লেখার শুরুতেই কিছু ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ; বেশ কিছুদিন কিছুদিন না বছর দুদিন হলো চোখ নিয়ে বেশি সমস্যায় ভুগছি। সমস্যাটা পাওয়ার জনিত না - একটু অন্যরকম!। টিভি দেখা বই -পত্রিকা পড়া এমন কি মোবাইলে লেখাপড়া করতে খুব বেশি সমস্যা হয় না -কিন্তু চোখের যত শত্রুতা সব কম্পিউটারের সাথে। ডেক্সটপে বসলেই খানিকবাদে যত্তো ঝামেলা শুরু। দু'বছর ধরে থেমে থেমে থেকে থেকে দৌড়াচ্ছি চোখের ডাক্তারের কাছে। ডাক্তারের পদবী প্রফেসর হলে আমরা বিশেষজ্ঞ নিশ্চিত হই আর তিনি যদি সরকারি হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান হয়ে থাকেন তাহলে কথাই নেই। অনেক ভেবে চিন্তে তেমন একজনের মুরিদ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। তিনিও আমাকে বাগে পেয়ে গত দুই বছর ধরে হেন তেন এমন কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা নেই যা করান নি। পয়সা তো জলের মতো গেলই সেই সাথে কত ধরনের ওষুধ যে গেললাম আর চোখে ঢাললাম তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু ফলাফল প্রায় শূন্য! অল্প কিছুদিন ভালো থাকে তো আবার সেই আগের সমস্যা। ডাক্তার সাহেব আমার কোন রোগ ধরতে পারেন না। অবশেষে তিনি হাল ছেড়ে দিয়ে রাগে দুঃখে ক্ষোভে আমাকে ভিন্ন এক ধরনের পথ্য দিয়েছেন।
পথ্য নয় এটা ঠিক তবে কি বলব মাথায় আসছে না; কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য একখানা চশমা পড়াশোনা করার জন্য একখানে চশমা আর দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য আরেকখানা চশমা মোট তিনখানা চশমা দিয়েছেন! তিন ধরনের পাওয়ারের। কোনটা ইউভি কোটিন কোনটা ব্লু কাট কোনটা অ্যান্টি রিফেকশন, অটো সান, ফটো সান সহ আরো কত তেলেসমাতি।
অবশেষেঃ এখন আমি আগের চশমা পরেই ঘুরছি আর ভাবছি তিন খানা চশমা নিয়ে আমি এই দুনিয়াতে স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে কেমনে চলবো?
***
এবার বেহুদা খবরে আসি; কিছুদিন আগে ব্লগ ফেসবুকসহ সকল মিডিয়ার সরগরম ছিল ওটিটি প্লাটফর্মে মুক্তিপ্রাপ্ত সিরিজ; মহানগরের ওসি হারুনের চরিত্র নিয়ে। আর এখন বেশ গরম মিডিয়াপাড়া এডিসি হারুনকে নিয়ে। পরকিয়ার কেলেঙ্কারি আর ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বেধড়ক মারপিটের কারণে তিনি ফের পত্রপত্রিকার শিরোনাম হয়েছেন।
গনেশ উল্টে দেবার জন্য এখন খবর রটানো হচ্ছে যে, তাহার সহকর্মী সেই মহিলা(যার সাথে তাঁর পরকিয়া ছিল বলে রটনা) এডিসির স্বামী বিসিএস ক্যাডার নাকি তাকে সেদিন এমন পেটান পিটিয়েছিলেন যে তিনি সারা হাসপাতালময় দৌড়াদৌড়ি করছিলেন আর কান্নাকাটি করছিলেন তাকে বাঁচানোর জন্য!!!
এক সময় আজিজুল নামক সেই বিসিএস কর্মকর্তা এডিসি স্যারকে মারতে মারতে নাকি ওটিটি রুমে নিয়ে গেলেন সেখানে সেই মহিলা ডিসি ছিলেন। আর সেই স্যার নিজেকে বাঁচাতে হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে সে মহিলার পিছনে গিয়ে লুকালেন। আহারে!!!
এই দেশে ওসি ফসির তো ভাত নাই, একটা এডিসির কি করুন হাল দেখেন; একজন মহিলা এডিসির পিজির ডাক্তারের সিরিয়াল নেবার জন্য নাকি আরেকজনের শরণাপন্ন হতে হয়। * পুরো খবর পড়িলে জানিতে পারিবেন।
***
মজার একটা ঘটনা শুনে আমি ব্যাপক টাসকি খাইলাম; জাস্টিন ট্রুডো জি ২০ সম্মেলন শেষে যে বিমানে করে কানাডায় ফেরত যাওয়ার কথা ছিল সে বিমানের নাকি যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য ৪৮ ঘন্টা দেরিতে ছাড়তে বাধ্য হয়! তার মানে দুই দিন!!!!এই দুইদিন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ভারতের একটা হোটেলে বসে কাটিয়েছেন কাম কাজ ছাড়া! ক্যামনে কি মাথায় ঢুকতেছে না!!!!
****
আরেকটা বেশি মজার ঘটনা আমাদের শাহজালাল আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টে গতকাল রাত ৩ঃ১০ মিনিটে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটা ফ্লাইট। ঠিক ছাড়ার আগ মুহূর্তে বিমানের ভিতরে এক পিচ্চি দৌড়াদৌড়ি করছিল।
কেবিন ক্রু থেকে সিটে বসতে বললে সে কাছে পিঠেই যে সিটটা খালি পেল সেটাতেই গিয়ে বসল হুট করে। তার পাশে বসে ভদ্রলোক বলল, বাবু এটা তো তোমার সিট নয় তুমি তোমার আব্বু আম্মুর কাছে গিয়ে বস যাও গিয়ে।
সে বলে আমার আব্বু আম্মু তো নেই।
- ইয়া আল্লা কয় কি পোলা!! শুরু হলো হুড়োহুড়ি ওর কাছে পাসপোর্টতো নেইই কোন ডকুমেন্টসই নেই। বিমানে ক্যামনে উঠল, বিমান বন্দরের নিরাপত্তা বলয় ক্যামনে পার হইল সে কোন কিছুই বলতে পারে না।
শেষমেষ কেবিন ক্রু মাথা গুনে দেখে বিমানে যাত্রী একজন বেশি। লে ঠেলা!!! বর্তমানে সেই পিচ্চি বিমানবন্দরে পুলিশে হেফাজতে আছে! বলেন দেখি ঘটনা কি কেমনে কি হইলো?
***
এইবার একটা কাজের খবরঃ
অবশেষে 'জমি যার দলিল তার' এমন একটা যুগান্তকারী আইন পাস। আমার নিজের দখলেও কিছু নাই নিজের জমিও নাই অতএব এই আইনে আমার কিছু যায় আসে না কিন্তু আমার ধারনা দারুন একটা কাজ হয়েছে। তবে আপনার প্রতিক্রিয়া কি জানার অপেক্ষায় রইলাম...
***
এই কাজটা অনেকেই হয়তো আগে থেকেই করছেন। কিন্তু আমি প্রথমবার সম্পূর্ণভাবে করলাম। পুরো লেখাটাই 'স্পিচ টু রাইট' এ। দাড়ি কমা সহ অল্প একটু এডিটিং ছাড়া কিবোর্ডে হাত ছোঁয়াতে হয়নি।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