উত্তরা থেকে মতিঝিল মেট্রোরেলে বেদম ভীড়
বাসা থেকে বের হতেই মাথার উপর দিয়ে সাঁই সাঁই করে মেট্রোরেল ছূটে যেতে দেখে বেশ লাগে।
অবশেষে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে রাত সাড়ে আটট পর্যন্ত চালু হল উত্তরা থেকে মতিঝিল মেট্রোরেল পুরোদমে!
নীচের সড়কে চলাচল করা লক্কর-ঝক্কর তালি তাপ্পি দেয়া গুলিস্তান মতিঝিলগামী বাস আর সি এন জি ( স্কুটার বা অটো রিকশা) দৌরাত্ম অনেক কমে এসেছে। বাস চালকেরা মনের দুঃখে যাত্রী তোলার নামে রাস্তার মাঝে বাস আড়াআড়ি করে দীর্ঘসময় রেখে জানযট আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে- কেউ কেউ বি আর টি এ কে ঘুষ দিয়ে বিকল্প রুটে বাস চালাচ্ছে।
অফিস টাইমে ১০ মিনিট পর পর মেট্রোতে ভীড় উপচে পড়ছে- ভেতরে নিঃশ্বাস নেবার উপায় নেই। সবার দাবি অন্তত পাঁচ মিনিট পর পর ট্রেন দেয়া হোক। যারা মতিঝিল যাওয়া আসার পথে তিন চার ঘন্টা করা জ্যামে বসে থাকত তারা বোঝে মেট্রো তাদের জন্য কি আশির্বাদ বয়ে এনেছে।
সত্যিকার অর্থে যদি আগামী ৬ বছরের মধ্যে বাকি ৫ টা লাইন চালু হয় তবে ঢাকার যোগাযোগ ব্যাবস্থা আমুল পালটে যাবে সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
আমাদের দেশের জনগনের বড় একটা অংশ সাবের হোসেন চৌধুরীকে ব্যক্তি মানুষ হিসেবে পছন্দ করে। ক্রীড়াঙ্গন থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া আর গত কয়েক তার্মে তাকে কোন মন্ত্রিত্ব না দেয়ায় অনেকেই ক্ষুদ্ধ হয়েছিল।
এবার তিনি মন্ত্রীত্ব পেয়ে কিছু চমক দেখাবেন এমন আশা সবার। লোক দেখানো হলেও তার এই কাজটা মার ভাল লেগেছে। গতকাল তিনি মেট্রো ট্রেনে করে অফিসে গিয়েছেন। বিষয়টা আপনি কিভাবে দেখছেন?
*****
সরকার তাড়াহুড়ো করে গত বছর নির্বাচনের আগে এলিভেটেড এক্সপ্রেসের ওয়ে উদ্ভোধন করেছিল। আমি নিজেীক্সপ্রেসোয়েতে গাড়ি চালিয়েছে- ওঠা নামার রাস্তা আমার গন্তব্যের সাথে মেলাতে গিয়ে হিমসিম খেয়েছি তবুও আমি বিমোহিত হয়েছি। অসম্পূর্ণ হলেও নিঃসন্দেহে দারুন একটা কাজ!
সুত্রমতে জেনেছিলাম; প্রতিদিন ১৭ হাজার গাড়ি চলাচল না করলে সরকারকে ক্ষতিপুরণ দিতে হবে। ফেসবুকে দিনের পর দিন এক্সপ্রেসোয়ে আর নীচের ছবি দেখে আতকে উঠেছি! ভেবেছিলাম পুরো ফ্লপ প্রজেক্ট! তবুও আশা করেছিলাম পুরোটা চালু হলে এমন দশা থাকবে না।
কিন্তু আজকের খবরে দেখলাম; এ পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ৩০ হাজারের বেশী গাড়ি চলাচল করেছে।
অতএব- দয়া করে ফেসবুকের খবর বিশ্বাস করার আগে দু'বার ভাববেন।
****
মিরপুরের পল্লবী থেকে এনা পরিবহনের এসি বাস সরাসরি গোপালগঞ্জ যায় -ভাড়া ৮০০ টাকা। পদ্মা ব্রিজ দিয়ে যেতে সময় লাগে আড়াই ঘন্টা ( কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত যদি জ্যাম না থাকে)। অনেকেই এখন সকালে ভাঙ্গা কাশিয়ানি মাদারীপুর গোপালগঞ্জ সকালে গিয়ে গ্রামের বাড়িতে দুপুরের খাবার খেয়ে কাজ কাম সেরে সন্ধ্যের মধ্যে ঢাকা পৌঁছে যেতে পারছে। আরো সহজ পথ মিরপুর উত্তরা থকে মেট্রোতে সচিবালয় বা মতিঝিল। ওখান থেকে গুলিস্তানে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসে দেড় থেকে পৌনে দুই ঘন্টায় গন্তব্যে! ( কিছু সময় কম বেশি- হতে পারে)
যারা মাওয়া- শিমুলিয়া বা পাটুরিয়ায়-দৌলতদিয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে নদী পার হবার জন্য ৮/১০ ঘন্টা জ্যামে বসে থেকে ভয়ঙ্কর দুর্বিসহ আতঙ্কজনক সময় কাটিয়েছেন তারা বোঝেন এর মাহাত্ম্য!
