ব্লগ গরম গাজা নিয়ে। আমি অনেক আগে থেকেই 'হামাস' কতৃক এমন একটা উরাধুরা আক্রমনের সন্দেহ করছিলাম। এর অর্থ আমি বেজায় বুদ্ধিমান একজন মানুষ এমন নয় মোটেও। নামে কামে যাই হোক আমি একজন মুসলিম- সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাজকর্মের নুন্যতম খোঁজখবর রাখি। একদা ভীষন বুদ্ধিমান একটা জাতি দিনে দিনে কিভাবে বলদে পরিনত হচ্ছে – মগজ মাথা থেকে কিভাবে হাটুতে নেমে যাচ্ছে, বই পড়ে ইতিহাস ঘেটে আর নিজের চোখে দেখে সেটা আমি ভাল করেই অনুধাবন করছি আর মর্মপীড়ায় ভুগছি।
***
আমি আজ অব্দি একটা প্রশ্নের সঠিক উত্তর পাই নাই। ইহুদীরা পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান, চতুর, ধুর্ত, ধণী,চরম ক্ষমতাধর, ব্যাবসায়ী জাতি হবার পরেও দুনিয়ার এত সুন্দর সুন্দর জায়গা থাকতে কেন আধা-শুষ্ক, আধা-উর্বর , মরা সুমুদ্রের পাশের ওই ক্যাচাইল্যা জায়গাটা বেছে নিল তাদের পিতৃভুমির জন্য। এটা কি শুধুমাত্র ধর্মীয় কারন, নাকি জাতীয়তাবাদ/আবেগ নাকি অন্যকিছু? ওখানে কি এমন বিশেষ মধু আছে যে শত শত বছর ধরে সে মধুর জন্য ওরা জান দিতেই আছে আর নিতেই আছে? দয়া করে কেউ আমাকে ইতিহাস শিখাতে আসবেন না প্লিজ কারণ ইসরায়েলের ইতিহাস কমবেশি আমি জানি।
আর পৃথিবীবাসী যেই উত্তর পায় নাই অথচ ব্লগার ঢাবিয়ানের মত আমি বলদও পেয়ে গেছি সেইটা নিয়ে হাসতে হাসতে পেটে খিল লেগে যাবার অবস্থা!
যেই মোসাদের কথা শুনলে সারা বিশ্বের তাবড় তাবড় যুদ্ববাজ নেতাগো ঠ্যাং কাঁপে। সি আই এ, র- ফ যাগো গোনে। নিজেরা কোন কাম না পারলে যাদের ভাড়ায় আনে। দুনিয়ার সব হাইটেক যাদের হাতের মুঠোয়। আমরা দুইশ বছর পরে যেইটা কল্পনা করব যেটা তারা আরো আগেই উদ্ভাবন কইরা ফেলছে। পুরা গাজার এক ইঞ্চি জায়গা নাই যেটা তাদের নজরে নাই- মানুষ তো দুরের কথা একটা ইদুর বিড়াল ও এপার ওপার হইতে পারে না। সেই তাগোরে ভুলায় ভালায় তাপ্পি তুপ্পি দিয়া হামাস পাঁচ- দশ হাজার রকেট লাঞ্চার সেট কইরা দমাদম ফাটায় ফেলল এইটা আবাল মিশর বুঝল বোকাচোদা মোসাদ তো বটেই দুনিয়া জোড়া কোন গোয়ান্দাই আগের থেইকা বুজবার পারে নাই এইটা জানার পরে হাসতে হাসতে গিলা কইলজা ফাইট্যা যাবার অবস্থা!!! 'ভাইরে একবিংশ শতাব্দীর সবচাইতে বড় জোকস এইটা'।
****
এবার আসি অন্য প্রসঙ্গে! আমদের আড্ডাটা বসে বড় মসজিদের এক পাশে – নামাজ শেষে সব মুসল্লিদের সাথে দেখা সাক্ষাত হয় নিয়মিত। মসজিদের এক খাদেম আছে- যুবক ছেলে। বেশ তাগড়া চটপটে। আশেপাশ থেকে চাঁদা ওঠায়। তাকে দেখে একজন ডেকে, জিগায়। কিরে গাজায় যাবি নাকি?
কাছে এসে, হেসে জোশের সাথে বলল, হ যামু তো। টাকা দেন আইজ রাইতেই যামু।
- গাজার রাস্তা চিনিস কোন দিক দিয়ে ক্যামনে যাইতে হয়?
