somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রেম-যৌনতা ও ভালোবাসা

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পর্ব-২

আমাদের আজকের অতিথি সীতা, হেলেন অব ট্রয় এবং সাবিতা ভাবি, অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় যথারীতি যমরাজ আজও নিশ্চুপ এবং চুল টানাটানি রোধে চরমভাবে সক্রিয়।

সীতাঃ [/sb
]রামায়ণের অন্যতম চরিত্র, রামের স্ত্রী, রাবণের দ্বারা অপহৃত হওয়ার পর মিথ্যা কলঙ্কের দায় মাথায় নিয়ে বনবাসে যেতে হয়েছিল।

হেলেন অব ট্রয়ঃ
গ্রীক কবি হোমারের ইলিয়াডের কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র, ম্যালিনাসের স্ত্রী এবং যাকে ঘিরে সমগ্র কাহিনীর বিস্তৃতি।

সাবিতা ভাবিঃ

পর্ণো কমিকের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও আলোচিত চরিত্র, গুজরাটের একজন গৃহবধু, যিনি পারিবারিক জীবণে অসন্তুষ্ট ছিলেন, সেক্সুয়াল আর্জ মেটাতে বিভিন্ন কাম অভিসারে জড়িয়ে পড়তেন।

সীতাঃ (সাবিতা ভাবিকে লক্ষ্য করে) আপনি যে রোমাঞ্চকর কাম অভিযানে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন তা হতে কি পাচ্ছেন?
সাবিতাঃ টাকা, সুখ এবং যৌবনের গান।
সীতাঃ যৌবন কি শুধুমাত্র কামকলায় লিপ্ত হওয়ার জন্য?
সাবিতাঃ কেন নয়? আমি তো আপনার মত স্বামী, দেবর আর রাবন একসাথে পাইনি? আর লালন বলেছেন সময় গেলে সাধন হবে না...........
সীতাঃ আমার দেবর আমার ভাই, স্বামী স্বর্গসঙ্গী বলেই তার সাথে স্বর্গসুখে ভাসা, রাবণ দুঃশ্চরিত্র লম্পটমাত্র।
সাবিতাঃ যথেষ্ট সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও রাবণ আপনার সম্মানহানী করেনি, আর আপনিও কি মনের দিক থেকে কিছুটা টলেননি(!!), সন্দেহজনক বটে, নাকি ভিতরে আরও কিছু ছিল?
সীতাঃ অগ্নি পরীক্ষা দিয়েও, আবারও বলছি ব্যক্তিত্ব লাম্পট্যকে ধূলিস্যাৎ করার জন্য যথেষ্ট, সুবিধা আদায়ের ছলা-কলায় নিজেকে নিয়োজিত রাখলে শ্লীলতাহানী ও সম্মানহানী দুটোই ঘটতে পারে।
সাবিতাঃ মানুষমাত্রই ভিতরে পশুত্ব থাকবে, কাম পরিতৃপ্তির বাসনা থাকবে। বলশালী ও সুদর্শন পরুষের প্রতি মোহ থাকবে, স্বর্গসুখে ভাসার ইচ্ছা থাকবে।
সীতাঃ পশুরাও অনেকভালো নির্দিষ্ট ঋতুতে নির্বাচিত সঙ্গীর সাথেই কাম-কলায় লিপ্ত হয় ব্বংশবৃদ্ধির ধারাকে অক্ষুন্ন রাখতে।
