাবে এখানে আনা হয়েছিল।
যেমন আমরা লেডি-বাগের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারি; একটি বাগ যা গাছের রস চুষে খায়। এটি দ্রুত পুনরুদপাদন করে, প্রায়শই সঙ্গম ছাড়াই তরুন পোকার জন্ম দেয় এবং বড় উপনিবেশে বসবাস করতে পারে। এরা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে।
আমরা এই গ্রহে আসবার পরে প্রচুর পরিমানে এই বাগ’কে নিধন করেছি। আমরা আসার পর থেকে ক্ষতিকর প্রজাতিগুলি বিলুপ্তির পথে, তাই খুব সম্ভবত এটি কাজ করেছে।
যাইহোক, আমি ধারনা করি যে, এলিয়েনরা হয়তো কল্পনা করেছিল যে আমরা আমাদের বুদ্ধি ও যোগ্যতা দিয়ে এই গ্রহ দখল করব। হতে পারে এটা একটা গবেষনা; সম্ভবত তারা কোন একদিন ফিরে আসবে এবং তাদের সাথে অন্য কোন প্রজাতি নিয়ে আসবে অতিরিক্ত হোমোসেপিয়েন্সদের ভারে ন্যুজ এই গ্রহের সামঞ্জস্য করার জন্য। তাদের সাথে করে নিয়ে আসবে হয়তো নতুন কোন ভাইরাস আমাদের সংখ্যাকে আরও টেকসই স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
~ভাইরাস কেন? প্রকৃতপক্ষে তারা এই পদক্ষেপের বেশ কয়েকবার নিয়েছে বলেও ধারনা।
আমাদের নথিভুক্ত ইতিহাস জুড়ে বার বার - তাই অসংখ্য প্লেগ, এবং এইডস এবং SARS-এর মতো ভাইরাস যা স্পষ্টতই কোথাও থেকে ছড়িয়ে পড়ে। অতিসম্প্রতি যেমন কোভিড ছড়িয়ে পড়ল। টালমাটাল হয়ে পড়ল পুরো বিশ্ব। হয়তো তারা শক্তিশালী প্রজন্মকে রাখতে চায়। দুর্বলদেরকে নিধন করা তাদের উদ্দেশ্য।
নোটঃ এই বইয়ের শেষে আমি কিছু বিকল্পের বিবরণ দিয়েছি।
আমরা এখানে কিভাবে এসেছি সে সম্পর্কে অনুমান করতে হয় তবে প্রথমেই আমি অনুমান করব,
এখানে ভীনগ্রহবাসীরা আমাদের নিয়ে এসেছে; যদিও এটা অনুমান, তবুও এটা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
সবচেয়ে দৃঢ়ভাবে তবে অন্যদের ভাবনার মধ্যেও দারুন কিছু যুক্তি আছে; যা হেলা-ফেলা করার মত নয় মোটেও। বিশেষ করে জেনেটিক-স্পিলিসিং, যা আদি হোমোসেপিয়েন্সদের বা প্রাইমেটদের ডিএনএকে একত্রিত করে এলিয়েনরা তাদের নিজস্ব ডিএনএ দিয়ে একটি আধুনিক হাইব্রিড প্রজাতি তৈরি করতেও পারে।
ভিন্ন জগতের মানব যদি থাকেই তবে আমরা কেন তাদের সনাক্ত পারছি না?
~এটা অনস্বীকার্য যে, আমাদের রেডিও ও টেলিভিশন সম্প্রচার করা হয়েছে প্রায় এক শতাব্দী ধরে- যা পৃথিবী থেকে ফ্রিকোয়েন্সি বিকিরণ করছে। এটা অনস্বীকার্য সত্য। আমরা বহির্বিশ্ব থেকে লো ফ্রিকোয়েন্সি কিংবা হাই ফ্রিকোয়েন্সির অনেক কিছুই সনাক্ত করতে সক্ষম -তাহলে কেন এই সংকেতগুলিও অন্যান্য উন্নত ভিন গ্রহ থেকে এলিয়েনদের বিকিরিত হওয়া রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আমারা সনাক্ত করতে পারছি না?
