জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার ‘পূজারিণী ’ কবিতায় লিখেছেন,
“নারী নাহি হতে চায় শুধু একা কারো,
এরা দেবী, এরা লোভী, যত পূজা পায় এরা চায় তত আরো!
ইহাদের অতিলোভী মন
একজনে তৃপ্ত নয়, এক পেয়ে সুখী নয়,
যাচে বহু জন। ...
যে পূজা পূজিনি আমি স্রষ্টা ভগবানে,
যারে দিনু সেই পূজা সে-ই আজি প্রতারণা হানে।”
আবার তিনিই তার ‘নারী’ কবিতায় লিখেছেন,
“সাম্যের গান গাই-
আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই!
বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
বিশ্বে যা-কিছু এল পাপ-তাপ বেদনা অশ্রুবারি,
অর্ধেক তার আনিয়াছে নর, অর্ধেক তার নারী।”
আরো লিখছেন,
“তাজমহলের পাথর দেখেছ, দেখিয়াছে যত ফল,
অন্তরে তার মোমতাজ নারী, বাহিরেতে শা-জাহান।
জ্ঞানের লক্ষ্মী, গানের লক্ষ্মী, শস্য লক্ষ্মী নারী,
সুষমা-লক্ষ্মী নারীই ফিরিছে রূপে রূপে সঞ্চারি’।”
‘আমাদের নারী’ কবিতায় লিখছেন
“রাজ্যশাসনে রিজিয়ার নাম ইতিহাসে অক্ষয়,
শৌর্যে সাহসে চাঁদ সূলতানা বিশ্বের বিস্ময় ।
জেবুন্নেসার তুলনা কোথায় জ্ঞানের তপস্যায় ।।
বারো বছরের বালিকা লায়লা ওহাবীর দলপতি
মোদের সকিনা জাহানারা যেন ধৈর্য মূর্তিমতী,
সে গৌরবের গোর হয়ে গেছে আঁধারের বোরকায় ।।
আঁধার হেরেমে বন্দিনী হলো সহসা আলোর মেয়ে,
সেই দিন হতে ইসলাম গেল গ্লানির কালিতে ছেয়ে,
লক্ষ খালিদা আসিবে, যদি এ নারীরা মুক্তি পায় ।।”
লোক কবি বলছেন,
“মাইয়া হইলো প্রেমের ভান্ড মাইয়া হইলো মা,
মাইয়া নাহিলে ভবে আমরা আসতাম না,
সৃষ্টি করতে দুই লাগে নারী এবং নর গো”
পৃথিবীতে বিভিন্ন রুপে, বিভিন্ন কাজে নারীর অবস্থান বিভিন্ন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৫