somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রসঙ্গঃ ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ। সময় এসেছে এবার পথে নামার। আপনি বিকলাঙ্গ হলে এ পোস্টে ঢোকার প্রয়োজন নেই! আপডেটেড

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যেদিকে তাকাই-শুধু পরিবর্তনের হাওয়া। আমি শুভ পরিবর্তন গুলোর কথা বলছি।
আমাদের ছোট্ট এ দেশটির অনেক কিছুই বদলেছে, আবার প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়ে গেছে।
ইন্টারনেট ইউসেজ এর মুল্য ৫/৬ বছর আগে যা ছিল এখন ও তাই আছে।
আগে পার কিলো বাইট দুই পয়সা ছিল, এখনো তাই।
এক জিবি ৩৫০টাকা ছিল, এখনো তাই। ভাবা যায়!
কিছু কিছু প্যাকেজের মুল্য কমেছে কিন্তু তা আশানুরুপ নয়।
অতীতের কথা বাদ দিলাম।
তখন ব্যান্ডউইথের মুল্য অনেক বেশি ছিল। কিন্তু এখন তো আগের অবস্থা নেই। সরকার দফায়-দফায় ব্যান্ডউইথের মুল্য কমিয়ে ৮০০০টাকাতে এনেছে। তারপরেও আমরা ভোক্তারা এর সুফল ভোগ করতে পারছিনা।
এটা গেল সার্ভিস প্রোভাইডারদের ভোক্তাদের বাশ দেবার কথা।
এবার আসুন দেখি সরকারের নীতি নির্ধারক মহল কি করছে।
২০১২ সালের হিসাব মতে, বাংলাদেশের ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি ১৬৪ (আরেক সূত্রমতে ২০০) জিবিপিএস/সেকেন্ড।
এর মধ্যে মাত্র ২৬গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ আমরা সবাই মিলে ব্যবহার করি।
তবে আসল কথা হল, আমাদের ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি বর্তমানে কত আছে এবং কত ব্যান্ডউইথ পড়ে আছে, কেউই এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য দিচ্ছেনা।
প্রশ্ন জাগেনা- বাকি ব্যান্ডউইথ তাহলে গেল কোথায়? সরকারের নীতি নির্ধারকদের কথা অনুযায়ী এই ২৬গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ বাদে বাকি ব্যান্ডউইথ রিজার্ভ রাখা হয়!
ব্যান্ডউইথ সোনা নাকি জমি যে রিজার্ভ অবস্থায় ফেলে রেখে দিলে এর মুল্য বা চাহিদা বাড়বে অথবা ইন্টারনেট ইউজারদের কোন উপকারে আসবে!
মুল্য যতই কমানো হোক, প্রায় ৮০% ব্যান্ডউইথ ফেলে রাখলে সেটা দেশের কোন উপকারে আসবে?
প্রয়োজন হলে ব্যান্ডউইথের দাম আরো কমিয়ে সম্পুর্ন ব্যান্ডউইথ সকল সার্ভিস প্রোভাইডারদের মধ্যে বন্টন করে দেওয়া হোক।
কারন কয়েক শ কোটি টাকার ব্যান্ডউইথ ফেলে রেখে তো কোন উপকারে আসছেনা!

