বাঘিনী’র কাছ থেকে তার মায়ের নির্বাসনের গল্প পর্দায় বলেছেন পরিচালক চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়। বাঘিনী একটা গোলগাল সাদা বেড়াল। তার ‘মা’ এক বিতর্কিত লেখিকা। সে জন্যই দেশ থেকে তাঁকে এক প্রকার তাড়িয়েই দেয় সমাজ। সেই ছবি এ বার অস্কারের দরবারে জায়গা করে নিতে চলেছে। ‘বেস্ট ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ ফিল্ম ক্যাটাগরি’র নমিনেশনে পাঠানো হয়েছে এই ছবি। পরিচালক হিসাবে প্রথম ছবিতেই আন্তর্জাতিক আঙিনার এই সাফল্যে স্বভাবতই খুশি তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘বাংলা ছবি এমন প্রচার তো পায় না। আর ভাল ছবি তৈরির ক্ষেত্রে বাজেটও একটা বড় সমস্যা।’’
পরিচালনার পাশাপাশি ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন চূর্ণী। এই ছবির জন্য ইতিমধ্যেই দু’টি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ফিল্ম ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া যে সিলেকশন কমিটি তৈরি করেছে তাদের কাছে একেবারে শেষ মুহূর্তে নিজের ছবিটি পাঠিয়েছে টিম ‘নির্বাসিত’।
বাংলাদেশি লেখক তসলিমা নাসরিন এবং তার পোষা বিড়াল মিনুর গল্প থেকে অনুপ্রাণিত টালিগঞ্জেরে সিনেমা 'নির্বাসিত'।
এ বিষয়ে ভারতীয় দৈনিক টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তসলিমা বলেন, “সিনেমাটিতে অনেক কল্পকাহিনি আছে। কেন আমাকে আমার মাতৃভূমি ছাড়তে হয়েছে, কিংবা মৌলবাদীরা কেন আমার নির্বাসন চেয়েছে- এগুলো সিনেমাটিতে উঠে আসেনি।”
কিন্তু এরপরও ‘নির্বাসিত’কে একটি সাহসী সিনেমা হিসেবে উল্লেখ করেছেন তসলিমা। কারণ অন্য পরিচালকরা তাকে নিয়ে কোনো সিনেমা তৈরির সাহস দেখাতে পারেননি। তাকে নিয়ে সিনেমা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হলেও বারবার পিছিয়ে গেছেন নির্মাতারা।
তথ্যসূত্র- বিডিনিউজ ও ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৬