কেটে গেছে বছর চারেক,
তুমি হেঁটে এসেছ অপর পুরুষ হৃদয়,
আমিও শুয়েছি গোটা দশেক নারীর সহিত!
ভুল করে আবার দেখা হলো পথে, শুধালাম-
:ভালো আছ অবনী? কেমন চলছে প্রেম?
প্রশ্নরে ধাক্কায় সামলে নিলে নিজেকে আগের মতো,
হেসে তাকালে চোখের দিকে,
-নিঃসঙ্গতা বুঝো হিমাদ্রি.?
আমি এখন ঠিক এক নিঃসঙ্গ বিকেলের মতো!
যাকে ছেড়ে পালিয়েছে রোদ সন্ধ্যার দিকে।
:কেন বাক্সের অভাব পড়েছিলো বুঝি?
আটকে রাখতে পারলে না সেই আলো বুকের ছাতিম তলে?
আমি না হয় ঘর পলাতক ছিলাম।
সে তো ছিলো উজ্জ্বল দিন!
-যে যায় তাকে যেতে দিতে হয়।
মহুয়ার ঘ্রাণে হয় না বাসর লক্ষ্মীন্দরে!
তুমি কেমন আছ হিমাদ্রি...?
আজও কি ছুটে বেড়াও এ নারী থেকে সে নারী?
:নারী আমার কাছে নদীর মতো।
প্রায়শ ভাসি সেখানে। ডুবে যেতে দেখলেই হত্যা করি নির্লজ্জ আবেগ।
হয়ে উঠি বীভৎস খুনি।
-তুমি আজও নারীকে কি শুধুই শরীর ভাবো?
:মাতলামোর চূড়ান্ত মাত্রায় যখন জেগে উঠে পার্ভাশন,
তখনো নিজেকে খুব দক্ষ হাতে বন্দী করতে পারি বিরহের খাতায়।
নারী শরীর তখন হয়ে উঠে কবিতা।
যাকে লিখে চলি বিন্দু থেকে বিসর্গ,
মৃত্যু অব্দি..........!!
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:৪১