প্রথমে একটু অন্য আলোচনাঃ গতকাল ভারত থেকে ডিমের প্রথম চালান এসেছে- মাত্র ৬৫ হাজার। এখনো খোলা বাজারে পৌছায়নি-এর মধ্যেই বাজারে ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে। ভারতে ডিম কিনতে হয়েছে প্রতিটি ৫.৮০ পয়সায় আর বাংলাদেশে ডিমের দাম প্রায় ১৩ টাকা। এখানে ব্যাবসায়ীদের অজুহাত; খাবারের অস্বাভাবিক দাম। ভারতীয়রা কি মুরগীকে হাওয়া খাওয়ায়? ওদিকে সরকারের শত নজরদারিতেও আলুর দাম কমেনি কিন্তু প্রথম দফা আলুর চালান আসার সঙ্গে সঙ্গে একদিনে ১৫ টাকা দাম কমে গেছে কেজিতে!! সরকার যখন বাজার নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে সরাসরি কোল্ড স্টোরেজে গিয়ে হানা দিচ্ছে -তাদের বাধ্য করছে ২৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করতে কিন্তু আমরা তখনো ঢাকায় আলু কিনছি ৭০ টাকায়। বড় ব্যাবসায়ীদের পাশাপাশি খুচরা ব্যাবসায়ীদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট দাঁড়িয়ে গেছে। এ কিসের আলামত??
ওদিকে আমদানীকৃত ডিমের নাকি শুল্ক ধার্য করা হয়েছে ১.৮০ পয়সা। সরকার বলছে না হলে স্থানীয় খামারিরা মার খাবে। যেই খামারীদের দেশের প্রতি- জনগনের প্রতি কোন মায়া নেই,শুধু নিজেদের লাভের কথা ভাবে; তাদের কথা সরকার কেন ভাববে?
****
কালকে( পরশু হবে) ঢাকার মধ্যেই ছিলাম- -ঘুরাফিরা করে সাহসটা একটু বেড়ে গেছে। ঢাকার রাস্তায় কয়েক প্লাটুন বিজিবি আর র্যাব টহল দিচ্ছে।বিরোধী দল এখনো মরন কামড় দেয়বি আর সরকার এখনো পুর্ণশক্তি প্রয়োগ করেনি। মুল ঝামেলাটা হবে সম্ভবত তফসিল ঘোষনার পরে। তবে ভাব দেখে মনে হচ্ছে বিরোধীদল ব্যাকফুটে চলে গেছে। কিছু এডিক্টেড ফড়িয়া পোলাপাইনরে ৫০০/১০০০ টাকা ধরিয়ে একটু গান পাউডার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বাসে আগুন দিয়ে শুধু জনমনে কিছু আতঙ্ক সৃষ্টি করে আন্দোলন হয় না। সরকারের বুকে কাঁপন ধরাতে হয়। এই ফাঁকে সরকারি লোকজন কিংবা লক্করঝক্কর বাসের মালিক ও যে এই কাজ নিজেরা করছে না তার ও গ্যারান্টি নাই। এই দেশে সবই সম্ভব।
বাসার কাছে কাল গাড়ি পুড়িয়েছে। সন্ধ্যের পরে দাউ দাউ করে বাস জ্বলতে দেখেছি ছাদে দাঁড়িয়ে। তেমন একটা সিরিয়াস কিছু মনে হয়নি। রাতের আড্ডায় এই নিয়ে খুব বেশী আলোচনাও হল না। রুশ ভাষায় 'নুশ তো' (তাতে কি) ব্যাপার!
সকালের অবস্থা বুঝে দশটার দিকে আশুলিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। একটু যে টেনশন হইয়নি তা নয়তবে ডিওএইচএস পার হয়ে উত্ত্রা দক্ষিন মেট্রোর রাস্তার নীচে আসতেই টেনশন কমে গেল। ব্যক্তিগত গাড়ির বেশ ভীড়!
গতকাল মেট্রো চালু হয়েছে মতিঝিল পর্যন্ত সেটা দারুন সুখবর বটে; কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরে আমি ব্যাপক চিন্তিত একটা ব্যাপার নিয়ে; সেটা হচ্ছে মেট্রোর সিকিউরিটি। অবরোধ বা হরতালের দিনগুলোতে যাতায়াতের বা উঠানামার একটা পথবন্ধ রেখে কলাপ্সিবল গেট আটকে রাখা হয়- কিন্তু তার আশে পাশে পাহারায় কেউ থাকে না। তার পরেই লিফট- রোগীও বৃদ্ধ মানুষদের জন্য, সেখানেও কাউকে দেখিনা। এর পরে যে রাস্তা চলাচলের জন্য উন্মুক্ত থাকে সেখানে নামে মাত্র একজন সিকিউরিটি থাকে বিনা অস্ত্রে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিরোধীদল বলে কথা নয়; তৃতীয় কোন পক্ষ এখানে বড় কোন ক্ষতি সাধন করতে পারে। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য অনেকেই তৎপর। এসব স্পর্শকাতর ও গুরুত্ত্বপূর্ন এলাকার সিকিউরিটি কেন এত ঢিলেঢালাভাবে চলছে ব্যাপারটা ভেবে আমি অবাক হচ্ছি।
ছবিগুলো চলার পথে তোলা। উত্তরা দক্ষিন আর উত্তরা সেন্টার মেট্রো স্টেশনের প্রবেশ ও বাহির মুখের ছবি।
~এই ছবিটা রাতের। পুরবী মেট্রো স্টেশন থেকে তোলা। ( নামঃ১১ মেট্রো স্টেশন)
ছবিটা আশুলিয়া ব্রিজে উঠবার মুখে। দুপাশের দৃশ্য; ঢাকা আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ের নির্মানকার্যের।
আমি এই পথে নিয়মিত চলাচল করি; মাত্র ছয়মাস আগে দেখেছি পাইলিং করতে, এর মধ্যে কয়েকশ পিলার বসিয়ে উপরের টি বসানো হচ্ছে - একসাথে কয়েক মাইল এলাকার কর্মযজ্ঞ চলছে। দশ বছর আগে যেটা ভাবাও যেত না! কিভাবে সম্ভব হল এটা? সম্পুর্ন ক্রেডিটটা হয়তো দিনশেষে সরকার নিবে। কিন্তু আমি বছরের পর বছর দেখেছি সাধারন মানুষের অংশগ্রহন; এসব বড় মাপের প্রজেক্টে শুধু দেশী বিদেশী নামী দামি দানবীয় কন্সট্রাকশন কোম্পানীই নয় অধি সাধারন গেরোস্তের ক্যাটাপিলার বা ছোট্ট ভেকু-ও নিয়োজিত আছে।
আপনি দেখলে অবাক হয়ে যাবেন সাইকেলের গ্যারেজে কাজ করা ছেলেরা বিশাল বিশাল সব ক্রেন, ক্যাটাপিলার, ভেকু, এক্সেভেটর, লোডার, ডাম্প ট্রাক সারাইয়ের কাজ করছে এই আশুলিয়ার অলিতে গলিতে।
একদম রাস্তার ধারঘেষে এমন ছোট খাট সারাইয়ের কাজ করা দোকানের একটা ছবি দিয়ে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি।
তথ্য সংগ্রহ করছি। এই নিয়ে লেখার ইচ্ছে রইল একদিন। (দৌড়ের উপ্রে ছবি)
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৫৭