রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে পুলিশ ও র্যাবের সাঁড়াশি অভিযান চলছে। শিবিরের সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পাস ছাড়লেও তারা রাজশাহীতেই আছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। শিবির নেতাদের অনুমতি পেলে আবারো হামলা চালানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তারা এখনো রাজশাহীতে রয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়। তবে এ অভিযান থেকে রেহাই পেতে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার বিএনপির ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এলাকা ছেড়েছে।
সূত্র জানায়,শিবির সন্ত্রসীদের মধ্যে বুধপাড়া এলাকার মোজাম্মেল ও খুসি এখন রাজশাহীর পবা থানার বামনশিকড় এলাকার একটি বাড়িতে অবস্থান করছে। ডাশমারী এলাকার আলী জাফর বাবু ওরফে জাফর বাবু হড়িয়ান এলাকায়, তার অন্যতম সহযোগী তোফাজ্জল হোসেন তোফা ওরফে বোমা তোফা পুড়াপুকুর এলাকায়, মেহেরচ ী এলাকার মিলন, শাহীন ও আল আমিন ললিতাহার এলাকায়, চকপাড়া এলাকার রবিউল ছোট বনগ্রাম এলাকায়, খড়খড়ীর রাসেল ও রানা জামিরা এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে গোপনে অবস্থান করছেন। এছাড়া আরো বেশ কিছু শিবির সন্ত্রাসী রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে রোগী পরিচয়ে অবস্থান করছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক (উত্তরাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও রাজশাহী মহানগর শাখা বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু নেতাকর্মী পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে আমাদের সময়কে বলেন, সরকার প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার না করে সাধারণ মানুষকে হয়রানিমূলকভাবে গ্রেপ্তার করছে।
বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, পুলিশ নিজেদের বাঁচানোর জন্য গণগ্রেপ্তারের আশঙ্কায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী কাজলা, তালাইমারি, ভদ্রা, বিনোদপুর, চোদ্দপায়া, বুধপাড়া ও মেহেরচন্ডী এলাকার ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী পালিয়ে গেছেন। বিনোদপুর এলাকার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির সম্পাদক মিলন এখন এলাকা ছেড়ে ঢাকায় আছেন। মিলন পালিয়ে আসার কথা অস্বীকার করে বলেন, তিনি ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় এসেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:১৪