ভাবছেন কি গর্দভ সরকারের নীতি নির্ধারক মহলের লোকগুলো! ভুলেও তা ভাবতে যাবেন না।
ওরা আপনার আমার চাইতে অনেক অনেক বুদ্ধিমান এবং নিজের আখের গোছাতে সচেষ্ট।
বিভিন্ন সূত্রমতে, কিছু প্রভাবশালী মহল সরকারের উঁচু পর্যায়ের কিছু অফিসিয়ালের সাথে যোগসাজশ করে অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথ দিয়ে অবৈধ ভিওআইপি বিজনেস চালাচ্ছে।
যে কারনে আমরা টাকা দিয়ে কলা কিনছি ঠিকই কিন্তু কপালে কলার খোসা ছাড়া আর কিছুই জুটছেনা।
অথচ আমাদের যে ব্যান্ডউইথ রিজার্ভ আছে বলা হচ্ছে সেই ব্যান্ডউইথ গুলো সঠিকভাবে এ্যালোকেট করলে এবং যে টাকা আমরা ইন্টারনেট ইউজের জন্য ব্যয় করি, তাতে আমাদের কমপক্ষে ৭থেকে ৮গুণ বেশি স্পীড পাবার কথা।
তথ্যগুলো আপনারা আমার থেকে অনেক ভাল জানেন, ব্লগে বা ফেসবুকেও কম লেখালেখি হল না।
কথা সেটা নয়। কথা হল আর কতকাল এভাবে চুপ থাকব আমরা? আর কতকাল নিজেদের পশ্চাৎদেশ সার্ভিস প্রোভাইডার আর সরকারের নীতি নির্ধারকদের দিকে মেলে বসে থাকব?? পশ্চাৎদেশে আর কত বাশমারা খেলে আপনাদের ঘুম ভাঙ্গবে???
ব্লগে/ফেবুতে তো অনেক লাফালাফি হল, মাঠে নামার সময় কি এখনো হয়নি?
কেবল ফেসবুক আর ব্লগে প্রতিবাদ করেই আমাদের দ্বায়িত্ব শেষ মনে না করি।
যদি সৎ উপার্জনের টাকায় ইন্টারনেট ইউজ করে থাকেন, তাহলে আসুন এবার পথে নামি।
ব্লগে অনেক বড় বড় ব্লগার আছেন, যাদের একটি ডাকে হাজার হাজার মানুষ আসবে।
তাদের কেউ একজন কি এই বিষয়ে স্ট্যান্ড নিতে পারেন না?
কাউকে না কাউকে দ্বায়িত্ব নিতে হবেই। কেউ একজন স্ট্যান্ড না নিলে এরা সারাজীবন ধরে আমাদের টাকা ভ্যাম্পায়ারের মত চুষেই খাবে।

*আপডেটঃ

আমরা শাহবাগ/বিটিসিএল কার্যালয় অথবা কোন টিভি চ্যানেলের সামনে মানব বন্ধন করার মাধ্যমে সবার দৃষ্টি আকর্ষন করার চেষ্টা করব।
আমি জানি শুধু মানব বন্ধনে কোন কাজ হবেনা, তবে প্রাইমারি স্টেপ হিসাবে এটার বিকল্প কিছু দেখছিনা।
একটু আগে একটা টেলিভিশন চ্যানেলের সাথে কথা হয়েছে।
ওরা এটা নিয়ে নিউজ করবে এবং মানব বন্ধনের দিন রিপোর্টার পাঠাবে।
তবে তার জন্য আপনাদের হেল্প দরকার।
ওরা একটা প্রেস নোট চেয়েছে। কতটুকু ব্যান্ডউইথ রিজার্ভ আছে, কতটুকু ইউজ হচ্ছে ইত্যাদি বিষয় গুলো নিয়ে একটা ডিটেইল রিপোর্ট ও চেয়েছে।
প্রেস নোট কিভাবে লিখতে হয় সে সম্পর্কে আমার কোন আইডিয়া নেই।
আর কিছু না পারেন, অন্তত এই উপকার টুকু করেন।

কবে-কিভাবে আমরা রাস্তায় নামতে পারি, সরকার কে আমাদের পাওনা ব্যান্ডউইথ দেবার কথা কিভাবে বলতে পারি আইডিয়া দিন।
সবাই আরেকটিবার জাগুন! মেসেজ টি সবার কাছে পৌছে দিন।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬
৪৫টি মন্তব্য ৪৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মৃত্যু কাছে, অথবা দূরেও নয়=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



©কাজী ফাতেমা ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলি, আমারও সময় হবে যাবার
কি করে চলে যায় মানুষ হুটহাট, না বলে কয়ে,
মৃত্যু কী খুব কাছে নয়, অথবা খুব দূরে!
দূরে তবু ধরে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×