হেলেন অব ট্রয়ঃ আমি ক্ষমা চাইছি বাধা দেওয়ার জন্য, মানুষের পরিবর্তিত মন ভালোলাগার এবং ভালোবাসারও পরিবর্তন আসতে পারে, নিত্য ব্যবহার্য জিনিসের মত, তাই যৌনসঙ্গীরও পরিবর্তন ঘটে থাকে, ঋতু ও রুচী পরিবর্তনের মত। কখনও বিত্ত, কখনও শক্তি আর কখনও শুধুমাত্র গুরুত্ব পাওয়া আবার কখনও মানসিক সামঞ্জস্যতার জন্য।
সীতাঃ চারিত্রিক ও ব্যক্তিত্ত্বের তারল্য সব অসম্ভবকে সম্ভব, সব অনৈতিককে নৈতিক এবং পরকীয়ার মত ব্যভিচার অবকাশকে বিশুদ্ধ প্রেমে রূপান্তরিত করতে পারে।
হেলেনঃ আপনি কি বুঝাচ্ছেন? আগামেননের মত বৃদ্ধ পশুর চেয়ে ট্রয়ের প্যারিস কি সঠিক নির্বাচন নয়? বিবর্তনের প্রাকৃতিক নির্বাচনকে কি আপনি অস্বীকার করবেন?
সীতাঃ আগামেনন, প্যারিস ও একিলিসের ঘরে জন্ম নেওয়া তোমার সন্তানদের মনস্ত্বাত্তিক বিকাশের যে বিশৃংখ্যলা তুমি তৈরী করেছো তা কিভাবে ব্যাখ্যা করবে? পৃথিবীতে তুমি কি শুধু নিজের জন্য এসেছো? তোমার কাম চিরতার্থের পর প্রশবিত সন্তান যদি বেচেঁই না থাকে তবে সারভাইভাল ফর দ্যা ফিটেস্ট আসবে কোথা থেকে? তুমি একা যে ট্রয় ধ্বংস করেছো তা তুমি একা কখনও তৈরী করতে পারবে কি?
হেলেনঃ এখানে আগামেননের ইগো, প্যারিসের লোলুপতাও সমান দোষে দোষী। আর পুরুষগুলোও একটু হাসিঁ একটু ইশারায়, দুনিয়াটাকে ধ্বংস করার মত বোকামী করতে পারে।
সীতাঃ রাবণের লোভ এবং স্বৈরাচারই এজন্য দায়ী, বিনা প্ররোচনায়, শুধুমাত্র নিজের মানসিক পরিতৃপ্তির জন্য রাবণ এসব করেছে, নিজের লংকাকেও ধ্বংস করেছে।
সাবিতাঃ আমার রাজ্যে ও সময়ে কোন ধ্বংস নেই, আছে শুধুই স্বর্গসুখ।
হেলেনঃ হাঃ হাঃ হাঃ।
সীতাঃ সাবিতা মোটা মাথা নিয়ে এসব বলতেই পার, মাথার মধ্যে সারাদিন কামকলা, অর্থ এবং প্রসাধনী সামগ্রী থাকলে, কিভাবে আর বুঝবে যে তোমাদের সন্তানরা কতটা মানসিক পীড়ায় আছে। ভালোবাসা নামক অনুভূতিটা কতটা নিষ্প্রাণ হয়ে যাচ্ছে, সমাজে প্রতিদিন কত শিশু তাদের মায়েদের প্রেমিকদের দ্বারা খুন হচ্ছে। কত সন্তান নেশার পথে পা বাড়াচ্ছে, কত হাজার লক্ষ, কোটি আত্মার মৃত্যু ঘটেছে। ধরো পৃথিবীর সর্বক্ষমতার অধিকারী যার হাতে আণবিক বোমা নিয়ন্ত্রণের অধিকার রয়েছে সে বিশ্বাসঘাতকতা, দুঃখ-কষ্ট এসব নিয়ে যদি আণবিক যুদ্ধ শুরু করে দেয়? ভাগ্যিস এখনও মানুষ কাম, ভোগ ও স্বার্থ ছাড়াও অন্যান্য চিন্তা করে। আর পুরো নারী জাতিই সাবিতা নয়।---