- সেটা চিনা নিমুনে। সমস্যা নাই।
এই হইল বাঙ্গালীর জোশ। একটা হ্যান্ড মাইক নিয়ে বায়তুল মোকাররমে দাড়ায়ে বলেন কে কে শহিদ হইতে গাজায় যাইবেন? ইমানী জোশে কয়েক মিনিটেই শোখানেক মানুষ খাড়ায় যাবে। ক্যামনে যাবে কোথায় যাবে কি হবে? সব আল্লা ভরসা।
গাজা স্টিপ কি?
একটা অবরুদ্ধ নগরী। পৃথিবীর সবচাইতে বড় উন্মুক্ত জেলখানা। যেখানে দুই মিলিয়নের উপরে মানুষ বাস করে।
আপনি কি জানেন। গাজায় কতগুলো শরনার্থী ক্যাম্প আছে? আমিও জানতাম না ক’দিন আগে।
গাজায় ইউ এন পরিচালিত মোট আটটি শরনার্থী ক্যাম্প আছে। যেখানে ছয় লাখের উপরে শরনার্থীর বাস। এর অর্থ এরা সবাই শতভাগ বসে বসে বসে খায় দায় আর গুলতানি মারে।
যাদের খাদ্য, পানীয় বাসস্থান, স্যানিটেশন থেকে শুরু করে সব ইউন দ্বারা সরাসরি পরিচালিত হয়।
এর মধ্যে;
গাজার সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির জাবালিয়া ক্যাম্প। এটি গাজা শহরের উত্তরে একই নামের গ্রামের কাছে অবস্থিত। ১৯৪৮ সালের যুদ্ধের পর, শরণার্থীরা শিবিরে বসতি স্থাপন করেছিল, বেশিরভাগই দক্ষিণ ফিলিস্তিনের গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছিল ( ভাবা যায় এই শিবিরের বয়স ৭৫ বছর- কি আশ্চর্য মিল আমাদের বিহারি ক্যাম্পের সাথে!!!)। আজ, শিবিরটি মাত্র ১.৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে এবং ১২০০০০ ফিলিস্তিনি শরণার্থীর জনসংখ্যা UNRWA নিবন্ধিত। শিবিরটি এই গ্রহের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ স্থানগুলির মধ্যে একটি।
নোটঃ যদিও আমাদের রোহিঙ্গা শিবির কিংবা মানবেতর ও চরম ঘনবসতিপূর্ণ বিহারি শরনার্থী শিবিরের সাথে তুলনা করলে চলবে না। এরা কিন্তু নিজ দেশে পরবাসী। এরা অন্য কোন দেশে উব্দাস্তু নয়। এরা ওখানে বহুতল বাড়িতে বসবাস করে- এবং যাতায়াত অবাধ।
গাজার ৬৫ ভাগ মানুষের বয়স ২৪ বছরের নীচে।
যখন বয়সের গোষ্ঠীর কথা আসে, গাজা স্ট্রিপটি তরুণদের দিকে রয়েছে, যার গড় বয়স মাত্র ১৮ বছর। উপরন্তু, ২.০৫% জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের সাথে- এটি স্পষ্ট যে অঞ্চলে জনসংখ্যার বিকাশ বেশ ভালভাবেই অব্যাহত রয়েছে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মতে, গাজায় বিশ্বের সর্বোচ্চ বেকারত্বের হার রয়েছে। "অর্থনৈতিকভাবে সক্রিয় গাজাবাসীর মধ্যে প্রায় দুইজনের একজন বেকার..