এই ধরনের সব সম্প্রচার হয় তারের মাধ্যমে, ইন্টারনেট বা কম শক্তির বেতার সংকেত যা প্রসারিত হয়। নিকটতম রেডিও কাস্ট থেকে কয়েক মাইলের বেশি দূরে নয়। এই সংকেত অবশ্যই মহাকাশে সম্প্রচারিত হবে না, এবং তা প্রায় নিশ্চিতভাবে আমাদের বায়ুমণ্ডলের বাইরে থেকে সনাক্ত করা যাবে না। (*সহযোগিতা প্রয়োজন)
যদি বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি অন্যান্য গ্রহে একই হারে চলে এবং যদি তারা করে থাকে আমাদের থেকে কয়েক হাজার বা কয়েক লক্ষ বছর আগে বিকশিত হয়, তবে তারা কোনও রেডিও সংকেত প্রেরন করবে না এখন। কেননা সম্ভবত তাদের "রেডিও যুগ" শেষ হয়ে গেছে বহু আগেই এবং আমাদের পক্ষে অসম্ভব হবে তাদের আবিস্কৃত নতুন মাধ্যম বা ধারার সিগন্যাল শুনে তাদের সনাক্ত করা। তারা অবশ্যই এখন আর সেই রেডিও যুগ আঁকড়ে ধরে নেই। তারা তারের এবং কম শক্তিতে চলতে পারে এমন ধারার প্রযুক্তি ওয়্যারলেস এবং হাই ফ্রিকোয়েন্সি সম্প্রচার সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাচ্ছে।
অথবা সম্ভবত তারা অন্য কিছু যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে: ইনফ্রা রেড, লাইট (যেমন লেজার এবং ফাইবার অপটিক্স), মাইক্রোওয়েভ বা অন্য কিছু যেই প্রযুক্তি আমাদের নাগালের বা ভাবনার বাইরে ।
সম্পর্কে জানা
তাদের খুঁজে বের করার আমাদের একমাত্র আসল আশা যদি তারা যদি ফের রেডিও সংকেত ইচ্ছাকৃতভাবে মহাকাশে সম্প্রচার করে। সম্ভবত সেটা তারা করবে না কারণ তারা হয়তো তাদের আবিস্কৃত অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তি দ্বারা খুঁজে বেড়াচ্ছে অন্য গ্রহের আরো উন্নত প্রজাতি।
যেহেতু আমরা এখনও পর্যন্ত কোন সিগন্যাল খুঁজে পাইনি, তাই মনে হচ্ছে কোন কাছাকাছি গ্রহে তারা অবস্থান করছে না কিংবা তারা প্রকৃতই চাচ্ছে না যে আমারা তাদের সন্ধান পাই বা তাদের সাথে যোগাযোগ করি।
আমরা নিশ্চিতভাবে জানি যে তারা বহুদুরে বা কাছে কোথাও আছে, কারণ তারা না থাকলে আমরা হয়তো এখানে থাকতাম না। পৃথিবীর প্রকৃতি ও পরিবেশ আমাদের পরিবেশ নয়। স্পষ্টতই আমাদের প্রাকৃতিক নয়।
এর পরের পর্বে মোট সতেরোটি কারণ নিয়ে আলোচনা করা হবে, যার মাধ্যমে আমরা অনেকটাই নিশ্চিত হতে পারি যে, আমরা এই পৃথিবীতে বহিরাগত;
~ ভাল লাগলে পরের পর্বে চোখ রাখুন...
ভাষান্তর ও তথ্য সংযোজনঃ শেরজা তপন
প্রকাশকালঃ আগষ্ট ২০২২
ফুট নোটঃ স্টার মার্ক ও বন্ধনীর তথ্যগুলো আমার সংযোজিত।