চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথ আর নীহারিকা
মহাবিশ্ব কিংবা আছে যা আরও ব্যপকতা
ক্ষুদ্র আমি এক নিঃসঙ্গ বড় একা।
জন্মেছিলাম আমি কোন এক শূন্যতায়
যার নাম দিয়েছি সময়ের ছত্রছায়ায়
তিথি-কাল-লগ্ন-ক্ষণ কিংবা ঘণ্টায়।
অঃতপর বেড়ে উঠি সময়ের নিয়েমে
মাপকাঠি যার ছায়া আর দিগন্তে
এমনিভাবে বয়স বাড়ে নিজের অজান্তে।
জন্মেছিলাম বলে কেদেছিলাম আমি-
ক্ষুধা-তৃষ্ণা, ব্যথা কিংবা অভিমান বোধে
ভেবেছিলাম সুখ হবে সব আমার অধীনে।
বয়স বাড়ে-ইচ্ছে মড়ে, আবার নতুন জাগে
আমিও পুরোনো সেই সুখের সন্ধানে
চলতে থাকি তিথি-কাল-লগ্ন মেনে।
পথ চলতে নানা বাধা- এখানেই দুঃখের দেখা,
যুদ্ধ বাধে তুমুল বেগে চলতি পথে-
সুখ নাকি পাব এই দুঃখ জয়ে।
লড়াই চলে-লড়াই জমে, সাথে আরও সঙ্গী জোটে
আমাকে তো যেতেই হবে, সুখেরই সন্ধানে।
নাম দিয়েছি যার জীবন যুদ্ধ নিজেই তার মারনাস্র
খুন করব দুঃখ-কষ্ট কোথায় কি গ্রহ-নক্ষত্র
সময় বয়ে যায় নদীর মত রুখবে তা আর কার সাধ্য।
যেদিন এইটুকো; জন্মেছিলাম আমি
এখন আমি মস্ত বড়,
সবাই বলে আমি নাকি বৃদ্ধ বা বুড়ো।
লড়াই চলে সেই পুরোনো খেয়ালে
আমি ফিরে দেখি দুঃখ-জয়ী বীরের বেশে
সুখ যে লুটিয়ে আমার পদতলে।
ঐ যে বলেছিলাম, জন্মেছি শূন্যতায়,
এবার যুদ্ধ জয়ে চলে যেতে হবে শূন্যতায়,
যার নাম দিয়েছি মৃত্যুউপত্যকায়।
চন্দ্র-সূর্য-গ্রহ-তারা-নক্ষত্র আর নিহারীকা
ধুমকেতু-গ্যলাক্সি কিংবা মিল্কিওয়ে
সুখজয়ী বীর চলে মৃত্যুউপত্যকা ধরে।
জন্ম মানেই ছুটে চলা মৃত্যুর সন্ধানে
মাঝখানে আছে শুধু শূন্যতার মানে
শুরুতেই শূন্য শেষেও শূন্য
শুধু শূন্য, শূন্য আর শূন্য।