somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লঙ্কায় গেলেই রাবণ হয়!!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আপডেট করা হয়েছেঃ ৬ জানুয়ারি সকালঃ ১০ঃ০০
জ থেকে ১৫ বছর আগের কথা। কেউ কেউ বলে সামু ব্লগের তখন স্বর্ণযুগ! কোন যুগ ছিল জানি না তবে দারুণ সব বুদ্ধিদীপ্ত সাহিত্যমনা মানুষের সদর্প বিচরণ ছিল এখানে। ব্লগের পাতা সারাক্ষন সচল থাকত তাদের ক্ষুরধার লেখনীতে। সাহিত্যের অন্য সব অঙ্গন বাদ দিলেও কিছু ব্লগারের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ছিল অসাধারণ। ২০০৮ এর ব্যতিক্রমী এক নির্বাচনে দারুণ সরগরম ছিল ব্লগ। আমাদের অনেক ব্লগারদের অনেক বিশ্লেষণধর্মী মতামত আলোচনা এতটাই মানসম্পন্ন ও পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিল যে তা বিভিন্ন জাতীয় সংবাদপত্রে হরহামেশাই ছাপা হতে থাকে।
নির্বাচনের সময়ে প্রায় নব্বুইভাগ ব্লগার সরাসরি প্রত্যাখান করেছিল স্বাধীনতার বিপক্ষশক্তি আর তাদের দোসরদের এবং তাদের ভরাডুবিতে সারা দেশের মত পুরো ব্লগে অন্যরকম এক উচ্ছাস ও আনন্দের ঢেউ বয়ে গিয়েছিল!!
কিন্তু এত আনন্দের মাঝেও অনেকে আশংকা প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশের ভবিষ্যত শাসন ব্যাবস্থা নিয়ে। তারা সতর্ক করেছিল-ভবিষ্যতদ্রষ্টা কিছু মানুষ বাঙ্গালী জাতির চরিত্র সন্মন্ধে অবগত হয়েই সরকারের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলেছিল। তাদের আশঙ্কাই আজ সত্যি হয়েছে। ব্লগারদের সেদিনের সেই সম্মিলিত শক্তি দেখে শাসকদল কিছুটা হলেও ভয় পেয়ে গিয়েছিল। তারা আর চায়নি তেমন করে কোনদিন ব্লগ আর মাথা চাড়া দিয়ে দাঁড়িয়ে যাক। কারন এদেশে শাসক পাল্টায়- কিন্তু শোষক পাল্টায় না।

আসুন আমরা ফিরে যাই ২০০৮ সালের সেই নির্বাচনে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর নিরষ্কুশ বিজয়ের পরে ব্লগারদের অনুভুতির গল্প শুনে আসি;


জনতার রায় পরির্বতনের পক্ষে আর সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে ...
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৩৬
রাহা
মানুষ দু'বেলা ভাত খেতে চায়, একটু স্বস্তি চায় , চায় একটু নিরাপত্তা। সেই চাওয়াকে পুজিঁ করে মানুষ এ নির্বাচনে ব্যালটে দিয়েছে সেই রায় । বিগত সরকারের ৫ বছর কিংবা গত ২ বছরেরও মানুষ খুব একটা স্বস্তিতে ছিল না । বিগত চারদলীয় জোটের আমলের লাগামহীন অনিয়ম, দুর্নীতি আর সীমাহীন দুঃশাসনও মানুষ ছিল প্রায় নিশ্চুপ কেননা জনগন অপেক্ষায় ছিল হয়তো নির্বাচনের জন্য । তার মতামত প্রকাশের একটিই জায়গা আর তা হলো ব্যালট পেপার। সেই ব্যালট পেপারে তার রায় দিতে দেরী হলো দুটি বছর কিন্তু মানুষভুলে যায় নি, দুবছর অপেক্ষা করেও তার রায় দিয়েছে সন্ত্রাস, সীমাহীন দুর্নীতি আর স্বজনপ্রীতির বিপক্ষে । জনতা রায় দিয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিপক্ষে, জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ।

