somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আসুন আমরা ডাউনলোড করি ইচ্ছামত

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে কোনো না কোনো সময় ফাইল ডাউনলোড করতে হয়৷ ফাইল ডাউনলোডের জন্য ইন্টারনেটে পাওয়া যায় অসংখ্য ডাউনলোড ম্যানেজার বা ডাউনলোডার৷ এ ডাউনলোড ম্যানেজারগুলো সবই যে একই রকম দক্ষ ও কার্যকর তা নয়৷ এদের কার্যকর ক্ষমতা ও বৈশিষ্ট্যে যথেষ্ট পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়৷ নিচে কয়েকটি ডাউনলোড ম্যানেজারের উল্লেখ্যযোগ্য ও কার্যকর বৈশিষ্ট্য ধরা হয়েছে৷ লক্ষণীয় ব্যাপার হলো এসব ডাউনলোড ম্যানেজার ইন্টারনেটে ফ্রি পাওয়া যায়৷

মাস ডাউনলোডার ৩.৪.৭

মাস ডাউনলোডারে রয়েছে আকর্ষণীয় কিছু ফিচার সম্পৃক্ত করা হয়েছে, যা ডাউনলোড করার আগে জিপ ফাইল ব্রাউজ করতে পারে৷ যারা জিপ ফাইল ডাউনলোড করেন, তাদের জন্য এই ফিচারটি বিশেষ সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে৷ এক্ষেত্রে জিপ ফাইলের কনটেন্ট নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় না৷ এর ইউজার ইন্টারফেসকে আপনি নিজের মতো করে কাস্টোমাইজ করে শুধু পছন্দের বা প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো ডিসপ্লে করাতে পারবেন৷

এটি ব্যান্ডউইডথের ব্যবহারকে সর্বোচ্চ মাত্রায় কাজে লাগাতে পারে৷ মাস ডাউনলোডার ব্যবহার করে এফটিপি ও এইচটিটিপি সাইটের চমত্কার ট্রান্সফার রেট পাওয়া যায়৷ এটি SOCKS ও RTSP প্রক্সি সাপোর্ট করে৷ মাস ডাউনলোডারের নতুন ভার্সনে এক নতুন ফিচার যুক্ত করা হয়েছে যা স্ট্রিমিং ভিডিও ডাউনলোড করতে পারে৷ ইচ্ছে করলে ডাউনলোডের কার্যক্রম শুরু করার জন্য একটি বিশেষ সময় নির্ধারণ করে দিতে পারেন৷ শুধু তাই নয়, ডাউনলোড শেষে পরবর্তী ডাউনলোড কার্যক্রম কখন শুরু হবে তার সময়ও নির্ধারণ করে দিতে পারেন৷ তাছাড়া আপনি কতগুলো ডাউনলোড সক্রিয় রাখতে চান তাও নির্ধারণ করতে পারেন৷ একটি নির্দিষ্ট সময়ে সর্বোচ্চ ১০০টি ডাউনলোড কার্যক্রম রানিং থাকতে পারে৷
ওয়েবসাইট : http://www.warezreleases.com /Mass-Downloader-3.4.7-full-version-download-cracked.html

ফ্রি ডাউনলোড ম্যানেজার
ফ্রি ডাউনলোড ম্যানেজারে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফিচার, যা ডাউনলোডিংয়ে সহযোগিতা প্রদান করার সঙ্গে সঙ্গে চমত্কার স্টাইলও প্রদান করে৷ ব্যান্ডউইডথের ব্যবহার যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেই জন্য ডাউনলোডকে সারিবদ্ধভাবে অর্গানাইজ করা যায়৷ ডাউনলোড স্পিড বাড়ানোর জন্য সেকশন যুক্ত করতে পারবেন৷ ফ্রি ডাউনলোড ম্যানেজারের স্পিড সর্বোচ্চ ৬০০ ভাগ পর্যন্ত বাড়ানো যায়৷ এর সর্বশেষ ভার্সনে যুক্ত করা হয়েছে এক নতুন ফিচার যা ফ্ল্যাশ ভিডিও সাপোর্টের সক্ষমতা প্রদান করে৷ ভিডিওকে ইউটিউব, গুগল প্রভৃতি সাইট থেকে সংগ্রহ করা যায়৷

সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট ও প্রচুর ফাইল যাতে ডাউনলোড করা যায় তার জন্য এটি সাপোর্ট করে এফটিপি ও এইচটিপি৷ ফ্রি ডাউনলোড ম্যানেজার ব্যবহার করে বিটটরেন্ট ফাইলকে ডাউনলোড করা যায়৷ অ্যাকসেলারেটেড ডাউনলোড স্পিডটরেন্টকে দ্রুততার সঙ্গে ডাউনলোড করার সুযোগ দেয় যা ফ্রি ডাউনলোড ম্যানেজারকে এক চমত্কার ডাউনলোডারে পরিণত করেছে ৷
ফ্রি ডাউনলোড ম্যানেজার এখন এক ওপেন সোর্স সফটওয়্যার, যার অর্থ হলো এর উন্নয়নের জন্য সোর্স কোড ব্যবহারকারীদের কাছে উন্মুক্ত৷ এর সিকিউরিটির ব্যবস্থাটিও চমত্কার৷
ওয়েবসাইট : Click This Link

ডাউনলোড এক্সেলারেটর প্লাস ৮.৬ এক্স
ডাউনলোড এক্সেলারেটর প্লাস একটি ফ্রি ডাউনলোড ম্যানেজার৷ এর প্রিমিয়াম ভার্সনটি অধিকতর ফিচারসমৃদ্ধ যা কিনতে হয়৷ ডাউনলোড এক্সেলারেটের মূল উইন্ডোতে অনেকগুলো সাব-সেকশন রয়েছে, যা ডাউনলোডারের জন্য প্রদান করে মাল্টিপল ফাংশন৷ এগুলো ৪টি মূল সেকশনে বিভক্ত এবং উপস্থাপন করা হয়েছে ট্যাব হিসেবে৷ প্রথম ট্যাব হলো Downloads যা হ্যান্ডেল করে সব ডাউনলোড এবং গ্রিড ফরমে ডিসপ্লে করে ডাউনলোড প্রোগ্রাম ও ফাইল স্ট্যাটাস৷ ডাউনলোড এক্সেলারেটর ব্যবহার করে যা ডাউনলোড করা হয়েছে তার লিস্ট প্রদান করে Completed Download ট্যাবে৷ এটি মূলত একটি ব্রাউজার যা দ্রুততার সঙ্গে ফাইল খোঁজার জন্য ব্যবহার হয়৷ এটি সরাসরি সার্চ সাইটের সঙ্গে লিঙ্ক থেকে আপনাকে সাহায্য করবে ডাউনলোডেবল ফাইল দেখতে এবং পরে ডাউনলোড এক্সেলারেটর ব্যবহার করে সরাসরি ডাউনলোড করতে পারবেন৷ আপনি ইচ্ছে করলে পুরো সাইট বা কিছু নির্দিষ্ট ফরমেটের সিলেক্ট করা ফাইল ডাউনলোড করতে পারবেন৷ আর এ ধরনের কাজ করতে পারবেন ফিল্টার ব্যবহার করে৷ এটি প্রকৃত একটি এফটিপি সার্ভিস যা নিশ্চিত করবে যে আপনি সঠিক সোর্স থেকে ফাইল পাচ্ছেন৷
ওয়েবসাইট : http://www.dl4all.com/internet/ download_managers/5872-download-accelerator-plus-8.6.4.8

