ভোরের শেষ আঁধার নিভু নিভু করে জ্বলছে, একটু পরেই আলোর চাদোরে ঢেকে যাবে শহরটা। ঠিক এমন সময়েই মেয়েটাকে প্রথম দেখেছি তাও এক মূহুর্তের জন্য। এর পর অনেক খুজেছি মেয়েটাকে, স্কুলের সামনে, কলেজের সামনে, সপিং মলে কোথাও আর পাইলাম না। তবুও মনে আশা আমার শহরটা ছোট হয়তো একদিন দেখা হবে।
কয়েক মাস কেটে যাওয়ার পার হটাৎ একদিন দেখলাম রিক্সায় চেহারাটা ভালো করে দেখতেই পারলাম না, হারিয়ে গেলো ভিড়ের মাঝে।
বন্ধু মহলে খোজ করা শুরু করলাম, মেয়েটা দেখতে এমন-তেমন কেউ চেনে কি না ! আমি যে রকম বিবরন দেই তাতে কেউ চিনতে পারতেছে না, চিনতে পারার কথাও না।
খুজতে খুজতে আরো কয়েক মাস কেটে গেলো, আবার দেখলাম মেয়েটাকে এবার হারাতে দেই নাই, সঙ্গে বন্ধুরা ছিলো, মেয়েটাকে ফলো করলাম বাসা পর্যন্ত। ঐ এলাকার বন্ধুদেরকে কাজে লাগায় দিলাম মেয়েটার সম্পর্কিত সব বিবরন খোজ নেয়ার জন্য। ফোন নম্বর, ফেইজবুক আইডি ইত্যাদি।
মেয়েটার কথা মনে পড়লে চোখে ভাসতো নিস্পাপ মোলায়েম একটা মুখ, হালকা কাজল দেয়া চোখ, যে চোখের দিক তাকালে বুকে এক ধরনের ব্যাথা হয়। দিন যায় আর আমার মাঝে তৈরি হতে থাকে এক ধরনের শুন্যতার ঘোর, আর আমি হারিয়ে যেতে থাকি সেই শুন্যতার ঘোরে।
কয়েক দিন পর এক বন্ধু মেয়েটার খোজ দিলো, নাম অমুক, অমুক ইউনিভার্সিটিতে পড়ে, আর মেয়েটা প্রেম করে, প্রেমের বয়স চার বছর।
আজ কয়েক বছর হয়ে গেছে, এখনও মেয়েটার কথা মাঝে মাঝে মনে পড়ে, মেয়েটাকে অনেক খুজি সামনা সামনি একবার তাকে বলব যে তাকে আমি অনেক ভালোবাসি।
মেয়েটা আর স্বপ্নে আসে না আমার বলাও হয়না। হয়তো একদিন দেখব সে দিন বলেই ফেলব।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:২৩