সেই রায়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছে আওয়ামী লীগ, একটি কথা ভুলে গেলে চলবে না , জনগন আওয়ামী লীঘকে এই সংখ্যা গরিষ্ঠতা দেয়নি , দিয়েছে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য আর বিশৃংখলার বিরুদ্ধে । দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতি আর সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে । মানুষের সেই রায়কে সম্মান জানতে , মানুষের আকাংক্ষাকে পূরণ করতে চাই আওয়ামী লীগের একটি সুসংঘঠিত সরকার । যে সরকার এই কপালপোড়া জনগনের সরকার হবে, এই দেশের নিরন্ন মানুষকে অন্ন দেবে দেবে একটু স্বস্তি।
এই দেশের মানুষ শান্তি চায় না চায় একটু স্বস্তি, তিনবেলা খাদ্য চায় না, দুবেলা দুমুঠো ভাত খেতে পারলেই খুশি। সেই চাওয়াকেই পূরণ করাই হবে আগামী সরকারের প্রথম কাজ।

মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ, স্বভাবতঃই তার কাছে দেশের মানুষের প্রত্যাশা বেশি । সেই প্রত্যাশার নজির কিন্তু এই নির্বাচনের রায়, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংষদ নির্বাচন । প্রত্যেকটি মানুষ পরির্বতন চেয়েছে , প্রত্যেকটি মানুষ সীমাহীন দুর্নীতি থেকে বাচতে চেয়েছে নইলে আওয়ামী লীগ তার প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশী এই আসন পায় না । এই রায় আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বধীন জোটকে একটি শক্ত পরীক্ষার সম্মুক্ষীণ করবে, কেননা জনগন তার প্রত্যাশা পূরণের স্বপ্নে ব্যালটে এটি সীল দিয়েছে ।

মানুষ বুঝে গেছে প্রতিবাদ করে, গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে কোন লাভ নেই , তার সুযোগ বুঝে সে রায় দেবে সেই রায় হবে ব্যালটের রায় । তার জন্য সে অপেক্ষা করতেও প্রস্তুত । সেই অপেক্ষার ফলাফল আজকে পাওয়া গেল । জানি না ২০০৬ সালের যদি একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হতো তবে এই রায় আর কতো ভয়াবহ হতে পারত ।

আগামী সরকার হোক জনগনের প্রত্যাশা পূরণের সরকার, জনগনের সরকার । ব্যালটের রায়কে শ্রদ্ধা জানাতে শিখুক নতুন সরকার ।
জনতার রায় পরির্বতনের পক্ষে আর সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে, যুদ্ধাপরাধীদের বিপক্ষে – রাহা
***
একটি ফলোআপ পোষ্ট অথবা শেখ হাসিনা বরাবর খোলা চিঠি...
ইশতিয়াক আহমেদ
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:২২

