'কবিতা লেখার নিয়ম কানুন ও বিষয় জ্ঞান"
পর্ব-১
প্রবন্ধ সম্পাদনায়- মোঃ সানোয়ার হোসেন।
"কবিতা ! সে যেন প্রেয়সীর ঝুমকো লতা বা স্বরস কোন কাহিনী গাঁথা। অথবা মনের আবেগে ফুটে ওঠা শব্দ মালা দিয়ে তাল, লয়, ছন্দ নিয়ে ঝংকার তোলা।আবার কোথাও বেদনার সুরে ছন্দ কাটা।" আমি নিজে এভাবেই কবিতার সংজ্ঞা দিলাম। এরিস্টটল কবিতা সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন, " কবিতা হলো ছন্দময় কতগুলো শব্দ নিয়ে অলংকার সমৃদ্ধ।" কবিতা প্রকার, ধরণ ও রীতির দিক দিয়ে ভীন্ন ভীন্ন রকমের। কবিতা লেখারও নিয়ম আলাদা আলাদা। আবার দেশ কাল পাত্র হিসেবেও কবিতার ধরণ ভীন্ন রকমের হয়ে থাকে। প্রথমত কবিতাগুলোকে সময়ের ব্যাবধানে ভাগ করলে এমন দাঁড়ায়-
১) আদীযুগের কবিতা।
২) মধ্যযুগের গীতি কবিতা। ও
৩)আধুনিক ও উত্তরাধুনিক কবিতা।
আদী যুগের কবিতার ভাষা ছিলো অত্যন্ত দূঢ়হ এক ভাষা। সংস্কৃত বা তৎসম ভাষায় শ্লোক আকারে লেখা হতো। আর মধ্যযুগের গীতি কবিতায় কিছুটা পরিবর্তন দেখা গেলো ১২৫০খ্রি. এসে। এখানে ব্রজবুলি ভাষা, সংস্কৃত মিশ্রন ও মাগধী ভাষায় সহজ সরল করে প্রেমের গুনকির্তন করা হলো কবিতার মধ্য দিয়ে। শুরু হলো নতুন ধারা বাংলা গীতি কবিতার। কবি বড়ু চন্ডিদাস, শ্রী চৈতন্যদেব, বুদ্ধদেব গুহ আরো অনেকে কৃষ্ণ কির্তন ও বৈষ্ণব পদাবলী রচনার মধ্য দিয়ে কবিতার বা কাব্যের এক নতুন সূচনা করেন।
""বিঃদ্রঃ লেখাটা সম্পূর্ন আমার নিজের ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে লেখা মাত্র। তথ্যের ভুল ত্রুটি হলে শুধরে দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি। তবে হ্যা! টাইপিং মিস্টেকের কারণে বানানের ভুল হতেই পারে। ""
________________________________________(চলবে)