ফ্ল্যাশ গেট ১.৯.৬
এটি একটি স্বল্পমাত্রার ডাউনলোড ম্যানেজার যা দক্ষতার সঙ্গে প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো ডাউনলোড করতে পারে৷ এখানে অপ্রয়োজনীয় ফিচারগুলো পরিহার করা হয়েছে৷ তাই ফ্ল্যাশ গেট ডাউনলোড ম্যানেজার হার্ডডিস্কের কম স্পেস ব্যবহার করে৷ এতে ফাইলগুলো ছোট ছোট সাব সেকশনে ভাগ হওয়ার কারণে ডাউনলোড স্পিড প্রায় ৫০০ ভাগ বৃদ্ধি পায়৷ যদি ইন্টারনেট সংযোগটি ধীর গতির হয় যেমন ডায়ালআপ সংযোগ হয়, তাহলে ফ্ল্যাশ গেট বেশ সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারবে৷ এর মাল্টিসার্ভার হাইপার থ্রেডিং ট্রান্সপোর্টেশন টেকনোলজির সহায়তায় ডাউনলোড ফাইলকে দ্রুত কপি করতে পারবেন ডিস্কের তেমন কোনো বিট না হারিয়ে৷

ফ্ল্যাশ গেটের গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস ন্যুনতম সিস্টেম রিসোর্স ব্যবহার করে৷ মেমরিতে ফাইল স্টোরেজকে খুব সহজেই ম্যানেজ করা যায় এই অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে৷ বিভিন্ন ধরনের ডাউনলোডের জন্য ক্যাটাগরিভাবে ফোল্ডার তৈরি করা যায় এতে৷ এর ফলে যখনই কোনো কিছু ডাউনলোড করা হবে, তখন সেটি সংশ্লিষ্ট ফোল্ডারে স্টোর হবে৷

ফ্ল্যাশ গেটের আরেকটি উল্লেখযোগ্য ফিচার হলো এটি বিটটরেন্ট ফাইল সাপোর্ট ও ডাউনলোড করতে পারে৷ প্রথমে টরেন্ট ফাইলকে মেশিনে ডাউনলোড করে পরে তা ফ্ল্যাশে ওপেন করতে পারবেন৷
ওয়েবসাইট : http://www.download3k.com/ Internet/Download-managers/Download-FlashGet.html

গেট রাইট ৬.৩ডি
গেট রাইট এক চমত্কার ব্রাউজার যার রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভার্সন৷ সবশেষ ভার্সনটি হলো ৬.৩ডি৷ এটি ট্রায়াল ভার্সন যা ৩০ দিন ব্যবহার করা যায়৷ এর ইউজার ইন্টারফেসটি চমত্কার হলেও ব্যাপকভাবে সিস্টেম রিসোর্স ব্যবহার করে না৷ শুধু তাই নয়, ডাউনলোড দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করার পর তা নিশ্চিত করে৷ এমনকি ডাউনলোড প্রসেসে কোনো রকম বাধা সৃষ্টি হলেও ডাউনলোড প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়৷

গেট রাইটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফিচার হলো ডাউনলোড রিকভারিংয়ের সক্ষমতা যা লিঙ্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল৷ এতে এরর হ্যান্ডেলিং ম্যাকানিজ সম্পৃক্ত৷ এই ডাউনলোডার ব্যবহার করে টরেন্ট ফাইল ডাউনলোড করা যায়৷

গেট রাইট ডিফল্ট বিটটরেন্ট ডাউনলোডার হিসেবে সেট হবে যদি একই রকম কাজ করতে পারে এমন অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম আপনার কমপিউটারে ইনস্টল করা না থাকে৷ এটি এফটিপি ও এইচটিটিপি ক্লায়েন্ট থেকে ডাউনলোড করাকে সাপোর্ট করে৷

ডাউনলোড স্পিড বাড়ানোর জন্য গেট রাইট প্রদান করে মিররের জন্য চমত্কার মনিটরিং কন্ট্রোল৷ মিরর হলো বাড়তি সোর্স যাতে রয়েছে ডাউনলোড করা ফাইলের কপি৷ গেট রাইট ব্যবহার করে বাড়তি মিরর সার্চ করতে পারবেন৷ আপনি ইচ্ছে করলে ডাউনলোড কার্যক্রমকে স্বয়ংক্রিয় করতে পারেন Automatic Mode ব্যবহার করে৷
ওয়েবসাইট : http://www.crackserialkeygen.com/ download-GetRight-6.3d-full-All-warez-crack-torrent-serial.html





সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:২৪
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×