--------------ডিয়ারেস্ট অডিয়েন্স আমরা নিচ্ছি ছোট্ট একটা ব্রেক-------

ব্রেক এরপর স্টুডিওতে তাসলিমা নাছরিন স্বয়ং স্বইচ্ছায় যোগ দিয়েছেন।
সীতাঃ তাসলিমা তোমাকে সুস্বাগতম।
তাসলিমাঃ ধন্যবাদ আপনাকে, আপনাদের টক শোটি উপভোগ করতে করতে চলে এলাম।
সীতাঃ ভালো করেছো।
তাসলিমাঃ সীতাদি, আপনি যা বলেছেন, তার সাথে আমি একমত নই। নারী চিরকাল পরে পরে মার খাবে, নারীর নিজের শরীরের উপর নিজেরই অধিকার থাকবে না, বস্তার মত আলখাল্লা পড়ে, কড়া রোদে, গরমে ঘুরতে হবে, ঘর হতে বের হলেই সন্দেহ, অবিশ্বাসের তীর ছুটে আসবে, এসব সহ্য করলে নারীতো সেই গরু-ছাগলই হয়ে রইল। মানুষতো আর নয়।
সীতাঃ তোমার কথা হয়ত ঠিক।
তাসলিমাঃ আর এজন্যই বলছি নারী স্বাধীনতার কথা, সবচেয়ে বড় মূলমন্ত্র হচ্ছে নারীর ব্যক্তি, শারীরিক ও মানসিক স্বাধীনতা, নারী সময় পরিবর্তনে নিজের সঙ্গী পরিবর্তনের ক্ষমতা থাকতে হবে, চিরকাল এক তরকারী দিয়ে ভাত খাবে তাতো হয় না, নারীকেও পেতে হবে অর্থনিতিক মুক্তি যা তাকে সমাজে নিজের অবস্থান তৈরী করে দিবে।
সীতাঃ ব্যাখ্যা কর কিভাবে?
তাসলিমাঃ সহজ উপায় মনিবকে দাশে পরিণত কর। সন্তান জন্মদানের চাবিকাঠিতো আমাদের হাতেই সুতরাং মেইক দেম ফুল, ভালোবাসাকে বাজারে বিকিয়ে দাও, এই একটা কু-মন্ত্রণা নারীকে ধ্বংস করে চলেছে দিনের পর দিন, পরুষরা কি করে, হারেম বানায়, বেশ্যালয় বানায়, ইচ্ছামত ভোগ করে, নারীরাও আজ থেকে একাধিক সয্যা সঙ্গী রাখবে, একাধিক পুরুষকে তাদের দাশে পরিণত করবে। আর কখনওই খুঁজতে যাবে না স্বামীর পায়ের নিচের বেহেশত যা একটা জেন্ডারকে পুরোপুরি দাশে পরিণত করেছে। আর ভালোবাসা শরীরের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়,
-------শ্বাশ্বত ভালোবাসা হচ্ছে একজনের শরীরে ঢুকে আরেকজনকে সম্ভোগ----------

----------জাস্ট স্টপ ইট তাসলিমা একটা কন্ঠকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়, ক্যামেরাও মুভ করে সেই সাথে, দর্শক আমাদের মাঝে এসে উপস্থিত হয়েছেন বেগম রোকেয়া।----------

বেগম রোকেয়াঃ বক্তব্যে বাধাঁ দেওয়ায় দুঃখিত।

সবাইকে চেয়ার ছেড়ে উঠে সম্মান জানাতে দেখা যায়।
রোকেয়াঃ ভালোবাসা শরীরের বাইরের জিনিস নয়। আমার সৃষ্টি যেমন আমার সন্তান তেমনি আমার ভালোবাসার মানুষটার শারীরিক সুখটাও আমার, তেমনি আমার শারীরিক সুখটা তার, সঙ্গম মাত্রই ভালোবাসার পরের ব্যাপার তাহলে তো পশুর শরীরে ঢুকেও তুমি তোমার ভালোবাসাকে স্বরণ করতে পার। তাই নয় কি? অন্যায় অন্যায়ই, তাকে অন্যায় না বলে চেপে যাওয়াটাও অন্যায়, তাই বলে অন্যায়কে দমন করতে গিয়ে আরেকটা অন্যায় করার কোন মানে নেই। তাসলিমা তোমার "শোধ" এ তুমি যা বলতে চেয়েছো তা অবশ্যই অন্যায়, বর্তমানের জন্য হয়ত ঠিক আছে, একটা প্রতিশোধ নেওয়া হল, কিন্তু শিশুটি সমাজে একজন যারজ হিসেবে মনস্তাত্ত্বিক পীড়া নিয়ে বড় হবে অতঃপর......... তুমি জানো, সবাই জানে তার ভবিষ্যত কিছু প্রশ্ন করি উপস্থিত সবাইকে দর্শক আপনাকেও........

