somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গৃহত্যাগী জোৎস্না

২৯ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সময়ঃ খৃীষ্টপূর্ব ০০০০ সাল

সে অনেক অনেক দিন আগের কথা। তখন তো আর এত শহর ছিলো না কিংবা থাকলেও এত আলো ছিলো না অথবা আলো থাকলেও তা বর্তমানের মতো প্রখর ছিলো না যা কিনা সব কিছুকে ধাধিঁয়ে দিতে সক্ষম।:-*

তো এমনই এক দিনে চাঁদ উঠেছিল। জোৎস্নার চাঁদ। উঠতেই সারা আকাশ ভরে গেল আলোতে। একবারে সব কিছুই স্পষ্ট। দূরের কাছের সব কিছুই দেখা যায়। সবাই দেখতে পেল অসাধারন এই দৃশ্য এবং চাঁদের আলো। কিন্তু তখন কেউ বুঝতে পারলনা চাঁদের এই অসাধারণত্বকে, ঠিক যেমন দাঁত থাকতে কেউ দাঁতের মর্যাদা দেয় না ঠিক সে রকম।

চাঁদ তো আর তা বোঝেনা যে কে কখন তাকে মর্যাদা দিচ্ছে আর সেটা করেও সে থোড়াই কেয়ার। সে তার মতোই আলো দিয়ে যেতে থাকল যুগ যুগ ধরে। সাথে সাথে আকাশের তারাগুলোও তাকে সাপোর্ট করতে থাকল বেশ ভালো ভাবেই।

তবে কেউ কেউ চাঁদের গুরুত্ব ঠিকই দিতে লাগল।
"আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা
চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা!"

কবিরা !B-)! এই ধরনের আরও কবিতা তারা চাঁদকে নিয়ে লক্ষ লক্ষ লেখে, আবৃত্তি করে মোটামুটি চাঁদকে অস্থির করে তুলল। বাচ্চা থেকে শুরু করে বুড়োরা পর্যন্ত শুরু করল চাঁদের প্রশস্তি গাওয়া। আর রোমান্টিক জুটির কথা তো আছেই। ;)

সময়ঃ বর্তমান

কিন্তু তারপরও এতকিছুর পরও কিছুদিন পর চাঁদ কেন যেন হঠাৎই সব কিছু থেকে মন উঠে গেল:((। এর কারন বোধকরি বর্তমান যুগের হতাশাই দায়ি। বর্তমান যুগের সকলের মতো চাঁদও কেন যেন হতাশা বোধ করতে লাগল। এর কারণও অবশ্য আছে। এখন যে লাল নীল ইলেকট্রনিক বাতি জ্বলে, যা কিনা চাঁদের আলো থেকেও অনেক বেশী প্রখর যা চাঁদের আলোকে করে দেয় মলিন। এই সকল ব্যপার গুলো তো আর চাঁদের চোখ এড়ায় না। এই সকল কারন তো আছেই আর সেই সাথে চাঁদের ও তো কিছু পার্সোনাল ব্যপার আছে ;) তা না হয় নাই বললাম, সব কিছু মিলিয়ে চাঁদ মামা হতাশা গ্রস্থ হয়ে পুরোপুরি তার আলো বোধ করি কমাতে লাগল অথবা বোধকরি আমাদের ইলেকট্রনিক বাতি গুলোর পা্ওয়ার আস্তে আস্তে বাড়তে লাগল। যার কারনে আমরা আমাদের চর্মচক্ষু দিয়ে চাঁদকে এখন ভালো ভাবে দর্শন করতে পারছিনা। আর কখন যে চাঁদ উঠে ডুবে যায় পশ্চিমাকাশে তা তো কেউ মনে হয় বুঝতেও পারি না।

সময়ঃ অনেক অনেক দিন পর

এইভাবেই চাঁদ মামার আলো একসময় আমাদের চোখের আড়ালে চলে গেল। আর চোখের আড়াল মানে তো মনের আড়াল। মনের আড়াল মানে পুরোপুরি ভুলে যাওয়া। বেশীর ভাগ মানুষই এক সময় ভুলে যেতে লাগল জোৎস্নার সৌন্দর্য।:(( একসময় পুরোপুরিই ভুলে গেল জোৎস্নার সৌন্দর্য। তখন জোৎস্নাকে গৃহত্যাগী কোন সৌন্দর্যই বলা হত। কারন মানুষ তখন চাঁদকে দেখতে পেত গৃহত্যাগী কোন মানুষের মতো করেই। একজন গৃহত্যাগী মানুষ যেমন অনেক দিন পর বাসায় আসে এবং সবার কাছে বিশাল খবর হয়ে চাঁদও এই রকমই অনেক দিন পর পর আসতে লাগল সবার কাছে অনেক খুশীর খবর নিয়ে। আর এই খুশীর দিন গুলো তো জানাই।
দুই ঈদের দিন।:) অনেক অনেক দিন পরও মানুষ চাঁদকে মনে রাখতে পারল, তার গৃহত্যাগী কড়া জোৎস্নার অসাধারন সৌন্দর্য মনে রাখতে পারল একমাত্র এই দুই খুশীর দিনের জন্যই।

সবাইকে অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা আর লেখাটা কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
পুনশ্চঃ লেখাটি কোন প্ল্যান করে তৈরী করা হয় নি। তাই লেখাটি অগোছালো মনে হতে পারে। অনেক দিন ব্লগে কোন পোষ্ট দেই না। আজ আমার এক সহ ব্লগার বলল পোষ্ট দেয়ার জন্য আর কেন যানি কথাও দিয়ে ফেললাম, সেই কথা রাখতেই তাই এই পোষ্ট। ধন্যবাদ তাকে আমাকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য।B-)
পুনশ্চঃ এই লেখাটি অমাবস্যার রাতকে উৎসর্গীকৃত।

সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৩৫
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×