এটা খুবই স্বাভাবিক। যেখানে কাজের সুযোগ নেই সেখানে বেকারের হার সর্বোচ্চই হবেই। কাম কাজ না থাকলে মাথায় দিন দুনিয়ার উদ্ভট চিন্তা আসবেই। ১৮ থেকে ২৪ বছরের ২০ জন ছেলে একসাথে জড়ো হলে তারা নতুন কোন রেভ্যুলেশোনের সপ্ন দেখে। কর্মহীন এসব যুবকের রক্ত টগবগ করে ফোটে। এদের বিবেকের থেকে আবেগ কাজ করে বেশী। ধর্মো ও জাতীয়তাবেদের পোকা এই বয়সেই মাথায় একদম পোক্ত করে ঢোকানো যায়। জীবনের ব্যাপকতা সন্মন্ধে কোন ধারনা থাকেনা তখন- তুচ্ছ বিষয়ে জীবন দিতে দ্বীধা করে না এরা। আর এদেরকেই শতাব্দীর পর শতাব্দী টোপ হিসেবে ব্যাবহার করে আসছে রাজা মহারাজা, জাতীয়তাবাদী নেতা, ধর্মীয় নেতা থেকে শুরু করে সব ক্ষমতালোভী, ক্ষমতালিপ্সু মানুষেরা। এখানেও তার ব্যতিক্রম নয়।
****
নোটঃ আমাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৩.৭৭। পার্থক্য খুব বেশী নয়। কেননা ওদের পুরুষের একটা বড় অংশ দৌড়ের উপরে থাকে সারা বছর। হাজার হাজার পুরুষ ঘর ছাড়া, জেলবন্দী, আন্ডারগ্রাউন্ডে, নিখোঁজ।
ফিলিস্তিনিতে শিক্ষার হার -৯৭ ভাগ( ১৫ বছরের উপরে)
গাজা জুড়ে ২৭৮ টি UNRWA স্কুল রয়েছে। যার মধ্যে ৮০টি একক শিফটের ভিত্তিতে, ১৯৮টি ডাবল শিফটের ভিত্তিতে চলে। যেখানে কর্মরত আছেন শিক্ষক কর্মচারী সহ মোট ৯৪৪৩ জন।
গাজা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (আরবি: الجامعة الإسلامية بغزة), IUG এবং IU গাজা নামেও পরিচিত, গাজা শহরে ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি গাজা উপত্যকায় প্রতিষ্ঠিত প্রথম উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশটি গবেষণা কেন্দ্র এবং ইনস্টিটিউট এবং অধিভুক্ত তুর্কি-ফিলিস্তিনি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল ছাড়াও বিএ, বিএসসি, এমএ, এমএসসি, এমডি, পিএইচডি, ডিপ্লোমা এবং উচ্চতর ডিগ্রি প্রদান করতে সক্ষম বিশ্ববিদ্যালয়ের এগারোটি অনুষদ রয়েছে।
১৯৭২ সাল পর্যন্ত অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব ছিল না।তার আগে, ফিলিস্তিনি উচ্চ বিদ্যালয়ের স্নাতকরা বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য, প্রধানত মিশরীয় এবং জর্ডানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যেতেন। যাইহোক, ১৯৬৭ সালে পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদারিত্বের পর ছাত্র আন্দোলনের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা, অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি এবং আরব বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনি ছাত্রদের ভর্তির উপর ক্রমবর্ধমান নিষেধাজ্ঞা এই পরিস্থিতিকে বদলে দিয়েছে।এইভাবে, স্থানীয় প্রবীণদের নেতৃত্বে স্থানীয় উদ্যোগ এবং সামাজিক ও জাতীয়তাবাদী নেতারা অধিকৃত অঞ্চলে উচ্চ শিক্ষার জাতীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন।
২০০৮-০৯ গাজা যুদ্ধ,২০১৪ ইসরাইল-গাজা দ্বন্দের সময় গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি একবার বড় অংশ বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
***
যেকোনো আগ্রাসী জাতির জন্য শিক্ষিত মানুষজন খুব বিপদজনক সে ক্ষেত্রে ইজরায়েলিয়েনদের জন্য শিক্ষিত ফিলিস্তিনি বিপদজনক বটেই।
তারা সব সময় এখানকার ছাত্রদের যে নজরদারির উপর রাখবে সেটা জানা কথাই। ইতিহাস সংস্কৃতি কিংবা কলা সাহিত্য নিয়ে যারা পড়াশোনা করছে তাদের নিয়ে সম্ভবত তেমন মাথাব্যথা নেই। মাথাব্যথা তাদের নিয়ে যারা যারা বিজ্ঞান-টিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে বিশেষ করে পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নবিদ্যা! এদের পেছনে ফেউ লেগে থাকে কারণটা অনুমেয়। তারপরে আছে যারা ইংরেজিতে পড়ালেখা করতে চায় আর সবচাইতে বেশি নজরদারিতে রাখা হয় যারা হিব্রু ভাষায় পড়তে যায়। সম্ভবত বেশ কয়েক বছর হল হিব্রু ভাষায় পড়াশোনাটা একেবারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেননা ইসরাইলে যে ১৭ লক্ষ আরবীয় ইহুদি থাকে তাদের চেহারা সুরত গাঁজার আরবদের এদের সাথে একেবারেই মিলে যায়। গাজার আরো আরবীয়রা যদি হিব্রু ভাষাতে কথাবার্তা বলে তাহলে দু'জনের মধ্যে পার্থক্য করা বেশ কঠিন। হিব্রু ভাষা শিখে ইসরাইলের অভ্যন্তরে একদম খাসা ইহুদী হয়ে ঢুকে ২০১৮ সালে সম্ভবত গাজা ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্র এর আগে ব্যাপক আক্রমণ করেছিল।