আমি কখনোই বিশ্বাস করিনা, এদেশের মানুষের ভোটের ফলাফল তার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এদেশের মানুষ ক্ষোভে নয়, অভিমান থেকে ভোট দেয়। যদি কারো প্রতি ক্ষোভে সত্য হতো তবে কেউ না কেউ পরপর দুবার হারতো, কেউ সরকার গঠন করতো পরপর দুই মেয়াদে।
এই দেশে তাই অভিমান বারবার ভাঙ্গে, বারবার ফিরেও আসে।
২. এদেশে হিসাব নিকাশ খুব-ই আলাদা। এই যে চলে গেলো নির্বাচন। আজ থেকে হয়তো অনেকে হিসাব-ই আমূল পাল্টে যাবে। আজ থেকে আওয়ামীলীগ নামের দলটি এবং তার মানুষেরা হাওয়ায় ভেসে বেড়াবে। জনগনের সাথে অনেকটা কমে আসবে জননেত্রীর সম্পর্ক। শেখ হাসিনার এসএসএফ প্রটোকল ভেদ করে তার আশেপাশে ঢুকে যাবে কিছু অদৃশ্য গুনমুগ্ধজন। যারা সারাদিন হাততালি বাজাবে আর বলবে, নেত্রী সব ঠিক হচ্ছে। সব ঠিক। আপনি এগিয়ে যান।
হয়তো আজ থেকে সূধা সদনের দুরত্ব বেড়ে দাঁড়াবে কয়েক হাজার মাইল।
যে পথ সাধারণের পক্ষে পাড়ি দেয়া কখনোই সম্ভব হবে না।
আমরা এসব দেখে অভ্যস্ত এবং মেনে নেয়ার জন্য প্রস্তুতও মানসিকভাবে।
তবে আমরা অনেকটা দিন হয়তো চেয়ে থাকবো নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া জননেত্রীর মুখের দিকে। কারন আমাদের কানে অনেক দিন বেজে যাবে তার দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো।
আমি জানি না দিন বদলের স্বপ্ন দেখানো আওয়ামীলীগ নেত্রী কী নতুন দিন উপহার দিতে যাচ্ছেন?
৩. আমরা এখন স্বপ্ন দেখতে কষ্ট পাই, স্বপ্ন ভাঙলে কষ্ট পাইনা। কারন আমরা প্রতিদিন আমাদের ভাঙা স্বপ্নগুলো চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে থাকতে দেখি। বাস্তবায়নহীন লাখো প্রতিশ্রুতি এখনো দাবড়ে বেড়ায় আমাদের ইথারে ইথারে।
তাই নতুন কী বললো বা নতুন সরকার আমাদের কী দেবে সেই স্বপ্ন আমাদের খুব বেশি ছুঁয়ে যায়না।
তবে একটা বিশাল প্রতিশ্রুতিতে সরকার গঠন করতে যাওয়া বিজয়ী দল নেত্রী এবার নিজেদের জড়িয়ে নিয়েছেন। যে প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থতা হয়তো আগামী নির্বাচনে তাদের বিরুদ্ধে ভোটটা দেয়ার সময় অভিমান থেকে পরিবর্তিত হয়ে দাঁড়াবে অন্য কিছুতে। এবার হয়তো আসবে ক্ষোভ থেকে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে- এই অসম্ভব আকাঙ্খিত প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হলে জনগনের ভয়াবহ ক্ষোভে এই দলটিকে হয়তো ভুগতে হবে বহুদিন। আমি জানিনা, বিজয়ী দল বা দলের নেত্রী কতটা অটল থাকবেন তার এই প্রতিশ্রুতি পূরণে?
৪.'আজ আসলে লড়াই হবে দাঁড়িপাল্লা বনাম দাঁড়িপাল্লার' শিরোনামে গতকাল একটা লেখা পোষ্ট করেছিলাম। সে লেখায় ওঠে আসা একটা দাড়িপাল্লার জয় হয়েছে। শোচনীয় পরাজয় বরণ করতে হয়েছে অন্য একটা দাঁড়িপাল্লাধারীদের। যুদ্ধাপরাধীদের। শুধু তাদেরই নয়, তাদের সাথে থাকার দায় এড়াতে পারেনী এদেশের অসম্ভব জনপ্রিয় একটি দলও। অসহায়ের মতো দেখতে হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের সাথে নিয়ে নিজেদের পরাজয়ের দৃশ্যগুলো।
শুধু ব্যালটে তাদের নয়, তারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে মনের ভেতর থেকেও। এদেশের মানুষের বিবেকের আদালতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়ে গেছে। বিচারের সে রায় তুলে দেয়া হয়েছে বিজয়ী নেত্রী শেখ হাসিনা বরাবর।
এখন শুধু অপেক্ষার পালা...। কি করবে আওয়ামী?
কি করবেন শেখ হাসিনা?
কোথায় নিজের স্থান করে নেবেন তিনি? নিজের জন্য তিনি কী সঞ্চয় করতে চাইবেন?
আমি আশা করি, শেখ হাসিনাকে হয়তো আর বুঝিয়ে বলবার প্রয়োজন নেই মানুষের ক্ষোভে নিন্দিত অথবা মানুষের ভালোবাসায় নন্দিত হয়ে অমরত্ব লাভের সুযোগ তার জীবীতকালের হয়তো কোন পর্বে আর আসবে না।
এখন শুধু তার বেছে নেয়ার পালা।
***
সেদিন সদ্য বিজয়ী মহাজোট সরকারের প্রতি দু'জন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের বুক চেরা আকুতি ছিল এমন;
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:৫৮