১. 'স্বাধীনতা' শব্দটির অর্থ কি?
২. সমাজে নারীর অবস্থান কি হওয়া উচিত?
৩. পরিবার প্রথা কি থাকা উচত না অনুচিত?
৪. সমাজের কোন রীতিগুলো প্রচলিত রাখা উচিত কোনগুলো নয়?
৫. সর্ব ধরনের মৌলবাদ দমনের উপায় কি?
৬. ধর্ম কি একান্তই অবাঞ্চনীয়?
৭. শিক্ষার স্বরূপ কি?
৮. সার্টিফিকেটটাই কি বড় না জ্ঞান অর্জন?
৯. নারী মুক্তির উদ্দেশ্য কি? প্রসাধনীর উৎসব ও ব্যবিচার অবকাশ?
১০. পুরুষ শাষিত সমাজের বিকল্প কি নারী শাষিত সমাজ, না গণতন্ত্রই সঠিক নির্বাচন?
১১. এখনও কি আসন্ন শিশুটির লিঙ্গ নিয়ে আপনি চিন্তিত?
১২. দুজন ব্যক্তির পারস্পরিক পছন্দে বিবাহ, ঠগদের ঠেকাতে রেজিষ্ট্রি, সেখানে দেনমোহরও কি এক ধরণের বাণিজ্য নয়? নারী কি ভোগ্য পণ্য?
১৩. নরবলীর পর, পশুবলী, আপনাদের ইশ্বর কি এখনও তুষ্ট নন, তার কি আরও রক্ত চাই? তাকে আর দোষ দিয়ে লাভ কি দুই বিধবা এক মোল্লা এবং এক বুড়ো ভামেরাতো শত শত নরবলীতেও তুষ্ট নন। তারপরও ইশ্বরের আর কত রক্ত চাই?
১৪. মঞ্চায়িত টক-শো নাটকগুলো আর কতদিন চলবে?
১৫. আপনাদের কি শিক্ষার হার দরকার, না সু ও স্বশিক্ষিত মানুষ দরকার?
১৬. কোন সভ্য সামাজে কি ব্রোথেল থাকতে পারে?
১৭. কাম পরিতৃপ্তিতা, ভোগ, ক্ষমতাদখল এসবই কি জীবণের একমাত্র উদ্দেশ্য?
১৮. চারিত্রিক তারল্য কি কোন অগ্রগতিশীল সমাজের প্রতিচ্ছবি হতে পারে?
১৯. এতবড় সামরিক শক্তি পোষা কি হাভাতের হাতি রোগ নয়? যেখানে পার্শ্ববর্তি দুটো দেশই ক্ষমতায় কয়েকগুন এগিয়ে তারপরও বন্ধুভাবাপন্ন।
২০. অস্ত্র দিয়ে কি জঙ্গীবাদ ঠেকানো সম্ভব?

বেগম রোকেয়াকে কাঁদতে দেখা যায়................। এজন্যই কি এতো কিছু, হ্যাঁ খোদা আমায় ক্ষমা করো, জানতাম না নারী শিক্ষা যে শিক্ষিত বেশ্যা তৈরী করবে, নারী শিক্ষা যে নারী লম্পট তৈরী করবে আমি জানতাম না, আমি চাইনি এ সমাজ যেখানে পরকীয়া প্রেমে মত্ত হয়ে মা(!!!) খুন করে সন্তানকে, আমি চাইনি এই সমাজ যেখানে এই ইয়াবা জেনারেশন তৈরী হয়, আমি চাইনা সেই শিক্ষা যা মানুষকে অন্ধ করেও খাশি বানায়। আমি চাইনি এই বাংলা যা আজ রাজ-শাষিত বেশ্যাপল্লী, সাউথ এশিয়ার লাস ভেগাস, যেখানে পুরুষমাত্রই লম্পট আর নারী মাত্রই বেশ্যা সেখানে আমি ও আমাদের দেহবশেষ যেন না থাকে, আমাদের প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ যেন পুড়িয়ে ফেলা হয়, যেখানে নেতা মানেই ধর্ষক ও জোচ্চর, যেখানে চাকুরী মানেই গোলামী ও তৈলমর্দন, ব্যবসা মানেই কালোবাজারী ও লোক ঠকানো, যেখানে সরকারী মানেই লুটপাট, যেখানে বিনোদন মানেই সেক্স সেখানে আমাদের কোন ছবি থাকতে পারে না, আমাদের নাম যেন কেউ উচ্চারণ না করে।

সাবিতা, হেলেন অব ট্রয় একসাথে চিৎকার করে উঠে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াৎ পাগল হয়ে গেছেন, সেই সাথে সীতাও তাদেরকে পাগলা গারদে পাঠাও, সাইক্রিয়াটিস্ট দেখাও, বন্ধ করে দাও অন্ধকূপে যেন কোন চিড় গলেও বেরিয়ে আসতে না পারে তাদের ভালোবাসা, জনতা, জ্ঞান ও নির্যাতিত মানুষের প্রতি, ন্যায়-নীতি ও সভ্যতা অগ্রগতির প্রতি, স্বার্থহীন সমাজের চিন্তাও ভবিষ্যতে যেন কেউ না করে।

--------------সম্প্রচারে বিঘ্ন ঘটায় আমরা দুঃখিত----------------

কয়েকডজন আগ্নেয়াস্ত্র একসাথে গর্জে উঠে সব সুনসান, চোখে কালো কাপড় বেধে বেগম রোকেয়া ও সীতাকে টেনে হিচঁড়ে নিয়ে চলে এক ডজন কালো কাপড় পড়া সুদর্শন ও অস্ত্র(!!!)ধারী তরুন-তরুনী। একটি এ্যাম্বুলেন্স আসে ও চলে যায়...................

