অনেক খারাপের ভিতর এও ভাল যে, প্রশাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের মাঝে গাজী তারিক সালমানের ঘটনার জের ধরে অনেক আইন-কানুন শিখছি আমরা সাধারণেরা। প্রশাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের বন্ধুরা তাদের স্বপক্ষের আইন, ইথিক্স অনেককিছুই জানাচ্ছেন আমাদের। এখনও মার্জিত জ্ঞানের যুদ্ধের মাঝেই আছে ব্যাপারটা। কিন্তু আমি জানি, স্থায়ী মানসিক বিরোধ জন্ম নিলো এই দুই ক্যাডারের মধ্যে। জজ ভায়েরা এতদিন নিভৃতে থাকতেন, তাদের নিয়ে সমালোচনা করা যাইতো না। কিন্তু শিষ্টাচার ছাড়িয়ে সালমানকে আপ্যায়নের পরপরই জজ আলী হোসেন এর বাসা ভাড়া নিয়ে উল্টাপাল্টামি আর লঞ্চ ভাড়া নিয়ে সালতামামির যে কিচ্ছা আমরা জানতে পারছি, দূর পাল্লার বাস ভাড়ার অন্যায় সুযোগ গ্রহণ-- সব বেরিয়ে আসছে। সেইসাথে কপাল পুড়তেছে অন্যান্য জজ সাহেবদেরও। বিভিন্ন বাস সার্ভিসের দায়িত্বশীলরা টিভিতে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন কোন্ কোন্ জজ ফ্রি প্যাকেজ এর আওতায় আছেন!! জজ বন্ধুরাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন, প্রশাসন বন্ধুদের কত্তভাবে আইনের শিক্ষা দেয়া যায়, প্রশাসকরা কত্তদূর সীমা ছাড়িয়েছেন। বিভিন্ন আইনবিদরা বাণী দিচ্ছেন। ইউটিউবে চলমান লিঙ্ক আর গুগলে বিভিন্ন লেখার লিঙ্ক এখন সবার হাতে হাতে। এখন সমস্যা হলো, জজ সাহেবরা কত্তজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনবেন; যেখানে নিজেরাই থোড়াই কেয়ার করেছেন নিজেদের স্বচ্ছতা আর সুমহান ভাবমুর্তি! ফাঁকা বুলি দিয়ে কি আদর্শ কপচানো যায়! আইনের শাশ্বত থিম হচ্ছে, আইনের কাছে আসতে গেলে তোমাকে পরিষ্কার হাতে আসতে হবে। কবি'র কথায় যেন, বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা, আজ জেগেছে সেই জনতা। কথায় বলে, বাপের উপরেও বাপ থাকে। কেঁচো খুড়তে যে সাপ বেরুতে শুরু করলো, জানি না এর শেষ কোথায় গিয়ে ঠেকবে! এই বিষয়টার সাথে জড়িয়ে গেছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছবি প্রসঙ্গ, একটা বারের আইনজীবী সম্প্রদায়ের প্রশাসন এর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একচেটিয়া ওকালতনামা দাখিলের উল্লাস এবং পরবর্তীতে ঐ আইনজীবীর কপালে রাষ্ট্রপ্রধানের তিরস্কার; কোমলমতি শিশুর আকাঁ ছবি প্রসঙ্গে সবিশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই বিষয়ে কথা পর্যন্ত বলতে হলো। সমস্যা আসেই সমাধানের লক্ষ্যে। তাই এই ইমেজ সংকটেরও সমাধান হবে শিগগিরই-- এই আশা করছি। ভুল থেকেই বড় শিক্ষাটা নিতে হয় আমাদের।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫১