অনলাইনে টাকা দেওয়াই ছিলো। প্রোডাক্ট হাতে পেয়ে তিনি টিপস দিলেন। ছেলেটা অবাক হয়ে কয়
- ম্যাম টাকা'তো অনলাইনে পে করাই আছে? আবার এইটা কেন!
তিনি প্রথমে ভাবলেন, হয়ত আত্মসম্মানে লেগেছে। তাই আমতা আমতা করে বললেন
- এইটা আপনার।
ছেলেটা খুশি হয়ে বললো
- ও ম্যাম, অনলাইনে পে করা থাকলে, কেউ আমাদেরকে কিছু দেয় না'তো, তাই।
ঘুষ, চাঁদা আমরা বাধ্য হয়ে দেই। ভিক্ষা আমরা বেহেস্তের লোভে দেই। অথচ পরিশ্রম করা উঠতি মানুষদেরকে আমরা মায়া মিশানো একটা হাসি দিয়ে সম্মানের সাথে সামান্য টিপস দেই না। বউকে আমি একটা কমন কথা সব সময় বলি
- বউ যা দিতে ইচ্ছা করবে, দিয়ে দিবা। না হয় পরে যখন দিতে না পারার জন্য মনটা খারাপ লাগবে, তখন তুমি আর মানুষটাকে খুঁজে পাবা না, দেওয়ার জন্য।
এমন প্রায়ই হয়, দরদাম করে হয়ত রিক্সায় চড়লাম, নামার সময় আমি জানি একশো টাকার একটা নোট দিয়ে বলবো, রেখে দেন। এমন দিনগুলায় আমি ভাড়াটা দেই না, তিনি দেন। অবাক হয়ে দেখি ঠিক একটা নোটই থাকে, ঐ একশো টাকারই! অন্য কেনাকাটায়ও প্রায়ই এমন হয়। মনের আমাদের আর কোথাও মিল নাই, এই ক্ষেত্রে বহু দিন, বহু বহু দিন হুবহু একই ভাবনার মিল হয়ে গিয়েছে, "There are more things in heaven and earth, Horatio"
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২