স্বাভাবিক অবস্থায় পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরসহ ৫টি ইউনিট, ১টি সেক্টর সদর দফতর, ১টি সিগন্যাল সেক্টর, রাইফেল স্পোর্টস বোর্ড এবং রাইফেল সিকিউরিটি ইউনিটের প্রায় তিন সহস্ত্রাধিক জনবল অবস্থান করলেও ২৫ মার্চ বিদ্রোহের দিনে বিডিআর সপ্তাহ-২০০৯ উপলক্ষে ঢাকার বাইরের বিভিন্ন ইউনিট থেকে আগতসহ পিলখানায় মোট জনবল ছিল ৭ হাজারের অধিক।
সুত্র জানিয়েছে, ঘটনার দিনে পিলখানায় ৫ হাজার রাইফেল (আনুমানিক), ৫ হাজার এসএমজি (আনুমানিক), ৪শ এলএমজি (আনুমানিক), ২৪টি মেশিন গান, ২৪টি রিকয়েললেস রাইফেল, ২৪টি ৮২ মিলিমিটার মর্টার, ৬০টি ৬০ মিলিমিটার মর্টার, ৪টি আর্মাড পার্সনেল ক্যারিয়ার (এপিসি), ৭ হাজার গ্রেনেড (আনুমানিক) ও শতাধিক বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ছিলো। যা সম্পুর্ণ বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
ঘটনার দিনে আনুমানিক ৩০ জন সেনা কর্মকর্তার পরিবারবর্গ অফিসার্স পারিবারিক বাসস্থানে এবং বিডিআর সদর দফতর অফিসার্স মেসে অবস্থান করছিলেন। যাদের মোট জনবল ছিল আনুমানিক দেড় শতাধিক। এদের প্রায় সকলকেই পরবর্তীসময়ে কোয়ার্টারগার্ড এলাকায় বন্দি করে রাখা হয়েছিল।
এছাড়াও পিলখানায় আনুমানিক ১০০ জন বিডিআরের জেসিও এবং অন্যান্য পদবির সদস্যদের পরিবারবর্গ পিলখানার অভ্যন্তরে পারিবারিক বাসস্থান এলাকায় অবস্থান করছিলেন যাদের মোট জনবল ছিল আনুমানিক ৫ শতাধিক।