যদি জিজ্ঞেস করেন একজোড়া সংখ্যা দিয়ে কি বুঝাতে চেয়েছি?
উত্তর দিব; তেমন কিছুই না। এই যে সুদীর্ঘ পনের বছর সুখে দুঃখে আপনাদের সাথে কাটাইলাম সেইটা স্মরণ করলাম মাত্র। সামু ব্লগ থাকবে কি থাকবে না সেটা সময়ই বলে দিবে কিন্তু আমার এই সংখ্যাটা চলতে চলতে একদিন নিশ্চিত থেমে যাবে। হয়তো ১৫এর স্থানে ২০ হবে অথবা ২৫ কিংবা বড়জোর ৩০ হবে- তারপর ...
আজ আর তেমন কিছু বলার নেই। বয়স বাড়লে একসময় যেমন ধীরে ধীরে কষ্টটা বাড়তে থাকে ঠিক তেমনি ব্লগের বাড়তে থাকা এই বয়সটা আজ আমাকে বিষন্ন করেছে।
আমার মত ১৫ কিংবা ১৬ অথবা ১৭ বছর যারা ব্লগে কাটিয়ে দিলেন তারা মন খারাপ না করে আসেন বুড়া ব্লগারেররা বুড়া টাইপের ইন্টারনেট যুগের প্রথম দিককার অতি চর্চিত একটা কৌতুক শুনি;
বিল গেটস মৃত্যুর পরে ইশ্বরের দরবারে হাজির হয়েছেন।
ঈশ্বর তাকে দেখে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়লেন। ভাবছেন ওকে নরকে পাঠাবেন নাকি স্বর্গে।
প্রথমত ভদ্রলোক পৃথিবীকে অনেক কিছু দিয়েছেন। উইন্ডোজ প্রোগ্রাম থেকে শুরু করে আরো অনেক প্রোগ্রাম -কম্পিউটারকে করেছেন সহজ লভ্য -যে কারনে অতি দ্রুত সেটা ঘরে ঘরে পৌছে গেছে। তাহলে তাকে স্বর্গেই পাঠানো যাক
নাহ -ওদিকে মানুষের উপকারের চেয়ে নিজের ব্যাবসায়িক স্বার্থকে বড় করে দেখা- আর মানব জাতির ধ্বংস তরান্বিত করতে তার অবদানের কথা স্বরন করে ভাবলেন ব্যাটাকে নরকেই দিব।
নিজে ভেবে কোন কুলকিনারা না করতে পেরে তাকেই অপসন দিলেন । জিজ্ঞেস করলেন তুমি কোথায় যেতে চাও স্বর্গে না নরকে?
বিল গেটস বিনীত স্বরে বললেন ‘বেছে নেয়ার আগে ইশ্বর একটু দেখে নিলে ভাল হতো না।’
-ঠিক আছে তার থেকে তুমি দেখেই নাও যেখানে ভাল মনে কর সেখানে যেও।
বিল গেটস প্রথমে নরক দেখতে চাইল ।
নরকের দরজা খুলে ভেতরের চেহারা দেখেই তার মন জুড়িয়ে গেল । আহা কি সুন্দর পরিবেশ চাদের স্নিগ্ধ আলো মৃদুমন্দ বাতাস ।ফল ও ফুলে ছাওয়া গাছে গাছে পাখির কুজন কাকচক্ষু জলের বিশাল সরোবর সুবেশা সুন্দরী রমনীদের প্রেমময় ভঙ্গী দেখে মনে হল স্বর্গ দেখার আর প্রয়োজন নেই এখানেই থেকে গেলে মন্দ হয়না ।
আবার ভাবলেন তবুও সুযোগ যখন মিলেছে তবে স্বর্গটাও একটু দেখে যাই ।
স্বর্গে ঢুকেই তার দম আটকে গেল । ছিঃ কি নোংরা জঘন্য স্যাতস্যাতে অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ । বাতাসে ভেসে আসছে দুর্গন্ধ । আর কি বিশ্রী চিৎকার চেচামেচী । ধ্যৎ এখানেতো একমুহুর্তও থাকা যাবেনা । স্বর্গ দেখার সমাপ্তি দিয়ে,
ঈশ্বরের দরবারে তাড়াহুড়ো করে ফিরে এসে পাছে মত পাল্টাতে পারেন সেই ভেবে তাকে কিছূ বলবার সুযোগ না দিয়েই বললেন ‘ঈশ্বর আমাকে নরকে যেতে দিতে আজ্ঞা হোক।’
ঈশ্বর মুচকি হেসে বললেন ‘তথাস্তু’
বিল নাচতে নাচতে নরকে গেল ।
মাস খানেক বাদে ঈশ্বর নরক পরিদর্শনে গেলে - বিলের ত্রাহি চিৎকারে এগিয়ে গেলেন। ভয়ঙ্কর আগুনের কুয়ো থেকে বিল কোন মতে তার বিকৃত মুখ বের করে তাঁকে ‘ প্রতারক ’ বলে গালি দিল । বলল, তিনি নাকি দেখিয়েছেন একটা আর দিয়েছেন আরেকটা। দারুন পরিবেশের লোভ দেখিয়ে এখন এই ভয়ঙ্কর আগুনে পোড়াচ্ছেন।
ঈশ্বর তার সব কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে মুচকি হেসে প্রতিউত্তরে শুধু একটি কথাই বললেন‘ ওটা ছিল স্ক্রিন সেভার।’
~ মুল ইংরেজী থেকে এই অনুবাদটা সম্ভবত আমিই করেছিলাম। ২০/২২ বছর আগের কথা ভুলে গেছি।
***
এমন ধারার কৌতুক আরেকখানা ছিল; ( যারা প্রথম দিককার উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন নাই তাদের বুঝতে কষ্ট হবে)
***
বিল গেটস মৃত্যুর পর নরকে জায়গা পেলো। তো শয়তান তাকে বলল, "তোমার সম্মানে তোমাকে একটা সুযোগ দেয়া হল, যেখানে খুশি নরকের সে জায়গায় তুমি থাকতে পারবে"
বিল গেটস পুরো নরক ঘুরে দেখতে লাগলো। সে সাজানো গোছানো এসি লাগানো একটা এক রুমের এককোনা দেখল যে একটা কম্পিউটারও আছে।
তিনি যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেলেন। তিনি ওখানেই থাকতে চাইলেন।
শয়তান রাজি হল।
বিল গেটস খুশি মনে চলে গেলো।
শয়তানকে এক চ্যালা গোস্যা হয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলো "আপনি কেন তাকে ওই রুম দিলেন। নরকে সে বেশ আরামে থাকবে।'
শয়তান হাসল আর বলল, "ব্যাটা এটা Windows 95 অপারেটিং এর কম্পিউটার। আর কি বোর্ডে ৩ টা বাটন নাই... Alt. Ctrl আর Delete...এখন সে বুঝবে নরক যন্ত্রণা কি জিনিস।"
***
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৯