রাত ২ টা,
একের পর এক কলিং বেলের শব্দ । যেখানে সবাই গভীর ঘুমে মগ্ন , সেখানে শুভ'র ঘুম ভেঙ্গে গেলো । ইদানিং ওর গাড় ঘুমের ঘনত্ব কমে যাচ্ছে না বলা কিছু কারনে । বিছানা থেকে উঠে দরজাটা খুলল । ৬০ ওয়াটের লাইটের আলো টা দরজার বাইরে নিথর দাড়িয়ে থাকা মানুষটার দিকে পরতেই শুভ'র চিতকারঃ
-কিরে তুই?
এতো রাতে?
-চলে এলাম তোর কাছে ।
-তাই বলে এতো রাতে.........
-আর কোন উপায় খুঁজে পেলাম নারে ,
বাবা মাকে না বলে চলে এলাম.........
শুভ কথা না বাড়িয়ে ভিতরে বসতে দেয় সাথি কে । সাথি শুভ"র জীবন সাথি। রাতের মেঘ যেমন জোছনাকে নিজের মাঝে লুকিয়ে রাখে, শুভ ও চায় সাথিকে নিজের মাঝে আগলে রাখতে । কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন সুরে সুর তুলে ।
এতক্ষনে বাসার অনেকেই উঠে গেছে । সাথীর দিকে আড় চোখে কয়েকবার তাকিয়ে কোন কথা না বলে সোজা অন্য রুমে নিয়ে গেলো শুভকে তার মা ।
-কিরে এই মাইয়া কে ?
-আমার ফ্রেন্ড
-এতো রাতে কিল্লাইগা ?
তোর কাছে কি?
-আম্মা তোমারে পরে কমু ।
-এ মাইয়া যেহান থেইক্কা আইসে অইহানে চইলা যাইতে ক...
-আম্মা তুমি এমন করতেছ কেন ?
-তরে যা কইছি তা কর ।
-আমি পারুম না......।
-তাইলে আমি কই ।
-এতো রাইতে কই যাইব ?
-যেহান থেকে আইসে অইহানে যাইব, আবার কই যাইব ।
-তোমার সমস্যা কি ?
-এতো কথা কস কা... যা করতে কইছি তা কর ।
-পারুম না ।
-আমিই কইতাসি ।
অনেক মান অভিমান, কথা কাটাকাটি শেষে শুভ বের হয়ে গেলো সাথি কে নিয়ে আর সঙ্গি হল জোছনাসিক্ত রাত । স্টেশনে সাথীর কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লো শুভ ।
সকাল ৬ টা ৩০,
-উঠ, উঠ
-সকাল হয়ে গেছে?
-হ, হইছে
ভার্সিটি নাই?
-আছে......
ঘুম থেকে উঠেই শুভ অবাক ।
-আমি এখানে কেন?
-তাইলে কই থাকবি?
রাস্তায় !
-না , মানে.........
আম্মা রাতে কি কেউ আসছে ?
-হ আসছে
-কে?
-তোর বউ......।
লাথি না খাইতে এখনি উঠ ।