যাই হোক শিক্ষা দীক্ষায় একটা জাতীয় উন্নত হলে সে জাতিকে দাবিয়ে রাখা খুব কঠিন। কিন্তু এমন একটা বিশ্ববিদ্যালয় তো যেন তেন ভাবে ধ্বংস করা যায় না। সারা বিশ্ব থেকে বেশ চাপের মুখে পড়ে যাবে ইসরাইল তাই একটা ছুতো বা বাহানা দরকার ছিল। হিউম্যান রাইটস, ও আই সি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কেউ যাতে কিছু বললে তার কোন পাত্তাই পাবে না এমন একটা ঘটনা ঘটার দরকার ছিল যাতে কাউকে তোয়াক্কা না করে ইচ্ছা মতো দুরমুশ করে দিতে পারে সব কিছু সেটাই ঘটেছে। হামাস সুযোগ করে দিল ওদেরকে তাইতো আজ এই বিশ্ববিদ্যালয় একেবারে কোণঠাসা হয়ে পড়া একটা জাতির সব আশা ভরসাকে ফুৎকারে নিভিয়ে দিয়ে প্রায় ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে আছে।
***
বিশাল ইটের বস্তির মাঝে একটুকরো স্বর্গ ছিল 'রিমাল'
রিমাল বা রেমাল (আরবি: حي الرمال, lit. 'sands'

রিমাল গাজার প্রাচীন বন্দর নগরী মায়উমাস নামে নির্মিত হয়েছিল। খ্রিস্টান গাজা এবং পৌত্তলিক মাইউমাসের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা পুরো বাইজেন্টাইন যুগে অব্যাহত ছিল, এমনকি রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে মাইওমাসের জনসংখ্যা খ্রিস্টান ধর্মে রূপান্তরিত হওয়ার পরে এবং গাজার পোরফিরি দ্বারা পৌত্তলিক মন্দিরগুলি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পরেও।
আজ গাজা শহরের বেশিরভাগ উপকূলরেখা এবং উপকূলরেখা এবং পুরাতন শহরের মধ্যবর্তী বেশিরভাগ এলাকা জুড়ে। বেশিরভাগ বিল্ডিং ইউরোপীয় শৈলীতে নির্মিত একক পরিবারের ঘর ছিল। জেলাটি নির্মাণের পর বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কেন্দ্রটি পুরাতন শহর থেকে রিমালে চলে আসে।
এখানকার অভিজাত দোকানগুলি্তে মুখের স্ক্রাব, ত্বককে সাদা করার সানস্ক্রিন, হিমায়িত সামুদ্রিক খাবার এবং কম চর্বিযুক্ত দই সহ উচ্চ-মানসম্পন্ন পণ্য বিক্রি হয়। এখানকার বাসিন্দারা সেন্ট্রাল এসির গাজা মলে কেনাকাটা করে এবং অভিজাত রুটস ক্লাব রেস্তোরাঁয় খাবার খায়।
রিমালে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রপতি প্রাসাদ, গভর্নরের প্রাসাদ, গাজা মল, রুটস ক্লাব, জাতিসংঘ বিচ ক্লাব, ফিলিস্তিনি সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস, প্রধান আল-শিফা হাসপাতাল, কাউন্সিল প্যালেস্টাইন আইনসভা এবং বেশ কয়েকটি বিদেশী সরকার রয়েছে। আরো আছে অনেকগুলো অফিস, চারটি হোটেল এবং বিখ্যাত সব রেস্টুরেন্ট। গাজা বন্দরটি রিমাল জেলার এবং ফিলিস্তিনি নৌ পুলিশের আবাসস্থল।
ইসরাইলের বহু দিনের টার্গেটে ছিল এ শহর এ শহর তেমন ঘিঞ্জি শহর নয় এখানে হামাস বা অন্য কোন চরমপন্থী সংগঠন ঘাঁটি গাড়তে পারে না। বেশ অর্থবান মানুষজনের বাস- তারা ক্যাচাল গ্যাঞ্জাম কম পছন্দ করে তাই এখানে ইচ্ছে করলেও ইসরাইল আক্রমণ করতে পারে না।
এবার মওকা মত সুযোগ পেয়ে গেল।
***
ফুটনোটঃ লক্ষ লক্ষ নারী শিশু সহ নিরপরাধ মানুষকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে আপনি যেই বিপ্লব করেন সেই বিপ্লবের নিকুচি করি।
হোক সেটা ধর্মীয় বা জাতীয়তাবাদ হেন তেন যেটা।
***
আমার মত বোকা মানুষের বোকা বোকা কথা যদি ভাল লাগে তবে দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আসব নাইলে এইখানেই শেষ।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৬