****
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতিক থাকবে না। গতকালের সংবাদ। এটাও আপাতত ভাল সংবাদ- যদিও যে কোন সময় নিয়ম পালটে যেতে পারে। তবে অনেকেই হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে।
বাসাবাড়িতে নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস শিগগিরিই। ২০২৮ পর হবে ঘাটতির সমাধান। -নসরুল হামিদ।
মন্ত্রীরা এখন মন্ত্রীত্ব পাওয়ার আনন্দে অনেক বেশি আবোল-তাবোল বকছেন। তবে শুনতে ভালই লাগছে। এমনটা হলে ঢাকা চট্রগ্রাম সিলেটবাসী চার হাত পা তুলে দোয়া করবে

আমার ধারনা বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীর মত এতদিন বাদে আমরা ভাল একজন স্বাস্থ্যমন্ত্রী পেয়েছি- উনার উপরে আমার অনেক আশা ভরসা। কাজ ও শুরু করেছেন তেমনি। অদৃশ্য হাতের ইশারায় যদি তিনি থেমে যেতে বাধ্য না হন তবে আগের কথা বাদ দিলাম নাসিম থেকে শুরু করে বিগত মন্ত্রী যেভাবে সাস্থ্যখাতকে খাদে নিয়ে চুবিয়ে কাদা কাদা করেছেন সেখান থেকে হাচড়ে পাঁচরে অন্তত খাদের কিনারায় উঠতে পারব বলে আশা রাখি।
**************
আরো কিছু সংবাদঃ
ডোম ইনোর এম ডি কারাগারেঃ (খবরটা আরেক মহাদস্যু আবাসন কোম্পানীর পত্রিকায় খুব ছোট করে এসেছে) ডোম ইনো বাংলাদেশের একটা পরিচিত আবাসন কোম্পানী।কিছু দৃষ্টিনন্দন প্রজেক্ট করলেও এদের প্রতারনার ফাঁদে পা দিয়ে নাকি অনেকেই সর্বশ্বান্ত হয়েছে।
কেউ কেউ পুরো টাকা দিয়ে ১৫/২০ বছরে ফ্লাট বুঝে পায়নি। যারা পেয়েছে তারা তাদের সাথে চুক্তিমত জিনিস পায়নি। ফ্লাট রেজিস্ট্রি করার সময়ে কয়েক লক্ষ টাকা চেক দিতে দেরি হয়েছে, টাকা সময়মত দেয়া হয় নি, এই কাজ ওই কাজ, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়া, সরকারি ফি সহ অনেক ধরনের ফাইন এড করে কয়েক লক্ষ টাকা অতিরিক্ত দিতে বাধ্য করত। কেউ কেউ অফিসে গিয়ে এর প্রতিবাদ করে শারিরিকভাবে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন বলেও শুনেছি। এসব পত্রিকায় আসেনি- আমার ভুক্তোভুগীদের মুখে শোনা কথা। অনেকদিন পরে এই অসভ্য ভদ্রলোক ধরা খাইলেন। কিছু হবে না হয়তো তবে- ইজ্জত তো খোয়াইলেন।
* একটা ছবি আমার তোলা বাকি সব অনলাইন থেকে নেয়া।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০০