দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে সরকার আর বিচার ব্যবস্থা যে প্রহসনের জন্ম দিয়েছে আর তার প্রতিবাদে দেশে যে নৈরাজ্যকর পরিবেশ সৃষ্ট করা হয়েছে তার মাশুল দিতে হচ্ছে সাধারণ জনগনকে।সরকার আর প্রশাসন দেশবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে তাদেরকে নিরাপত্তাবাহিনী আর আন্দোলনকারীদের মাঝখানে ফেলে দিয়ে নিজেরা নিরাপত্তার বেষ্টনীতে অবস্থান করছেনা।এই সুযোগে নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মীরা সাধারণ জনগনকে মারছে গুলি চালিয়ে এবং আন্দোলনকারীর ছদ্মবেশীরা মারছে আগুনে পুড়িয়ে।এই সময় রাজীতীবীদদের কেউ ঘরে বসে দেশের পরিস্থিতি উপভোগ করছে,কেউ টকশোতে এসে সুন্দর সুন্দর কথা বলে কিছু ক্ষনস্থায়ী জনপ্রিয়তা অর্জন করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।আমাদের দেশের সরকার প্রধানতো স্বজন হারানোর ব্যাথা অনুভব করতে পারে বলে দাবী করেন।এরপরেও তিনি সাধারন মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেন কীভাবে?এই কথা সবাই বলে যে, ‘রাজনীতীবীদরা নিজেদের সন্তানদের বিদেশ পাঠিয়ে দিয়ে নিরাপদে রেখেছেন আর দেশের সন্তানদের জীবনকে মারাত্নক নিরাপত্তাহীন করে দিয়েছেন’।এসব কথা কী তাদের কানে পৌঁছায়না?তবু উনাদের বিবেক জাগ্রত হয়না কেন??
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যদি করতেই হয় তবে ৪২বছর পর কেন এই বিচার?জামায়াতের সাথে একাত্নতা ঘোষনা করে আওয়ামী সরকার যখন দেশ পরিচালনা করেছিল তখন কেন আজকের অভিযুক্ত যুদ্দাপরাধীদেরকে বিচারের আওতায় আনা হয়নি?কেন কোন মামলাও ছিলনা তাদের বিরুদ্ধে?বিচার যদি সত্যিই চান তবে বিচারটা নিরপেক্ষ নয় কেন?শুধু জামায়াতের এই কয়জন লোকই যুদ্ধের সময় পুরো দেশ জুড়ে তান্ডব চালিয়েছিল?দেশের মানুষ জানে আওয়ামীলিগেও যুদ্বাপরাধী আছে তাদেরকেও একই অভিযোগে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো হলনা কেন?আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির বিরুদ্ধে উত্তাপিত প্রশ্নের পাশাপাশি এসব প্রশ্নতো আজ দেশের প্রতিটা মানুষের,এতসব প্রশ্নকে এড়িয়ে গিয়ে মুসলমান হয়ে একতরফা বিচারের মাধ্যমে আরেকটা মুসলমানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিলেন কিভাবে?আর শাহবাগীদের একতরফা আন্দোলনকে যারা সমর্থন করে এদের মন মানসিকতাও কতটা বিকৃত?
আমাদের এই দেশ 90% মুসলমানের দেশ,এই দেশের সরকারীদল, বিরোধীদল প্রধান এবং বড় বড় রাজনীতীবীদদের বেশি অংশই মুসলমান অথচ এই দেশ বা বিচার ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য অন্যান্য ইহুদী রাষ্ট্রের সিস্টেমকে অনুসরন করা হয়।(এসব ইহুদী রাষ্ট্রকে আমরা অনুসরন করি আবার দেশের শোচনীয় অবস্থায় এরা পরামর্শ অথবা সমাধান দিতে চায়লে এটাকে অপমানজনকও মনে করি)।রাসূল সাঃ এর সময়কালীন রাষ্ট্রের চেয়ে উত্তম রাষ্ট্রতো আর হতে পারেনা।সেই সময়কার রাষ্ট্র পরিচালনাকে কেন অনুসরণ করতে পারিনা?রাসূল সাঃ দেশ প্রেমকে ঈমনের অঙ্গ বলেছেন,দেশে শান্তি প্রতিষ্টার জন্য কত যুদ্ধ করেছেন কিন্ত যে ধর্মের অনুসারীই হোক না কেন তিনি প্রায় যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করে দিতেন।
চলবে……।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৪৩