ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তবতা । আমরা এক সুপ্ত সৈরাচারীনীর দেশে বাস করছি । যিনি তাঁর ইচ্ছা মতই যেমন খুশি তেমন দেশ চালাবেন । শুধু কি দেশে ? দেশের যতোগুলো অঙ্গসংগঠন আছে সবই সরকারের হাতের মুঠোয় । সবই যদি সরকারই চালায় তবে জনগণের লাভ কি ? বিরোধীদের দল রেখেইবা লাভ কি ? গণতান্ত্রীক দেশই যদি হয় তবে অধিকার প্রশ্নের উত্তর কোথায় । আজ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন একপাক্ষিক তথা আলীগের হয়ে কাজ করছে । কেন এতো টান ? তাহলে কি দূর্নীতি এর অন্তরায় ? তবে দূর্নীতি দমন কমিশন তো রয়েছেই । তাহলে ? কাকে কি বলব ? এই দূর্নীতি দমন কমিশনই নিজেই একজন দূর্নীতিবাজ । দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মেধার মূল্যায়ন না করে দেশে আজ নেতা আর টাকার উপর ভর করেই চাকরি হচ্ছে অশিক্ষিতদের । যা হোক সেতো গেলো অনেক দূরে । আসল কথায় আসি । বর্তমান নির্বাচন কমিশন কতকগুলো হাস্যকর পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছেন । তাঁরা আজ বলেন এক কথা তো কাল বলেন আরেক কথা । দেশের সংবিধানকে কতোটুকু মূল্যায়ন করে এ কমিশন ? কমিশন গত কদিন আগে বলল আসন্ন সিটি নির্বাচনে সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে । কিন্তু অবাক করার বিষয় হলেও এটাই সত্যি , কমিশন পরদিনই ঘোষণা দিলো সেনাবাহিনী মাঠে নয় ক্যাম্পে থাকবে । তো তাহলে তাঁদের ক্যাম্পে থেকে লাভ কি ? তাঁরা কি তাঁদের ক্যাম্পে ভোটারদের পাহারা দেবে ? এধরণের ঘোষণা মূর্খতার পরিচয় ছাড়া আর কিছুই দেয় না । এভাবে বিভ্রান্তকর কথা বলে বিরোধীদের আরো উত্যক্ত করে সহিংস হতে বাধ্য করছে নির্বাচন কমিশন । সেনা মাঠে না নামায় বেজায় খুশি আলীগের প্রার্থী । কিন্তু কেন ? কারণ একটাই ক্ষমতাশীন দলের পরিচয় বহন করে জাল ভোটের বিস্তার । আর তাই প্রচন্ড ক্ষুব্দ্যতায় রয়েছে বিএনপি প্রার্থীরা । কেননা ভোট পাহারা দেবার মতো তাঁদের কোন বড়সড় নেতা নেই । কেননা সরকার তাঁদেরকে জালাও পোড়াওয়ের অভিযোগে জেলে পুড়িয়েছে । আলীগ আগাম মনে করে তাঁরাই জিতবে এই তিন সিটি কর্পোরেশনে । আসলে অন্যান্য বড় সিটিগুলোতে আমরা কি দেখছি ? প্রতিটি সিটিতেই বিএনপি প্রার্থীরা রয়েছে । কিন্তু তাঁরা ক্ষমতাহীন । তাঁদেরও মাথায় মামলা ঠুকিয়েছে আলীগ সরকার । যদি এভাবে বিএনপির সাথে পুতুল নাঁচের নাটক করে তবেতো বিএনপি বিলুপ্ত হতেও আর বেশী দেরি হবে না । আর সেটাইতো চায় আলীগ সরকার । সিটি নির্বাচনে যাই হোক ভালোভাবেই হোক । ভোটচুরি করে জিতে কোন লাভ নেই । কেননা সাধারণ জনগণ কানা বয়ড়া নয় । সবকিছুই দেখছে । কে গাড়ি পোড়াচ্ছে আর কে মানুষ পোড়াচ্ছে তা আমরা সকলেই স্পষ্ট জানি । কিন্তু সেটি ব্যক্ত করতে চাই না । কেননা সেটি আলীগ সংবিধান বিরোধী ।
" জনগণ ভেবে চিন্তেই দেবে ভোট ,
জনগণ ভেবে চিন্তেই বাছাই করবে তাঁদের সিটি কর্পোরেশন মেয়র "।