এখানে আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় কেউ আসেন কি? আসলে প্লিজ কথাগুলো শোনেন। আমরা , যারা খেটে খাওয়া বাংগালি আছি, যারা মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান আছি, আমরা জানি আপনারা ম্যাজিক দেখাতে পারবেন না। গত সময়ে যে পরিস্থিতি গেছে, তাতে আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের অবস্থার উন্নতি করতে আপনাদের অনেক সময় লাগবে। কিন্তু তারপর ও আমাদের কিছু চাওয়া আছে। দয়া করে একটু মনযোগ দিয়ে পড়ুন :

১। সবার আগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। তাদের বিচার এর জন্য স্পেশাল কিছু দরকার নাই। আমার দেশে চুরি ছিনতাই এর জন্য ও ক্রসফায়ার হয়, আমার মনে হয়, চিন্হিত যুদ্ধাপরাধীরা এভাবে মারা গেলে মানবাধিকারের প্রশ্ন কেউ তুলবে না। আর ৩৭ বছর পর বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রমান খুজে হয়রান হতে হবে না। এ প্রসংগে বলি, কয়েক বছর আগে আমার বাবা বাসায় এসে কেঁদে ফেল্লেন। তার সাইকেল রাস্তায় আধাঘন্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিলো, নিজামী এর গাড়ি যাবে সেই জন্য। তিনি ৭১ এ গুলি খাওয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা, যিনি এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি সুবিধা নেন নাই। তাঁর আদর্শের জন্য।
~ এদেশে আজ হাজার হাজার ভুয়া সার্টিফিকেটধারী মুক্তিযোদ্ধা! তাঁর মধ্যে শত শত স্বাধীনতা বিরোধী আছে বলে জনগন বিশ্বাস করে।

২। বিশাল বিজয়ে মদমত্ত হয়ে বি এন পি কর্মীদের মত "আমাদের সরকার আমাদের দেশ, কাজেই তোমার সম্পত্তি আমার সম্পত্তি আর সব কিছুই আমার অধীনে " মনোভাব যেনো আপনাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে কাজ না করে। আমরা আর কোনো পিন্টু, লাল্টু , সর্ব হারা, বাংলা ভাই চাই না। ~
~আজ ১৫ বছর পরে যেমন ছিল তাই হয়েছে। পাল্টায়নি কিছু তাঁর...

আপনার বাবাকে বলতে চাই, চাচা আমাদের ক্ষমা করে দেন। এতদিন কিছু করতে পারিনি, এবার করবোই ইনশাল্লাহ...

আমিও বলছি:
"এখানে আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় কেউ আসেন কি? আসলে প্লিজ কথাগুলো শোনেন"
রাগ ইমন বলেছেন: আব্বা অসুস্থ হয়ে পড়লেন এই নিজামীর গাড়িতে পতাকা দেখে । আর মা এর কথা তো বলতেই পারবো না ।

মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নিয়ে যে সব ফালতু কান্ড হয়েছে , এসব বাদ দেওয়া উচিত । আমার বাবাও কোন সুবিধা নেন নাই, আমাদেরকে নিতে মানা করেছেন । তার সার্টিফিকেট টাও রাখেন নাই । প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সুবিধা পাওয়া নিয়ে কোন্দিন মাথা ঘামায় নাই ।
এখনও গল্প লিখি বলেছেন: আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ও কাঁদেন নি। তার সারা জীবনের একমাত্র প্রাপ্তি বোধ হয় থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সভাপতি হওয়া।
আজ তিনি কেঁদেছেন
****

"বিএনপির ৫ বছর, পাবলিকের ৮ ঘন্টা"
আন্ধার রাত
(চোরের ১০ দিন গৃহস্হের ১ দিন)

"ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়"
(অসীম দূর্নীতির উপযুক্ত রদ্দা) ---আমার বানানো প্রবাদ।
এই নির্বাচন উভয় জোটের জন্য একটি আদর্শ রেসিপি ( সিদ্দিকা কবীরের রেসিপি নয়) । সীমাহীন দূর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাসী, দ্রব্যমূল্যের মূল্য বৃদ্ধি, ধরাকে সরা জ্ঞান ইত্যাদি মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা সহ্য করতে পারেনি। আকন্ঠ নিষ্পেসিত জনগন স্বস্হির অক্সিজেনের জন্য আকুলি বিকুলি করছিল। একটি মাত্র সুযোগ পেয়েছিল জনগন, সেই সূবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল হয়নি এক বিন্দুও।
আওয়ামীলীগ বিপুল জনপ্রিয়তার জন্য সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়নি (আমার নিম্ন জ্ঞানে উভয় দলই একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ)। পেয়েছে জনগন একটা পরিবর্তন চাচ্ছিল, তাই।
জনগণের ভোটের মর্যাদা যদি আ'লীগ বুঝে, যদি চাটুকার দ্বারা আবৃত না হয় তবে তাদের উচিত হবে দেশ ও দশের জন্য সর্বোচ্চ মনোযোগ প্রয়োগ করা।

ওদের পরাজয়ে আমার আনন্দ এদের বিজয়ে আমার দুঃখ

*************
আমার কথাঃ
যারা নতুন সুর্যের ভোর দেখবে বলে ঘুম থেকে উঠেছিল তাদের অনেকেই সেই সপ্ন দেখতে দেখতে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেই পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন কিন্তু পাল্টায়নি কিছু। আমরা যেই তিমিরেই ছিলাম সেখানেই রয়ে গেছি।
সেই সময়েএকজন ব্লগার আক্ষেপ করে বলেছিলেন,
(আমরা নীচের দিকে না তাকিয়ে যদি একটু উপরের দিকে তাকাই-ধরেন সেইসব দেশের নাগরিকদের কথা যারা জন্মের পর থেকে লোডশেডিং দেখে নাই -তখন কি আফসোস হয়?
বলতে চাইনা তবুও বলি-রাগ কইরেন না-এই দেশের বিদ্যুৎ পানি আর গ্যাসের সমস্যার সমাধান কোনদিনও হবেনা। আমার জীবদ্দশায় যদি এই তিনটে সমস্যার একটারও সমাধান হয় তাহলে আমি নিজেকে সব অপ্রাপ্তি আর বঞ্চনার দুঃখ ভুলে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী দেশের নাগরিক কল্পনা করব।)
কি অসীম দুর্ভাগ্য আমাদের উন্নয়নের হাজারো গল্প আর গালভরা বুলি শুনি হর হামেশা কিন্তু নাগরিক জীবনের এই তিনটে অতীব গুরুত্বপূর্ণ চাহিদার সমাধান হয় না। আমাদের দুরদৃষ্টি সম্পন্ন ব্লগারেরা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন; এই সমস্যাগুলোর সমাধান কোনদিন হবে না। আমি আনন্দিত হতাম যদি তাদের কথা ভুল হোত। কিন্তু হায়, ঘুরে ফিরে সেই দুর্নীতি সেই অহমিকা সেই লুটপাট সিন্ডিকেট মুদ্রাপাচার অর্থ বিত্তের পাহাড়। এই আমার ওই আমার সব আমার আমার মনোবৃত্তি আর জনগণরে উন্নয়নের স্ক্রিন সেভার দেখানো।

আর কতদিন আমরা দেশ ছেড়ে উন্নত জীবনের আশায় পালাতে চাইব? কেন এ দেশ আমার হবে না? এদেশে কিসের অভাব? কেন কোটি কোটি মানুষ ভুল নেতৃত্বের জন্য ভুগতে থাকবে বঞ্চিত হতে থাকবে যুগের পর যুগ? একটা চতুর বুদ্ধিমান কর্মঠ লড়াকু জাতিকে এভাবে কেন পঙ্গু করে দেয়া হচ্ছে দিনের পর দিন?
কে দেবে এর উত্তর?

* ব্লগার অর্ক ভেবেছিল এখানে আমি আমার কোন মতামতই দেইনি- সেই জন্য শেষোক্ত কথাগুলোতে আমি আমার কথা উল্লেখ করে দিলাম!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৯
৩৯টি মন্তব্য ৩৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×