আমাদের দেশে বই পড়ে এমন পাঠকদের সংখ্যা আমার জানা নেই। তবে এই বিশাল মানব সম্পদের দেশে আমাদেরকে অনেক পাঠক বানাতে হবে। এদের অনেকে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবেই একসময়। বর্তমান যুগ ডিজিটাল গেজেটের যুগ, হাত বাড়ালেই সবাই অনেক তথ্য জানতে পারে, অনেকে এই সুবিধা সথিক ভাবে ব্যবহার না করে সময় নষ্ট করে ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই যুগে ও বইএর পাঠক আছে এবং এদের সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব।
ছোট বেলায় জেনেছিলাম বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয়না। আজ পর্যন্ত তা সত্য বলেই জানি। আমাদের বাচ্চাদেরকে ছোট বেলা থেকে স্কুলের পড়ার পাশাপাশি অন্য বই পড়ার অভ্যাস ও উৎসাহ দিতে হবে । একই সাথে বই পড়ে আনন্দ নেয়ার জন্য কিছু বই তাকে দিতে হবে। এতে করে তার আকর্ষণ বেড়ে যাবে বই পড়ার জন্য।
বিদেশে ছেলে মেয়েরা কাজ করে কিছু টাকা জমিয়ে পৃথিবী দেখতে বেরিয়ে পড়ে। তারা ও নেট দুনিয়ার মানুষ, তার পর ও নিজের চোখে পৃথিবী দেখতে চায়। দেখার পাশাপাশি আয় করার জন্য ব্লগ ভ্লগ তৈরি করে , তাদের ভ্রমনের উপর বই বের করে। সারা পৃথিবীর মানুষ তাদের লিখা পড়ে অভিজ্ঞতা লাভ করে, নতুন কিছু জানতে পারে। আমাদের দেশে এই কাজে তেমন একটা উদ্যোগ বা উৎসাহ দেখা যায় না। ের হয়ত অনেক কারন থাকতে পারে, অরথের উৎস, উপযুক্ত প্রতুতির অভাব, দেশ ভ্রমনে ভিসা সংক্রান্ত নানা জটিলতা। তবে শুরু হয়ে গেলে আসতে আসতে এসব সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
বাংলাদেশের গর্বিত সন্তানরা হিমালয় জয় করেছে, তাদের আগে কেউ এভাবে ভাবে নি। ঠিক সেভাবে ব্যাকপ্যাক কাঁধে নিয়ে এখন দেশে আমাদের ছেলেরা ঘুরতে বেড়িয়েছে, একদিন তারাই পৃথিবী দেখতে বেরিয়ে পড়বে।
দেশের গন্দি ছাড়িয়ে যখন তরুণরা বেরিয়ে পড়বে ভ্রমন, জীবিকা কিংবা উভয়ের জন্য, তখন যদি তাদের পড়ার আর লিখার অভ্যাস থাকে তাহলে আমাদের সাহিত্য তথা ভ্রমন সাহিত্য আরও সমৃদ্ধ হবে, সাথে বিভিন্ন সংস্কৃতির সাতে তৈরি হবে মেল বন্ধন এবং সাহিত্যের অন্য শাখাগুলো ও উন্নত হবে।
তরুণদের আত্ম বিশ্বাস বেড়ে যাবে আর তারা দেশের উন্নয়নে সাহসী ভুমিকা নিতে পারবে। বই পড়ার ভাল দিকের কোন শেষ নেই। সেজন্য পরিবার থেকে, স্কুল থেকে, পাঠ্যবইতে উৎসাহ দিতে হবে বই পড়ার। আমাদের আগামী প্রজন্ম আমাদের চেয়ে উন্নত পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে চলবে তখন। আজ থেকে আমরা সেই উদ্যোগ নেই, সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪০