ভর্তি যুদ্ধে যারা অবতীর্ন হয় কেবল তারাই জানে ঢাবি বা যেকোন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কি জিনিষ!
কতটা মেধা প্রয়োজন, প্রয়োজন কত সাধনা!
কিন্তু দুঃক্ষ হয় যখন আমাদের সেই মেধাবি ভাই বোনদের রাজনীতির শিকার হতে দেখি!
ছাত্র রাজনীতি প্রয়োজন, কিন্তু কতটুকু? তার দৌড়ত্ব কতটুকু হওয়া উচিত?
ছাত্র শিক্ষক সবাই যেভাবে রাজনৈতিক লেজুরবৃত্তিতে নিমগ্ন, তাতে আমাদের দেশের ভবিষ্যত কোনদিকে যাচ্ছে?
আমার প্রশ্ন, এভাবে আর কতদিন? এভাবে চলতে থাকলে আমাদের দেশের ভবিষ্যত কোথায় গিয়ে ঠেকবে?
আমি পড়ালেখা করেছি দেশের এমন এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেখানে রাজনীতি নিষিদ্ধ, কিন্তু তাতে তো আমার চিন্তা শক্তি লোপ পায়নি বা নাগরিক হিসেবে আমার সচেতনতা কমে নি!!
আমি মুক্তভাবে চিন্তা করতে পারি, রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে পারি, ভাবতে পারি দেশকে নিয়ে। কিন্তু আমি ছাত্রাবস্থায় রাজনীতি করিনি।
তাহলে আমাদের দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলা কেন ছাত্র রাজনীতি বন্ধের নাম শুনলেই চিতকার করে উঠে "গেল গেল, দেশের বিবেক গেল"???
রাজনীতির কবলে না পরায় আমার লেখাপড়া আমি শেষ করতে পেরেছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। চাকরি শুরু করেছি আমার বন্ধু বান্ধবদের বহু আগে! পাশাপাশি আমি দেখতে পেরেছি আমার সংসার, বাচ্চা, শ্বশুর শ্বাশুরী দেবর ননদ সবাইকে।
কিন্তু আমি কি রাজনীতি নিয়ে ভাবি না??
আমার কি চিন্তা শক্তি নেই? বরং আমি কোন দলের জন্য অন্ধ নই। আমি ভালো কে ভালো, খারাপ কে খারাপ বলতে পারি।
কিন্তু আমাদের ছাত্র ভাই বোনেরা যারা রাজনীতি করেন তারা কি পারবেন তাদের দলের দোষ আর বিরোধী দলের গুণ দেখতে???
তাহলে কেন আমাদের স্বার্থানেষী নেতারা নিজেদের স্বার্থে আমাদের দেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম কে রাজনীতির নামে পঙ্গু করে রাখছে?