--------------সম্প্রচার ১০ মিনিট বিরতির পর আবার শুরু হয়----------------

স্টুডিওতে তৃতীয় মাত্রার পর্ণোগ্রাফী চলতে থাকে, একজন সাবিতা ও এজন হেলেন সেই সাথে কয়েক ডজন কালো পোষাকধারী সুদর্শন ও সুদর্শনা, বিবস্ত্র পাশবিকতায় মত্ত, উপর থেকে বইতে থাকে শ্যাম্পেনের ফোয়ারা, ছড়িয়ে দেওয়া হয় প্যাথেড্রিল, কোকেন, হেরোইন, গাঁজা, ইয়াবা। ফেনসিডিলের ঝর্ণধারা চালু হয়। মেঝেতে কয়েক ডজন অস্ত্র, উজি, এ.কে-৪৭, চাপা পড়ে যায়। রেভেন ব্র্যান্ডের সানগ্লাসগুলো হেরোইনাবৃত। একসময় ফিচকি দিয়ে বেরুতে থাকে পশুচারকৃত নগ্নদেহ হতে শোঁধা গন্ধের, লবনাক্ত স্বর্গসুধা একসাথে সমগ্র জনতা চাঁটতে থাকে, কল্পনায় ও বাস্তবে কারণ তারা পূর্বেই খাশিকৃত, বর্তমানেও খাশি এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
----------তাসলিমা নাসরিনকে অনেক খুঁজেও পাওয়া গেল না--------------




সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৪৮
৭টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজত্ব আল্লাহ দিলে রাষ্ট্রে দ্বীন কায়েম আমাদেরকে করতে হবে কেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:০৬



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তির কোরাস দল

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৫



ঘুমিয়ে যেও না !
দরজা বন্ধ করো না -
বিশ্বাস রাখো বিপ্লবীরা ফিরে আসবেই
বন্যা ঝড় তুফান , বজ্র কণ্ঠে কোরাস করে
একদিন তারা ঠিক ফিরবে তোমার শহরে।
-
হয়তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাইডেন ইহুদী চক্তান্ত থেকে বের হয়েছে, মনে হয়!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮



নেতানিয়াহু ও তার ওয়ার-ক্যাবিনেট বাইডেনকে ইরান আক্রমণের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো; বাইডেন সেই চক্রান্ত থেকে বের হয়েছে; ইহুদীরা ষড়যন্ত্রকারী, কিন্তু আমেরিকানরা বুদ্ধিমান। নেতানিয়াহু রাফাতে বোমা ফেলাতে, আজকে সকাল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজ ২৫শে বৈশাখ। ১৬৩তম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আমার গাওয়া কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত শেয়ার করলাম। খুব সাধারণ মানের গায়কী

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫

আপনারা জানেন, আমি কোনো প্রফেশনাল সিঙ্গার না, গলাও ভালো না, কিন্তু গান আমি খুব ভালোবাসি। গান বা সুরই পৃথিবীতে একমাত্র হিরন্ময় প্রেম। এই সুরের মধ্যে ডুবতে ডুবতে একসময় নিজেই সুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্ব কবি

লিখেছেন সাইদুর রহমান, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৭

বৈশাখেরি পঁচিশ তারিখ
কবি তোমার জনম
দিন,
বহু বছর পার হয়েছে
আজও হৃদে, হও নি
লীন।

কবিতা আর গল্প ছড়া
পড়ি সবাই, জুড়ায়
প্রাণ,
খ্যাতি পেলে বিশ্ব জুড়ে
পেলে নভেল, পেলে
মান।

সবার ঘরেই গীতাঞ্জলী
পড়ে সবাই তৃপ্তি
পাই,
আজকে তুমি নেই জগতে
তোমার লেখায় খুঁজি
তাই।

যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×