somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খোলা কলামঃ বাংলাদেশ পুলিশ কেমন হওয়া উচিৎ!

২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মোঃ সানোয়ার হোসেন।

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভয়াবহ রকমের শঙ্কটের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। বিগত সরকার গুলোর আমলের চেয়ে বর্তমান সরকারের আমলে প্রশাসন যে পরিমাণ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তা আর কখনো হয়নি। বিচার বিভাগও খানিকটা প্রশ্নবিদ্ধ বটে। আরো আছে ১৫৪টা সংসদীয় আসন বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার মত ঘটনা। যেটা কিনা কোন রাষ্ট্রে এটাই প্রথম। আছে রজনৈতিক কাঁদা ছোড়াছুড়ি। সরকার দলীয় মন্ত্রী এমপি সহ প্রায় সবাই বিরোধী জোটের দিকে আক্রমনাত্বক বক্তব্য ছুড়ে দিচ্ছে, পক্ষান্তরে বিরোধী জোট নিজেদের অস্তিত্ব সঙ্কটে দিন অতিবাহীত করছে দিনের পর দিন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনের জন্য আন্দোলনে যেন বিরোধী জোট হাপিয়ে উঠেছে। অপর দিকে সরকার একগুঁয়েমিপনা ধরেই সামনের দিকে এগি যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ক্রমেই বাড়ছে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাহীনতা। প্রশাসন হয়ে পড়ছে নিয়ন্ত্রনহীন। ভিন্নমতের রাজনৈতিক কর্মি হলেই ধরাও পাকড়াও চলছে নিয়ম না মেনেই। গ্রেপ্তারে দেখানো হচ্ছে ৫৪ ধারার অজুহাত। বেড়েছে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন গুলোর অবাধে দোউরাত্ব। লাগাম ছাড়া যেন তারা, খোদ সরকারেরই অনেক মন্ত্রী ছাত্র সংগঠন গুলোর বিরুদ্ধে তুলছে অভিযোগ। এই যখন অবস্থা তখন দেশের সার্বিক উন্নয়ন কি করে সামনের দিকে এগুবে সেটা নিয়ে বিশ্লেষকদের মনে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। একটা সত্য ঘটনা বলি, কিছুদিন আগে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম আমার দাদীর দাফনের কাজে। এক পরিচিত ছোট ভাইয়ের সাথে কথা হলো। সে এসএসসি পাশ করে গতবার পলিটেকনিকে ভর্তি হয়েছে সবে মাত্র। বয়স পনেরো কি ষোল হবে। গ্রামের দরিদ্র পরিবারে জন্ম হওয়ায় ঠিকমত পড়ার খরচ পায়না। তাই সামান্য বিলাশিতাও তাদের মানায় না। বয়সন্ধিকাল হওয়াতে মুখে সামান্য গোঁফ দাড়ি গজিয়েছে তার। যেখানে খাতা কেনার পয়সা হয় না সেখানে দাড়ি গোঁফ কামানোর জন্য রেজার কেনা বা সেলুনে গিয়ে সেভ করারর কথা ওরা চিন্তাও করতে পারে না। একদিন সিন্ধ্যায় বাজারে খাতা কেনার জন্য ওরা কয়েকজন মিলে দোকানে যায়। মাঝপথে বিজিবি টহলরত অবস্থায় ওদের সন্দেহমূলকভাবে গ্রেপ্তার করে থানা হাজতে নিয়ে যায়। সারা রাত নাখাইয়েই থানা হাজতে রাখে ওদের। পরের দিন সকালে ওদের সামনেই দুইজন পুলিশের কর্মকর্তা আলাপচারিতা করতে থাকে। একজন বলল, “স্যার ওদের কাছে তো কিছুই নেই, এক কাজ করেন ওদের ব্যাগে প্রেট্রল বোমা রেখে কোর্টে চালান করে দেই।” অন্য পুলিশ কর্মকর্তা বলল, “ না আগেই না, দেখি ওদের কেউ আসে কিনা? আগে ওদের সাথে কথা বলে নেই। তার পর দেখাযাবে কি করা যায়।” আমার সেই পরিচিত ছোট ভাইটির ওদের কথা শুনে হঠাৎ করে মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেলো। সে ঐ পুলিশ কর্মকর্তাকে বলল যে “আমার চৌদ্দগুষ্টি আওয়ামীলীগ এর রাজনীতি করে, আর আমাকে ধরেছেন জামাত শিবির সন্দেহে? আমাকে একটা ফোন দেন আমি বাসায় ফোন দেই।” কথাটা বোধহয় ঐ পুলিশ কর্মকর্তার বিশ্বাস হয়েছিলো। তাই তিনি অনেকক্ষণ চিন্তা করে কোর্টে চালান করার আগেই ওর পরিবারের লোকজনকে ডেকে আনে। কিছুটাকার বিনিময়ে তৎক্ষণাৎ ছেড়ে দেয় ওকে। অর্থাৎ ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতি করলে সাত খুন মাফ! এটাই যেন প্রশাসন এখন প্রমাণ করে চলেছে দেশের সর্বত্র। এটাকি প্রশাসনের পক্ষপাতিত্তমূলক আচারণ নয়? সাধারণ জনগণ তাহলে পুলিশকে বন্ধু ভাববে কি করে?
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৪৫
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×